আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কাক ও লেখক

http://profiles.google.com/mshahriar

একটা প্রবাদ আছে- কাক কাকের মাংস খায় না৷ এই প্রবাদের পিছনে সত্যতা কতোখানি, কাক আসলেই কাকের মাংস খায় না কি না, আমার জানা নাই৷ তবে কাকের স্বজাতিপ্রীতি দেখে ধরে নেওয়া যায় যে, এই প্রবাদ যথেষ্টই সত্য৷ সম্প্রতি বইমেলায় ঘুরতে ঘুরতে কাক সম্প্রদায়ের সাথে লেখককুলের, বিশেষ করে হালের জনপ্রিয় লেখককুলের কিঞ্চিত মিল খুঁজে পাওয়ার কারণেই এই লেখার অবতারণা৷ বইমেলায় ঘুরতে ঘুরতে ইদানিং অনেক কিছুই চোখে পড়ে, যা আগে পড়তো না৷ বা চোখে পড়লেও বিষয়গুলো মনের মধ্যে আলোড়ন তুলতো না, ফলে তা নিয়ে মাথা ঘামতো না৷ এ প্রসঙ্গে একটা মজার কথা মনে পড়ে গেলো৷ আরিফ জেবতিক তার “১/১১'র রাতে একুশ নম্বর আঙুল” (উপন্যাসটা এখনও পড়া হয় নাই৷ একুশ নম্বর আঙুল বলতে লেখক সম্ভবত কলমকে বুঝিয়েছেন৷ এতোদিন জানতাম কলমকে ছয় নম্বর আঙুল বলা হয়৷ একুশ নম্বরও বলা হয় এটা জানতাম না৷) উপন্যাসের ফ্ল্যাপে লেখক পরিচিতির জায়গায় বলেছেন, “বই লিখতে গিয়ে একটা নতুন জিনিস শিখলাম৷ আমার ধারণা ছিলো বইয়ে লেখকের পরিচিতির জায়গায় লেখক সম্পর্কে যে সুন্দর সুন্দর কথা থাকে তা অন্যেরা লিখে দেয়৷ কিন্তু প্রকাশক জানালেন এখন নাকি লেখক নিজেই সেটা করেন৷” (স্মৃতি থেকে লিখলাম, একটু এদিক সেদিক হতে পারে৷) লেখাটা পড়ে মজা পেলাম, কারণ আমার নিজেরও একই রকম ধারণা ছিলো৷ আমিও বই লিখতে গিয়েই জানলাম যে এই সময়ে লেখক সম্পর্কে সুন্দর কথাগুলা লেখকের নিজে লিখে দেয়াটাই রীতি! যাইহোক, বলছিলাম কাক আর লেখক প্রসঙ্গে৷ কাক কাকের মাংস খায় না৷ দুই বছর লেখক হিসেবে বইমেলায় ঘোরাঘুরির পর জানতে/বুঝতে পারলাম, এক লেখক আরেক সমসাময়িক লেখকের লেখা পড়ে না৷ এটা সব সময়কার লেখকদের ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই সত্যি নয়৷ কিন্তু এখনকার জনপ্রিয় অনেক লেখকের ক্ষেত্রে একথা অনেককাংশেই সত্য৷ এক লেখক কেনো সবসাময়িক আরেক লেখকের লেখা পড়ে না? পাঠকের কি মনে হয়? (যা বলতে চেয়েছিলাম তা এখনও বলা হয়নি৷ কিন্তু কেনো জানি না লিখতে লিখতে হঠাৎ আর লিখতে ইচ্ছে করছে না৷ তাই, চলবে...)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।