রাকিবুল হক ইবন
61.
-'আচ্ছা, বলতো পৃথিবীর কেন্দ্র কোনটি, কেথায় তা?
উত্তরে, শিক্ষক বললো,_ 'আমেরিকা'। কিন্তু ছাত্র ঠিকই বলল-
'না, পৃথিবীর কেন্দ্র হচ্ছে, এই এখন তুমি দাঁড়িয়ে আছ যেখানে, সেইখানটা।
62.
বিশ্বজুরে এখন চলছে বৃদ্ধদের শাসন; এ-টাকে
বদলাতে-হবে, না-হলে আমরা সবাই
একদিন একসাথে নেমে যাবো ভূতলে ...
আর মুছে যাবে পৃথিবী থেকে 'আমাদের সেরা গানগুলি'।
63.
ভোর হয়েছে বলেই কী আমি যাবো শুতে চকলেটরঙা শাড়ি খুলে
গরুর গন্ধমাধা এই টেবিল ছেড়ে আর
তুমি যাবে এক হাম্বা-তারকার দেশে?
64.
যদি আমি আর না-হাঁটি কোনোদিন পৃথিবীর এই কালো পথে পথে
তোমার-ই হাত ধরে চকলেটরঙা রাতে নেঁচে নেঁচে কিছুক্ষণ। আর
স্বপ্ন লাগিয়ে গায়ে, হাতে নিয়ে দেশযুগল।
একটি চালিয়ে পা, দ্রুত
এই বীর মাঠে জীবনের। নতুবা আমি যাবো সেখানে যেখানে দয়ারা আসে, আর তারারা ফোটে সকল ...
65.
উঁড়তে না-পারা সৃষ্টি করেছে
উঁড়া; যেমন সাউন্ডট্রাক সৃষ্টি করল
নির্রজনতা।
66..
বাহির থেকে এসছি আমি বাহিরেই যাবো চলে
নিশি-ডাকে-পাওয়া ওই মানুষগুলির মতো বিপন্ন!
বিশ্বভারনত বিকট এই বৃষ্টির বিটগুলি গুনে গুনে
67.
অতীত-ছাড়া-একজন মানুষ আমি
অতীত-ছাড়া একজন মানুষ
যদিও দেয়ালের অপরপার্শ্ব হতে সর্বদা শুরু হয় আমার জগত।
66.
একদিন আমি ছিঁড়ে যাবো ...
আমি এসেছিলাম এই পৃথিবীতে একটি দেবদারু গাছের
মধ্যে করে সঙ্গে বহন করে একটি খেলনা পৃথিবী।
67.
ভবিষ্যতের দৌড়, বহু দূর ...
68.
যদি তুমি না-আসো ফিরে আমার কপালে শনি আছে।
69.
আজ আমি আমার নিজের মাথায় লাথি মারলাম একটা; আর
কোথায় পালালো সব স্বপ্নের শেষ তারা? তারচেয়ে তোমার পা
দুখানি জিভে করে স্থাপিত আমি কাদি বসে আকাশবিনা।
৭০.
যে-সঙবিধানে
'রাষ্ট্রধর্ম'_ থাকবে
সে সঙবিধান আমি মানবো-না, কোনো দেশে
৭১.
আমি এমন একটি দেশে জন্মেছি, যে দেশের নিজেরই এখন
ট্রিটমেন্ট দরকার; সে-রকম একটি দেশের নিকটে আমার
ট্রিটমেন্ট প্রত্যাশা করি কী-করে, আমি বুঝতে পারছি-না! মা
৭২.
এখন চাইলেই আমি আমার স্বপ্নকে নিয়ন্ত্রন করতে
পারি, ফলে আমি তোমাকে আমার স্বপ্নের মধ্যেও
সন্দেহ করি ...
৭৩.
ইতিহাস পড়েছি আমি
কারো কোনো প্রধান নই, তাই আমি
ইতিহাসের বাইরের কবি!
৭৪.
শিশুর কবরের সমান ছোট ছোট চিন্তা উদ্বার করো আমাকে
কেন এ কার্পেটে হাঁটতে যেয়ে ঘাসের অনুভূতি জাগে মনেমনে?
বৃদ্বের কবরের মতো বৃদ্ধ-বিধবা-চিন্তা এক্ষুনি ছেড়ে দাও আমারে
৭৫.
যেহেতু আমার পাখা নেই
আমি
চাঁদে যাবো ঠিক-ই!
৭৬.
হৃদয়ে কার এমন জ্যোৎস্না
যার প্রয়োজন পড়েই-না!
কোনোই প্রবেশপ্রত্রের ?
৭৭.
ভিতরে আমার একই সঙ্গে
বাঘবাদ
হরিণবাদ,
ঘাসবাদ।
৭৮.
বিশ্বভারনত! আড়িয়াল বিলের শিশুরক্তমাখা জলে
ঘরে-ঢুকিয়ে-দেওয়া হয়েছে এমন একটি আকাশের বর্ণনাতে
জানা যাচ্ছে যে, জোট এর মানসিক সূত্র
৭৯.
