আমারে তুমি অশেষ করেছো
অনেক দিন ধরে বাম চোখের পাতাটা লাফাচ্ছে …খুবই বিরক্তিকর...থামার নামই নেই।যথারীতি কমপ্লেন এর ঝুড়ি নিয়ে বসলাম আম্মুর কাছে,,,এত ফালতু সমস্যা শুনে আম্মু বিরাট লেকচার শুরু করে দিলো …খাওয়া, ঘুম জীবনের রুটিন নিয়ে …মনে হলো ... থাক চোখের পাতাই তো লাফাচ্ছে .. লাফাক ..লাফাতে লাফাতে তো আর পরে যাবে না …এর থেকে ভালো কিছু নাই বলি।
নানু বলল বামচোখ লাফালে নাকি সুসংবাদ আসে …..শুনেতো আমি খুশি…লাফাতে থাকুক বামচোখ। ….নিশ্চয় অনেক না জানা সুখবর অপেক্ষা করছে আমার জন্য ….আমিও অপেক্ষার পিড়িতে বসলাম তাদের জন্য।বামচোখ লাফাতে লাফাতে ..থেমে গেল একদিন...বুঝলাম সুসংবাদ হয়তো আসার পথে আমার ঠিকানা হারিয়ে ফেলেছে ...
মেঝাপুর সাথে বের হলেই …একটু পর পরই চিমটি কাটে আমাকে... বুঝি আসে পাশে এক শালিক দেখেছে ও …আর আমি চিত্কার করি আলতু ফালতু এক দুই শালিক নিয়ে বাড়াবাড়ির জন্য।…চিমটি দেয়াটাই ওর আসল উদ্দেশ্য …শালিক হচ্ছে বাহানা …আর কিছুই না ।
হাত থেকে জিনিস পরলেই চাচী ভাবেন আজকে কেউ আসবেই ….কেউ হঠাত এসে গেলেই ..সেই যে হাত থেকে চামুচ পরার গল্প শুরু হয় ,,,কি এক দৈব শক্তি দিয়ে বুঝেই গিয়েছিলেন আজকে মেহমান আসবেই।
আমার ছোটোবনটাকে একগালে চর মারলে আগ্রহের সাথে এগিয়ে দেয় ওর অন্য গালটা …নাহলে যে ওর বিয়ে হবে না …….এটা নাকি পরীক্ষিত সত্য।
ছোটোবেলায় মাথায় ঢুস খেলে আবার ঢুস খেতে হতো নাহলে ভাবতাম শিং উঠবে …
বই খোলা রাখলে শয়তান পড়ে ফেলবে …
পাপড়ি ফু দিয়ে উইশ করলে আশা পূর্ণ হয়ে যাবে …
জিভে কামড় পড়লে কেউ গালি দিয়েছে ...
বিষম খেলে কেউ মনে করেছে
বসে বসে ভাবি... অনেক দিনতো বিষম খাই না …কেউ কি আমাকে আর মনে করে না ….
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।