জন্মদিনকে একটু অন্যভাবে পালন করার মজাই আলাদা। গতকাল ছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। এদিনকে পালন করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা রকম প্রস্তুতি নিয়েছিল। পুরো ক্যাম্পাস সাজান হয়েছিল বর্ণিল সাজে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মিলন মেলা বসেছিল ক্যাম্পাসে।
বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপন করা হয় দিবসটি।
সকাল ১০টায় জীববিজ্ঞান অনুষদের সামনে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা, সামাজিক উন্নয়ন ও রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আলাউদ্দিন আহমেদ জাতীয় পতাকা, বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা এবং বেলুন উড়িয়ে দিবসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষনা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, সকল বিভাগ, সকল হল, দুটি ইনস্টিটিউট, বিভিন্ন অনুষদ, বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, জাবি স্কুল ও কলেজ এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য র্যা লি সমস্ত ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে মুক্তমঞ্চে যেয়ে শেষ হয়। র্যা লী পরবর্তীতে মুক্তমঞ্চে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি এবং গতবছর প্রতিষ্ঠাবাষিকীতে শ্রেষ্ঠ র্যা লীর জন্য জাবি স্কুল ও কলেজের প্রিন্সিপালের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন ভিসি অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির। পরে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অধ্যাপক ড. আলাউদ্দিন আহমেদ বলেন, সকলকে ন্যায়ের পথে থাকতে হবে এবং এপথ থেকে একবিন্দু বিচলিত না হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে পরিচালনা করতে হবে। প্রাণের ক্যাম্পাসে এতো আনন্দ উচ্ছাস প্রমাণ করে বিশ্ববিদ্যালয় সুষ্ঠুভাবে চলছে। উপদেষ্টা বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক ও প্রশাসনিক গতিশীলতায় সরকার সন্তুষ্ট। বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শুধু দেশের মধ্যে নয় বিশ্বের অন্যতম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান বাংলাদেশে ৮৫টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়ালেই চলবে না গুণগত মানও বৃদ্ধি করতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে ভিসি অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির বলেন, বাংলাদেশকে সোনার বাংলা গড়ার জন্য আমাদের ধৈয্যশীলতার পরিচয় দিয়ে কাজ করে যেতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে হলে mgwš^Zfv‡e কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন, প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামান, প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো: ফরহাদ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো: নাসির উদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণ শিক্ষক প্রফেসর মেসবাহুস সালেহীন, সাবেক জাকসু ভিপি ও বর্তমান সিন্ডিকেট সদস্য কাজী মোতাহার হোসেন মোল্লা, সাবেক জাকসু ভিপি ও বর্তমান সংসদ সদস্য মো: রফিকুল্লাহ প্রমুখ।
আলোচনা পর্ব পরিচালনা করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক। বেলা তিনটায় মুক্তমঞ্চে স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ফকির আলমগীর ও ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠী সঙ্গীত পরিবেশন করে। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে পূর্ব থেকেই ক্যাম্পাসে সাজসজ্জা ও পরিষ্কার পরিছন্ন করা হয়। ক্যাম্পাসকে সাজানো হয় নতুন করে।
বিভিন্ন বিভাগ নিজস্ব অনুষ্ঠান পালন করে। বিভাগের নিজস্ব অনুষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে দেখার মত ছিল মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের মাইক্রো মেলা। এখানে ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া, পিঠা মুড়ি উৎসব, বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি প্রভৃতি প্রদর্শন করা হয়। সরকার ও রাজনীতি বিভাগ আড্ডার আয়োজন করে এবং সেখানে পূনর্মিলনী বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।