আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ওলফ মুন, খেলনা ক্যামেরা, সিআইডি........ অতঃপর কয়েকটি ছবি!

^^^^^^^^^
গতরাতে পৃথিবী থেকে চাঁদের ভিউটা ছিল ২০১০ এ সবচেয়ে বড়। এটাকে উলফ মুন কেন বলা হয় সে ইতিহাস পড়ে সময় নষ্ট না করে পুরোদমে চন্দ্র দর্শনটাই বুদ্ধিমানের কাজ ভেবে রাতে খেয়েই বেরিয়ে পড়ি। কর্ণিসের পার্কিং এ গাড়িটা টেনে নিয়ে ফ্রি ওয়াইফাইকে ধন্যবাদ দিয়ে শুরু করি টুকটাক ব্লগিং আর ফেসবুকিং। দোহা কর্ণিসটা অর্ধ চন্দ্রাকৃতির, কর্নিস রোডে গেলে বোঝা যায়না পূর্ব পশ্চিম কোনদিকে। চাঁদটাকে আরাম করে দেখতে পাওয়ার জন্য গাড়ির টেকি যন্ত্রপাতির সাহায্যে উত্তরমুখি হয়ে যায়গাটায় পার্ক করেছিলাম, চাঁদটা ততক্ষণে হাতের ডানপাশে অনেকটাই উপরে উঠে গেছে।

আমার খেলনা ক্যামেরাটা সাথেই ছিল, কয়টা ছবি তুলেছি এদিক সেদিক। এমন সময় একটি সিডান এসে খুব সাবধানে আমার গাড়ির পাশে পার্ক করে, কিছুক্ষণ থেকে আবার চলেও যায়। ঘন্টাখানেক পরে রেডবুলের ক্যান কে ট্রাইপড বানিয়ে ছবি উঠাচ্ছিলাম, মেইন রোড থেকে এদিকটার পার্কিং এ আবারো দুইটা গাড়ি প্রবেশ করে, দু'টাই আমার গাড়ির কিছু দূরে দুপাশে পার্ক করে। আবছা সড়কবাতির আলো আর চাঁদের আলোতে দেখতে পাই দু'পাশ থেকে চারজন লোক খুবই স্বাভাবিক ভংগিতে আমার দিকে আসছে। আমার বুঝতে অসুবিধা হয়না তারা কারা, তাই কোন সুজোগ না দিয়ে আমি আমার কাজ করতেই থাকি।

আমার খুব কাছদিয়ে হেঁটে তারা আবার নিজেদের গাড়ি নিয়ে চলে যায়, আমাকে কিছুই বলেনা। ঐ এলাকাটায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা এতটাই কড়াকড়ি যে রাত তিনটা বাজেও অনেক মহিলা একাকি সমূদ্র দর্শনে বা হন্টনে আসতে কোনরকম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন না। রাতের নীরবতা আর রাস্তায় ছুটে চলা গাড়িগুলোর চাকা আর সাইলেন্সারের আর্তনাদ ছাপিয়ে হঠাৎ ডিং ডং.... ডং ডং ডং! অনেক্ষণ ঘড়ি দেখিনি। আমিরি দেওয়ানের ঘড়িটার আওয়াজে সম্বিৎ ফিরে আসে, এবার ফিরতে হবে। ঠান্ডা বাতাসে হাতের আংগুলের ডগাগুলো বরফের মত হয়ে আছে।

চাঁদটার তখনো আরো অনেক পথ পাড়ি দেয়া বাকি, আমাকে ফিরতে হবে, ঘুমাতে হবে.......
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।