আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দ্য ওল্ড ট্র্যাঙ্ক রোড

তোমাদের পাগল বন্ধু এক সময়ের সরু হাইওয়েগুলো বয়স বাড়ার সাথে সাথে কিশোরীর ছিপছিপে দেহাবয়বটা কেবলই স্মৃতি বানিয়ে দিচ্ছে। ক্রমশ প্রৌঢ়া হতে থাকা কয়েক সন্তানের জননীর মত সৌষ্ঠব হারানো একটা চেহারা; নিয়তই চওড়া হয়ে চলেছে, না চাইলেও। চারপাশ থেকে আর আগের মত সবুজ ঝুঁকে চেপে আসতে চায় না। কিশোরী কিংবা তরুণীর সেই পাগল করা রূপ বিলীন হয়েছে যুগ কিংবা কালের অন্তরালে। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের আশীর্বাদে ধীরে ধীরে প্রসব করেছ আরো কত শাখা প্রশাখা।

যৌবন আচমকা নয়, গুবরে পোঁকার পিঠে সেই কোন কালে সওয়ার হয়েছিল- আবছা মনে পড়ে; এখন হারিয়ে গেছে কোথাও। বখাটে ছেলেদের মত চেপে আসা সবুজগুলোও আশেপাশে আর ভীড় করছে না। ওল্ড ট্র্যাঙ্ক রোড! নামের মতই যৌবনশূণ্য কদাকার, বেঢপ এক দেহ সৌষ্ঠব এখন। চাক চিক্ক আছে, মসৃনতাও রয়েছে- কেবল কিশোরী কিংবা তরুণীর কাঁচা মাতাল করা- আমন্ত্রণ হতে বিচ্ছিন্ন আজ। সবখানে বয়সের ছাপ ঠিকরে বেরুচ্ছে! পাড়ার ছেলে ছোকড়া টাইপের বেবি ট্যাক্সি অথবা ছোট নড় বড়ে বাস -আজ অবাঞ্ছিত! এখানে শহুরে সাহেবদের মত লরী আর ট্রাক পিষে চলেছে রাত দিন, কর্কষ শব্দে! যদিও আওয়াজ কেবল রাতেই পাওয়া যায়, কান পাতলে, বয়স্ক শীৎকার কেবল।

আধুনিক শহুরে শব্দ। আভিজাত্য আছে। কিশোরীর মত খিল খিলে হাসিটা নেই। মধ্য দুপুরে কেবল দু একটা চিলের ঘূর্ণী খাওয়ার দৃশ্য ওল্ড ট্র্যাঙ্ক রোডের মাথার ওপর। নিস্তব্ধতা; কিংবা এক্সিডেন্ট! প্রৌঢ়ার তাতে আর কি যায় আসে? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।