আমাদের সমাজের সব জায়গায় যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে তার নমুনা পেলাম কয়েকটি পত্রিকায়। একজন নিরীহ মানুষের জমি কিনতে না পেরে অবশেষে ওই জমির গাছ কেটে নিলেন স্থানীয় হাই স্কুলের একজন সাবেক প্রধান শিক্ষক। সংবাদটি আমার দৃষ্টি কেড়েছে। আমাদের সমাজের শরীরের প্রতিটি অংগে এখন পচন ধরেছে। তারই এখন নমুনা দেখা যাচ্ছে এসব সংবাদে।
সরকারের উচিত এর তদন্ত করা।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে সংবাদটি তুলে ধরা হলো---
জমি কিনতে না পেরে গাছটি কেটে নিলেন তিনি !
Newsvision.com Monday, February 8, 2010
বাকেরগঞ্জ রিপোর্টার::
বরিশালের বাকেরগঞ্জে এক সাবেক শিক্ষক ও কথিত বিএনপি নেতা প্রকাশ্যে অন্যের জমির গাছপালা কেটে নিয়েছেন। এর আগে বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে তিনি ওই জমি কিনতে চেয়েছিলেন। তার অত্যাচারে দীর্ঘ ৫ বছর যাবৎ চরম অশান্তিতে রয়েছেন জমির মালিক। এ নিয়ে স্থানীয় সালিশ আদালতে মেকাদ্দমা ও থানায় সাধারণ ডায়রি করার পরও তাকে নিবৃত্ত করা যায়নি।
তার প্রভাবে স্থানীয় প্রশাসনও নির্বিকার ছিল।
সমপ্রতি একটি মূল্যবান গাছ কাটার ঘটনায় থানায় এজাহার দায়েরের পর পুলিশ তদন্ত করে সত্যতা প্রমান পেলেও আসামীরা রয়ে গেছে ধরা ছোয়ার বাইরে।
থানার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাকেরগঞ্জের চরামদ্দি এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দা কাজী সামছুজ্জামানের পরিবার কবলামূলে ৯০ শতাংশ জমির মালিক। এ জমি সংলগ্ন ভিন্ন দাগে স্থানীয় প্রভাবশালী বিএনপি নেতা ও চরামদ্দি হাই স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ সামছুল হক মজুমদার জমি কিনে বাড়ি করেন। তিনি বাড়ির সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য এ জমি থেকে তিন শতাংশ জমি কিনতে চেয়ে চাপ সৃষ্টি করেন।
কিন্তু জমির মালিক কোন চাপেই জমি বিক্রি করতে রাজি হননি। এরপর থেকে এ জমি যাতে বাদি ভোগ করতে না পারে সেজন্য উৎপাত শুরু করেন। এক পর্যায়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ দুই জমির মধ্যখানে একটি সড়ক তৈরীর প্রকল্প হাতে নেয়। তবে ওই নেতার প্রভাবে বাদীর জমির ভেতর দিয়েই সড়কটি তৈরী করা হয়। এর পরেই তিনি সড়কের পাশের তিন শতাংশ জমি দখল করে গাছপাল কেটে নেন।
এ ব্যাপারে বাদী ২০০৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর ইউনিয়ন পরিষদে মোকাদ্দমা দায়ের করেন। ওইসময়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান গাওসেল আলম লাল তাকে সালিশ মানার কথা বললে তিনি জমিটি তার কাছে বিক্রি করে দিয়ে সমস্যার সমাধানের কথা বলে দেন। তিনি ২০০৫ সালের ২৩ নভেম্বর আরো কয়েকটি গাছ কেটে নেন। বাদি ওই দিনই থানায় মামলা করতে গেলেও থানা মামলা না নিয়ে সাধারণ ডায়রি হিসেবে নেয়। যার নং ৮৮৭।
সর্বশেষ গত ১৬ জানুয়ারী স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে তিনি ফের একটি মূল্যবান গাছ কেটে নিলে বাদি থানায় অভিযোগ করেন। এসময় স্থানীয় চেয়ারম্যান সমিল থেকে গাছগুলো উদ্ধার করেন। পরে পুলিশ ওই গাছ জব্দ করে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারী তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই জহির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গাছ কাটার সত্যতা পান বলে জানান।
স্থানীয়রা জানান, সামছুল হক মজুমদার চরামদ্দি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক থাকাকালে সাইফুল খাঁন নামের একজন পদত্যাগী শিক্ষকের নামে দুই বছর ধরে বেতন তুলে আত্মসাতের চেষ্টা করেন।
পরে বিষয়টি ধরা পড়লে তিনি সব টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হন। তবে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে তিনি বহাল তবিয়তে চাকুরি করে অবসরে যান। এপরই তিনি বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাততনসহ বেশ কিছু মামলাও রয়েছে। এ কারণেই কেউ এই সাবেক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে টু শব্দটিও করছে না।
এদিকে গাছ কাটার মামলার কারণে সন্ত্রাসীরা বাদীকে হুমকী দিচ্ছে। ফলে জমির মালিক কাজী সামছুজ্জামান পরিবার পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান।
নিউজভিশনের এই সংবাদটি এখানে পড়ুন----
Click This Link
দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় ছাপা হয়েছে ৪ ফেব্রুয়ারী----
Click This Link
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় ছাপা হয়েছে ৪ ফেব্রুয়ারী---
Click This Link
এরপরও আসামীদের গ্রেফতার করা হয়নি। প্রশাসনের কাছে আবেদন থাকবে তদন্ত করে এর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।