স্টেডিয়ামে এসেই ঢুকে পড়লেন মেডিকেল রুমে। সেখান থেকে বিসিবির চিকিৎসক মনিরুল আমিনকে নিয়ে গেলেন মিরপুরের একটা হাসপাতালে। বাঁ হাতের বৃদ্ধাঙুলে ব্যথা নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে ফিরেছেন। কাল এক্স-রে করার পর ধরা পড়ল আঙুলের হাড়ে সূক্ষ্ম চিড়। চার সপ্তাহ খেলতে পারবেন না সাকিব আল হাসান।
সিপিএল চলাকালীন ১৮ আগস্ট অনুশীলনে হঠাৎই লাফিয়ে ওঠা একটা বল আঘাত করেছিল আঙুলে। সেটারই পরিণতি মাঠ থেকে সাকিবের চার সপ্তাহের জন্য ছিটকে পড়া। বিসিবির চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী বললেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজেই একটা এক্স-রে করা হলেও চিড়টা তখন বোঝা যায়নি। সে জন্য কোনো প্লাস্টারও করা হয়নি আঙুলে। আজকের (কাল) এক্স-রেতে চিড় ধরা পড়ার পর প্লাস্টার করে দেওয়া হয়েছে।
’
প্লাস্টার খোলা হবে এক সপ্তাহ পর। এরপর চলবে ফিজিওথেরাপি। এই সময়ে ফিটনেস ট্রেনিং করলেও ব্যাটিং-বোলিং অনুশীলন বন্ধ থাকবে সাকিবের। অন্তত তিন সপ্তাহ না গেলে অবস্থার উন্নতিটা বোঝা যাবে না বলে ধারণা চিকিৎসকদের। সবকিছু ঠিকঠাকভাবে এগোলে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বরের পর তাঁর মাঠে নামতে পারার কথা।
প্রিমিয়ার লিগের খেলোয়াড় লটারিতে সাকিবকে নিয়ে চমক জাগিয়েছে গতবারের আট নম্বর দল কলাবাগান ক্রীড়াচক্র। চার সপ্তাহ খেলার বাইরে থাকা মানে লিগের শুরুতে সাকিবকে পাবে না ক্লাবটি। কলাবাগানের ক্রিকেট সেক্রেটারি রিয়াজ আহমেদ এটাকে দুর্ভাগ্য হিসেবেই দেখছেন, ‘খেলা চলাকালীনও সাকিব ইনজুরিতে পড়তে পারত। এখানে আসলে কারও হাত নেই। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কিছুই নয়।
’
সিসিডিএম ৬-৭ সেপ্টেম্বর থেকে লিগ শুরুর চিন্তা করলেও ক্লাবগুলো চাচ্ছে ১০ তারিখ থেকে খেলতে। সেটাও যদি হয়, লিগের প্রথম তিনটা ম্যাচ অন্তত মিস করবেন সাকিব। শিরোপার জন্য দল গড়া কলাবাগান সাকিবের বিকল্প হিসেবে ভালো একজন বিদেশি খেলোয়াড় আনার চিন্তা করছে বলেও জানালেন রিয়াজ, ‘সাকিবকে পেয়ে যাওয়ার পর আমরা ভালো খেলোয়াড়দেরই নিয়েছি। চেষ্টা করেছি চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইট দেওয়ার মতো দল গড়তে। প্রথম কয়েকটা ম্যাচে সাকিবকে না পেলে সে জায়গায় ভালো কোনো বিদেশিকে আনতে চেষ্টা করব।
’।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।