উপস্থিত আমি
প্রবেশের ইচ্ছা
পুনঃ পুনঃ উদ্বোধনে
৮০.
-'এ শহর নিয়ে একটা বই লিখলে কেমন হয়'?
-'এ শহর নিয়ে বই লিখলে পাগল হয়ে
যেতে পারো তুমি'!
৮১.
যে কোনো ছাদকেই আমার ভয় নিকট থেকে
তোমার মৃত্যুর চেয়ে রহস্যময় এই ছাদ
ডেকে নিয়ে আসে আমাকে, মরনোত্তর ...
৮২.
প্রধানমন্ত্রীর মুখের চেয়েও
নিকৃষ্ট নাকি!
আমাদের সিনেমার মুখ
৮৩.
চটতে চটতে এক নীল লাল ফুলকি গেল উড়ে দূরবহু, কবর
খোঁড়ার গৌরবে আর নিশ্চয়ই একদিন এ-শহরের
নেশাখোর মেয়েরা অংশ নেবে গনোভ্যত্থানে ...
৮৪.
দিন-দুপুরে চুরি করি
ঠিক-ই
কিন্তু রাত্রিবেলা কথা আছে
৮৫.
একগ্লাশ বিশুদ্ধ জলের খোঁজে_ মধ্যরাতের শিশু
আমি, রান্নাঘর
থেকে ছাদে
৮৬.
শিক্ষক,
তুমি কি আমাকে একটু একা থাকতে দেবে
গাছ আর হাওয়া-হয়ে-যাওয়া শিশুদের সঙ্গে?
৮৭.
কেন সামরিক খেতে খেতে যাচ্ছে
মিলন ও
মুক্তিযোদ্বা ?
৮৮.
লগ্নটা ডানা ঝাপটাতে ঝাপটাতে গুলি করবার;
নতুবা মৃত্যু কোরো তুমি
ফুরিয়ে যাবার আগে ...
৮৯.
জলের শব্দ পাই
শিশিরের শব্দ পাই-না;
শিশিরের শব্দ পায় হৃদয়!
৯০.
আমি একটি ছবি আঁকবো
ছবিতে থাকবে দাড়ি-গোঁফ-কমাহীন রবীন্দ্রনাথের
একটি ন্যাড়া মাথা
৯১.
আমি হারিয়েছি
আমার ছেলেবেলা
সবারই জন্যে
৯২.
মহাবনে এক পা দিলাম,
দ্বিতীয় পা দেবার আগেই কী
মৃত্যু হবে?
৯৩.
খোকাবাবু,
আমি কী পারবো পৃথিবীকে
নাড়া দিতে?
৯৪.
বাঙলাদেশ কখনও সামনে বাড়াতে পারবে-না মুখ!
যদি-না সে তার ইশকুল-কলেজের সমস্ত পাঠ্য
বইকে ছিঁড়ে ফেলতে না-পারে একটি মধুর টানে
৯৫.
কোথায় আমার চাকু?
কোথায় আমার ছুরি ও চাকু?
কেন আমার সঙ্গে বারবার ভুল করো জনগন!
৯৬.
সবচেয়ে বড় দেশপ্রেমিক বলে নিজেদের দাবী করে যারা
সেই সেনাবাহিনী আজো শুদ্ধ করে মাতৃভাষা লিখতে পড়তে
জানে-না, আমি দিতে পারি-এর প্রমাণ
৯৭.
-'দ্যাখো দ্যাখো আমার বয়েসি মেয়ে শক্তিশালী আমার চেয়ে'
-'তোমার বয়সি মেয়ে তোমার চেয়ে শক্তিশালী হয় কী করে'?
৯৮.
বাঙলাদেশের মুখের চেয়ে অনেক বেশি সুন্দর তোমার মুখ!
আমি করবো-না
তা গোপন।
৯৯.
চকলেটের ঘরে রাতের যুদ্বে উদাসীন আমি
বরাবরই(মধ্যরাতের শিশুরা জানলো-না, এ-সব)
যখন একটি বৃদ্ব শিশু কামড়াচ্ছিল মরুভূমি ...
১০০.
কসমেটিক্সের জন্য খুন করা হচ্ছে আমাদেরকে, ...বিছানাতে।
জুতার মধ্য হতে বেরিয়ে আসলো তোমারই স্বদেশের মুখ!
-এই দৃশ্য দেখতে
১০১.
...সম্ভবত, একজীবন হল আনন্দ আমাকে দিয়ে
গেছে
ছেড়ে।
১০২.
এবং এই মর্মে পৃথিবীর কোথাও কোনো
'উপজাতি' বলে থাকবে-
না, শব্দ।
১০৩.
আমাকে জাগিয়ে রেখে
ঘুমতে যায়
মানবরাত্রি!
১০৪.
