আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ওমর খৈয়ামের রুবাইয়াত থেকে অনুবাদ

হিন্দু না ওরা মুসলিম ঐ জিজ্ঞাসে কোনজন, কান্ডারি বলো ডুবিছে মানুষ সন্তান মোর মা'র

{বহু কষ্টে রুবাইয়াতের এই অংশটুকু অনুবাদ করলাম। আমার কাছে অসম্ভব সুন্দর মনে হইছে এই অংশটুকু। কেউ কেউ ওমর খৈয়ামরে নাস্তিক বলেন, কেউবা বলেন সূফী। যে যাই বলুক, ওমর খৈয়াম কি বলছেন সেইটা আমরা নিজের নিজের মতো বুইঝা নেবো} মগডালে বসে গাইছে যে গীত, পরান পাখি, দুইটা তাহার অমর বাণী, “আমি আর তুমি’ শোন শোন, মনযোগে, এই গীত হবে শেষ, খুব তাড়াতাড়ি, শুনতে চাইলে, এখনি শুনতে হবে, এই গীত হবে শেষ, খুব তাড়াতাড়ি। সূর্য পাণে, গাইছে যে গীত, পরান পাখি, গীতটা তাহার দারুন ছোট, সদ্য শুরু গীতটা তারি, একটা ডাকে, একটা কাঁপন, হঠাৎ একটু দারুন সুখে, তারপরে শেষ, গীতটাতো শেষ, খুব তাড়াতাড়ি।

নাই কোন বোল, গীতটাতো শেষ, খুব তাড়াতাড়ি। ওরে! আপনারে, মানুষ কেমন করে, অমর ভাবে? মানুষ সে তো, পাত্র মাত্র, আত্মা তাহার মাঝের মদ্য; মানুষ সে তো, বাদ্য যন্ত্র, আত্মা তাহার বাজনা বাদ্য; মানুষ সেতো, একটা লন্ঠন, আত্মা তাহার দিপ্তী মাত্র। হইবা কি সুখি! এই পথে তে, চিন্তা করো, আসছে দিনের, গত দিনের ভাবনা ছাড়ো। এক্ষুনি আর এইখানেতে দেখো, জীবন নামের জাদু-টোনা, বোকার দল, গোল্লায় যাক, আসছে দিনের দুর্ভাবনা। সুলতান কি ছিলাম, না তো, তবু তোমার উজ্জ্বল মুখ, আমার পাশে, চাঁদের চেয়েও উজ্জ্বল মুখ, আমার পাশে, তোমার অমর চুম্বন, ও আমার ভালোবাসা, এর চাইতে বেশি আর কিইবা চাওয়ার আছে।

আমরা সবাই, স্বপ্ন মগ্ন, প্রিয় বেহেশতের চিন্তায়, কিন্তু, ভাবি নাই, এইরকম বেহেশত তো, এইখানেই গড়া যায়। সন্দেহ নাই, বহু বহু দূরে একখানা বেহেশত আছে, কিন্তু সে তো বহু বহু দূর, তুমি তো আমার খুব কাছে। লোকে বলে বেহেশতের কথা, আসলে তো কোন বেহেশতো নাই, ঐখানে। লোকে বলে দোযখের কথা, আসলে তো কোন দোযখ নাই, ঐখানে। লোকে তার পরও বহু কথা বলে যায়, ভবিষ্যত জীবিত থাকে, ও আমার ভালোবাসা, নাই কোন পরকাল, আরেক জীবন, সব কিছু আছে- এইখানে।

ওপরে তাকিয়ে লাভ নেই, কোন উত্তর ওখানে পাবে না, ইবাদতে কোন লাভ নেই, ইবাদত কেউ শুনবেনা। নৈকট্য আল্লাহর যতটা নিকট ঠিক অতটাই দুঁরে, সমানে সমান। আর শোন, প্রতারণা, এইখানে, ঐখানে সমান সমান। কিন্তু এইখানে আছে মদ, সুন্দরি প্রিয়া আছে দুনিয়ার মাঝে, বুদ্ধিমানের মতো, দুঃখ লুকাও তার বাবড়ি চুলের ভাজে। চাইলে দিতে পারো ডুব, জীবনের রহস্য সাগরে, এর চাইতে মূল্যবান, মুক্তা তবু তুমি পাবে নাকো খুঁজে।

আল্লাহ তাহার, গোপন বাণী, সম্ভবত যদি প্রকাশ করেন, আল্লাহ যিনি, নিজের গোপন বাণী, ভালো মতো, গোপন রাখতে জানেন। লুকিয়েছেন তিনি যা, খোঁজার সাহস কার আছে? অপার রহস্য খোদার, প্রকাশ করবেন কি তিনি, সামান্য কিটে’র কাছে? এত এত সাধণা আর মেধা আমার, কেমনে তে সব বৃথা হলি, দুনিয়ার রহস্য অর্থ আমার পানে, মুচকি হাসে, কেমনে জট খুলি, তবে কি ধার্মিক মনে, বিশ্বাসে ডুবে, মেনে নেবো, অন্ধকারে ডুবিয়ে আমায় রেখেছে কোন বেহেশতি ঠুলি? কোরআন! ঠিক আছে, পারলে আসো, পরীক্ষা নাও আমার পুরনো সুন্দর বই, ভূলের কাপরে মোড়া- বিশ্বাস করো, কোরআন থেকে উদ্ধৃতি আমিও দিতে পারি, অবিশ্বাসীর চেয়ে ভালো কোরআন কে বোঝে, কে জানে? আর, তুমি কি ভাবো তোমার কাছেই প্রকাশ করেছেন প্রভূ তার রহস্য, তুমি, এই তোমার মতো কিট পতঙ্গ, অভুক্ত, মৌলবাদি ছাগু, আর আমার কাছে প্রকাশ করেন নাই। ঐ বিশ্বাসেই পরম সুখে সুখি থাকো, ছাগু।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।