রোববার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড নির্দিষ্ট করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্যে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে বলে ইসির জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব ফরহাদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
রাজশাহীর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তিনটি কেন্দ্রের ২০টি ভোটকক্ষে ৬ হাজার ৮২৩ ভোটারের জন্য ইভিএম ব্যবহার করা হবে।
খুলনার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ৫টি কেন্দ্রের ২১টি ভোটকক্ষে ৬ হাজার ২৩৭ ভোটার ইভিএমে ভোট দেবেন।
বরিশালের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের দুটি কেন্দ্রের ১২টি কক্ষে ৪ হাজার ২৮১ ভোটারের ইভিএমে ভোট দেয়ার সুযোগ ঘটছে।
সিলেটের ২ নম্বর ওয়ার্ডের তিনটি কেন্দ্রের ২০টি কক্ষে ৬ হাজার ২৮৩ ভোটার দেবেন ইভিএমে ভোট।
ইসির এক কর্মকর্তা জানান, প্রতিটি ভোট কক্ষে একটি ইভিএম ব্যবহার হবে। এসময় যে কোনো ধরনের জটিলতা মোকাবেলায় অতিরিক্ত ইভিএমও মজুদ রাখা হবে। ভোটের আগে এসব এলাকায় ব্যাপক জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হবে।
আগামী ১৫ জুন একযোগে এই চার নগরীতে ভোটগ্রহণ হবে।
২০১০ সালের জুন মাসে একটি ওয়ার্ডে (জামালখানের ১৪টি কেন্দ্র) ইভিএম-এর যাত্রা শুরু হয়।
এরপর নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এবং নরসিংদী পৌরসভায় ইভিএম ব্যবহার হয়।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আইআইসিটি’র সহযোগিতায় এই প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ইসি।
কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন ইসি গত বছর দায়িত্ব নেয়ার পর বুয়েটের সঙ্গে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এরপর রংপুর সিটি করপোরেশনে মাত্র চারটি কেন্দ্রে ইসি নিজস্ব জনবল দিয়ে ইভিএমে ভোট নেয়।
এবার চার সিটি করপোরেশনেও ১৩টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট হচ্ছে ইসির জনবল দিয়েই।
জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে বিরোধী দলের আপত্তির মুখে গত অগাস্টেই সিইসি ঘোষণা দেন, জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হবে না।
তবে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচনে যন্ত্রের মাধ্যমে ভোট দেয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে ইসি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।