জলে ডুবানো পঁচা পাটের গন্ধ
তোমার নাভিমূলের ঘ্রাণ!
পৃথিবীর দুই শ্রেষ্ঠ গন্ধ নিয়ে গোল্লায় যাই চল
১০৫.
আরো অবাধ স্বাধীন-সৌন্দর্যের
পথে ডাকছি
১০৬.
রাস্তার ধারের পার্কে-টবে-আইল্যান্ডে আটকে আছে
পৃথিবীর তাব্ৎ
দো-পাটি, চেরী ...
১০৭.
প্রিয়তা,
কী করে তুমি শুনতে পারো আমার চমৎকার গুলির শব্দ,
আমি শুনি শুধু গীটার পতনের শব্দ
আর বরফের নিচে নিহত আমাদের এ সভ্যতাগুলো।
১০৮.
উদ্ভীদ! আবিস্কারের পর জানা যাবে যে মাটিরও
জীবন ছিল বটে, তারপর ...আলোর, জলের,
পাহাড়ের, এমনকী এই আগুনের, ও মধম্যার ...
১০৯.
মুহম্মদ মুহম্মদ চারপাশে এ-সব কী হচ্ছে হাবিজাবি?
তুমি বেঁচে থাকলে হয়তো আমাদের মতই
শয়তান হয়ে যেতে এখন, নিশ্তিচ জানি!
১১০.
যেসাস, মুসা, ঈসা, মুহমম্মদ কিংবা গৌতম বুদ্ধরা
(এরা বেঁচে থাকলে) জাগতিক বিচারে,
আমাদের মতোই একধরনের মানসিক
রোগী বলে বিবেচিত হত এ কালে ...
১১১.
বছর বছর পূর্বে আমি একবার
খুলেমেলে ধরেছিলাম
আমি আমার মায়ের হারানো ইরানীদের মত কুমারীস্তন!
১১২.
আমার স্বপ্ন-ট্প্নতে তোমার পদার্পনে, আমি
পালাতে চাই সবর্ত্র
কিন্তু কেন?
১১৩.
হা, আমিই করেছি এ-খুন, কেন করেছি? এতো কিছু তো
জানি-না। যে জানে পূর্বেই তাকে জিজ্ঞাসা করো। যেহেতু
তার ইচ্ছা ছাড়া গাছের শাখা, ইলিশের পাখা পর্যন্ত নড়ে
-না, চড়ে-না ...
১১৪.
আমার হাস্যকর লাগে দেশে দেশে পতাকা (আবার তার মধ্যে
সাংগঠনিক ফ্লাগ!) ঘৃনা করি সব ধরনের জাতীয়তাবাদ।
কোথাও
কোনোও জাতীয়-সঙ্গীত থাকবেনা, এবং এই মর্মে পৃথিবীর
...সব প্রধান সঙ্গীত-ই আমার প্রাণ!
১১৫.
এতো গেরিলা দেখি
এই বাংলার পাখি তাই
মায়াবীডাক আজ শুধু
কলিংবেলে শুনি ...
১১৬.
বারবার খুলতে যেয়ে
চেইন
আগেই খুলে বসে আছি স্তন!
১১৭.
ওরা যদি ডাক দেয় জেহাদের! আমরা কী ডাক দিবো যুদ্বের?
ত্রোধে-রাগে পুড়িয়ে দেবো জোয়ান অব অর্ক, সত্রেুটিস আর
হুমায়ুন আজাদের মতো কোরান, বেদ, বাইবেল?
১১৮.
এই যে আমাদের আশ্বিনের খোলামাঠ, মনের
যত গীতিময়তা, তাই নিয়ে আজ
মেতেছে ড্রিগ্র্রী, মেতেছে সুশীলেরা ...
১১৯.
পাহাড়ের পায়ে কী ব্যথা? পাহাড়ের!
তাই সে হেঁটে হেঁটে পৌঁছতে পারলো-না
বাড়ী আমাদের!?
১২০.
যেন আমি সেই দাস,
যার দিকে নজর রেখেছে ব্যাবসায়্যী
কল্ববাস।
১২১.
সকল প্রশংসা কার?
নিশ্চয়ই একমাত্র আমার
মা'র।
১২২.
একটি সাবমেরিন হতে পাঠানো নির্দেশে নকল চাঁদের মত
একটি উপগ্রহ উঁড়ে গেলে ঢেকে যায় আমাদের সবার-ই
বিশ্বগ্রাম
১২৩.
কৈ, ইলিশ না,
আপেল, কাঠাল না
দোপাটি, শাপলাও না।
১২৪.
কীর্তনখোলার মতো সেক্সি যেই নারী
ভালো নামের অভাবে তাকে ডাকতে পারি
বলে 'অনুমতি'।
১২৫.
বনলতা সেনকে
শাররীক অবয়ব দিতে চাইবে যে লোক
তার আমার মতোই অল্প বয়সে মৃত্যু হোক!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।