পয়লা ফাল্গুন। আমার মনে হয় এই দিনটা বছরের সবচেয়ে রঙিন দিন। ক্যাম্পাস আর শহরের রাস্তায় রাস্তায় মেয়েরা সব হলুদ, বাসন্তী, কমলা-ঝলমলে শাড়ি, খোঁপায় হলুদ গাঁদা জড়িয়ে ঘুরে বেড়ায় আর ছেলেরাও সব লাল, মেরুন, সবুজ পাঞ্জাবি পরে সাথে সাথে চলে। ঢাকা ইউনির্ভাসিটি ক্যাম্পাসের চারুকলায়, কলা ভবনে, টিএসসিতে..........চলে বসন্ত উৎসব...............উৎসবমুখর একটা দিন। শহরের প্রতিটা মানুষ গানে, নাচে, কবিতায় বরণ করে নেয় বসন্তকে।
------দিনটাকে তখন সবচেয়ে সুন্দর, রঙিন আর উজ্জ্বল মনে হয়!
ঘুরে ফিরে এল বসন্ত। ধুলি-ধূসরিত শহরের বুকে প্রকৃতি নিজেকে সাজাতে পারেনি বটে, কিন্তু জানান দিয়েছে বেশ আগে। ঝিরঝির বাতাসে, গাছের ঝরা পাতায়, সূর্যের স্বপ্ন স্বপ্ন আলোয় বসন্তের গান। পাতাঝরা এই দিনগুলো আমার এত ভাল লাগে! সূর্যটা একটা মায়াময় আলো ছড়িয়ে রাখে চারদিকে আর গাছের পাতাগুলো ঝিরঝির করে ঝরে পড়তে থাকে-এই দৃশ্যটা দেখলে মনে হয় স্বপ্নের জগতে চলে গেছি। একটা অপার্থিব সৌন্দর্যের আবেশ ছড়িয়ে পড়ে।
আর আছে কোকিলের গান। মনে আছে প্রতিদিন সকালে পাবলিক লাইব্রেরির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় শুনতাম একটা কোকিল কি আকুল-ব্যাকুল হয়ে ডেকে চলেছে। কোকিলটার একটানা কুহু কুহু ডাকে বুকের ভেতরটা কেমন হু হু করে উঠতো। কেন যে এত ব্যাকুলভাবে ডাকে কে জানে! ওই সময়টাকে মিস করবো এবার খুব। কত অলস সময় বসে বসে পাতা আর বাতাসের খেলা দেখে কাটিয়েছি।
পথ হাঁটতে গিয়ে কান পেতে থেকেছি কোকিলের ব্যাকুল ডাক। এখনতো আর দেখা হবে না ওইভাবে, বন্দী থাকতে হবে অফিসের চারদেয়ালের ভিতর, এমনকি বাইরের কোন শব্দও পাওয়া যাবে না। ভীষণ মন খারাপ লাগছে মনে হতেই।
যাক, মন খারাপ করা কথা এখন বাদ। বসন্ত এসেছে।
সবাইকে বছরের সবচেয়ে সুন্দর আর রঙিন দিনটার শুভেচ্ছা, সবাইকে বসন্তের শুভেচ্ছা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।