আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সেই রাবার ড্যামটি হবিগঞ্জের লাখো কৃষকের মরণফাঁদ!

আমি শুধু তোমাকেই ভালবাসি অনেক আঁধার আমাকে ছিন্নভিন্ন করেছে। নীল হয়েছে আমার শিরা উপশিরা । তবু - তবু, আমি শুধু তোমাকেই ভালবাসি । তোমাকেই শুধু তোমাকেই -

অবিলম্বে ড্যামটি না সরালে আমরণ অনশনসহ বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষণা বিজনা নদীর উজানে মৌলভীবাজারের কাগাবলা নামক স্থানে রাবার ড্যাম নির্মাণ করায় হবিগঞ্জের শস্য ভাণ্ডার খ্যাত গুঙ্গিয়াজুরী হাওর পানিশূন্য হয়ে পড়েছে। সেচের অভাবে প্রায় ৩০ হাজার হেক্টর জমির বোরো ফসল অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

গতকাল এ রাবার ড্যাম অপসারণের দাবিতে অসংখ্য কৃষক ও সুবিধাভোগী বিভিন্ন পেশার মানুষ মিছিল শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা ড্যামটিকে ফারাক্কা বাঁধ আখ্যায়িত করে বলেন, ড্যামটি অবিলম্বে সরানো না হলে আগামীতে আমরণ অনশনসহ বৃহৎ আন্দোলনের কর্মসূচির ঘোষণা করা হবে। সূত্র জানায়, ২০০৬ সালে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান হাইল হাওর উন্নয়ন প্রকল্পের নামে বিজনা নদীর উজানে রাবার ড্যাম নির্মাণ করেন। পাউবো ড্যামটি নির্মাণে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা ব্যয় করে। ফলে শুকনো মৌসুমে নদীর ভাটিতে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে পড়েছে।

দুই তীরের অসংখ্য পাম্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পানির অভাবে গুঙ্গিয়াজুরীর প্রায় ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে পানি সেচ দেয়া যাচ্ছে না। পানির অভাবে জমিগুলো বিরানভূমিতে পরিণত হয়েছে। ফলে কয়েক লাখ টন ধান উৎপাদন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কৃষক সবুর মিয়া বলেন, রাবার ড্যাম নির্মাণের সময়ই আমরা এর প্রতিবাদ করেছিলাম। কিন্তু সাইফুর রহমান ও তার ছেলে নাছের রহমান তাদের সম্পদ রক্ষার জন্য আমাদের দিক বিবেচনা করেননি।

জানা গেছে, জেলার ৪টি উপজেলা জুড়ে গুঙ্গিয়াজুরী হাওরটি অবস্থিত। এই হাওরটি সিলেট অঞ্চলের অন্যতম। লাখ লাখ কৃষক শুকনো মৌসুমে ধান চাষাবাদ করছেন যুগ যুগ ধরে। খাদ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে গুঙ্গিয়াজুরী হাওর দেশে অনন্য ভূমিকা রেখেছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।