ঘুনধরা এক পা হারানো তেপায়া টেবিলটার উপর
জমে থাকে ধুলোর গালিচা।
দেয়ালটায় ঠেস দিয়ে ঝুঁকে থাকে অন্য পায়ের শ্লোক!
বাগানের অলসক্ষেতে আগাছা বাড়ে।
কয়েকটা শালিক এর পায়ের ছাপে মানচিত্র হয়।
আসন্ন ভুমিকম্পের সম্ভাবনায়
পোকামাকড় আর পিঁপড়াগুলো গাছে গাছে আশ্রয় খোঁজে।
রান্নাঘরের মসলার তাকে
রংধনু রং স্বপ্নরা গন্ধ ছড়ায়।
লবঙ্গের চায়ের জলে কাঁপে এক চিলতে নুন!
এলোমেলো শুন্যতায় টেবিলের পড়ে থাকা কবিতার খাতা কাঁদতে থাকে অঝোরে।কলমটা দোয়াতের কালির খোঁজে সর্বত্র ঘুরতে থাকে।
একটা ছাইরং বিকালে
এভাবেই এলোমেলোতায় পৃথিবীর বয়স বেড়ে যায় আরো একদিন।
অন্ধকার নামবার একটু পরই
বাতাস নামে জোরে।
নদীতে পানি বাড়ে বেশুমার!
আকাশ আগুন রং এ রঙ্গিলা সাজে!
এবং এরপরই
সেই তান্ডবটা ঘটে!
এবং তারপর,
বাতাসে শুধু মানুষের গন্ধ!
সাদা,কালো বাদামী সব মানুষ একাকার হয়ে যায় প্রকৃতির সাথে!
ওরা কে যে কোন জাত!
কেউ জানেনা!
ছিন্নভিন্ন কবিতার খাতাটা একপাশে পড়ে শুধু অট্টহাসি হাসতে থাকে!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।