আমার উপরে কত গাড়ী চলে!
আজ মহাসমারোহে পালিত হল ‘বাংলা ঠগ দিবস’। দিবসটি পালনের উদ্দেশ্যে পাবনার হেমায়েতপুরে এক বিশাল সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত সমাবেশে আলু চনা করেন দেশের বিশিষ্ট গণ্য মান্য ব্যক্তিবর্গ। উল্লেখ্য, গতকাল পাবনার হেমায়েতপুরে ‘ঠগ মেলার’ উদ্ভোধন হয়। মেলা প্রাঙ্গনেই দেশের ঠগেরা ‘ঠগ দিবস’ পালন করেছে।
ঠগ দিবসের ইতিহাসঃ আজ থেকে পনেরশ বছর আগে বঙ্গদেশের নাম ছিল ‘ব্লগস্থান’। ‘ব্লগস্থান’ নাম হওয়ার কারন ছিল তৎকালীন বঙ্গদেশে একটা বংশের খুব দাপট ছিল। সেই বংশের নাম ছিল ‘ব্লগ বংশ’। ‘ব্লগ বংশ’ ছিল ‘পাল বংশ’ আর ‘সেন বংশ’ এর আগের বংশ। বাংলাতে যেহেতু তখন ব্লগ পরিবারের আধিপত্য তাই দেশের নাম ছিল ‘ব্লগস্থান’।
‘ব্লগস্থান’ এর দুই পরিবার ছিল পরস্পর প্রতিদন্দী- ছমির মিয়ার পরিবার (সংক্ষেপে ছামু) ও আমীর মিয়ার পরিবার (সংক্ষেপে আমু)। বঙ্গদেশে তারা ছামু আর আমু নামে পরিচিত ছিল। সেই ছামু আর আমুর মাঝে তুমুল বিবাদ লেগেই থাকত। ছামু আর আমুর বিরোধ তুঙ্গে উঠলে এক পরযা্য়ে তা যুদ্ধাবস্থায় রুপ নেয়। যুদ্ধাবস্থা দেখে দেশের কলা জনতা (উল্লেখ্য পনেরশ বছর আগে আম জনতা’র বদলে কলা জনতা শব্দটা পরিচিত ছিল) যুদ্ধ শুরু না করার জন্য গণভোটের প্রস্তাব দেয়।
দেশে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়, যা ছিল পৃথিবীর ইতিহাসের সর্বপ্রথম গণভোট। গণভোটে ছামু মিয়া জয়যুক্ত হয়। ভোটে পরাজিত হয়ে আমু মিয়া কুটিল বুদ্ধির আশ্রয় নেয়। আমু মিয়া প্রতিবেশী দেশের প্রভাবশালা (প্রভাবশালীর পুংলিংগ প্রভাবশালা) ক্ষমতাসীন রাজবংশ ‘ঠগ বংশের’ সাথে যোগাযোগ করেন। প্রতিবেশী দেশ পাঁচশ একচল্লিশ সালের ১লা ফেব্রুয়ারী ‘ব্লগস্থান’ দখল করে নেয়।
পরে গোপন চুক্তির মাধ্যমে দেশের অর্ধেক অংশ ‘ঠগ বংশ’কে উপহার হিসেবে দিয়ে আমু মিয়া ‘ব্লগস্থান’ দখল করেন। আমু মিয়া তৈলবিদ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। আনুগত্যের অংশ হিসেবে তিনি নিজের নাম ‘আমু মিয়া’র বদলে ‘আমু ঠগ’ এ পরিবর্তন করেন। ওনার এই ‘ঠগ’ নামানুসারে তখন থেকে ‘ঠগ’ শব্দটি ‘প্রতারক’ অর্থে ব্যবহ্রত হয়ে আসছে।
সেইদিন থেকে আজ পর্যন্ত বঙ্গদেশের ঠগ সম্প্রদায় ‘বাংলা ঠগ দিবস’ পালন করে আসছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।