আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে ঝিনাইদহের যুগ্ম জজ জামিউল চিকিৎসার জন্য লাগবে ৫০ লাখ টাকা

পরে বলবো

ঝিনাইদহের এক তরুন বিচারক এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে। প্রাণঘাতি ভাইরাস হেপাটাইটিস-সি জনিত রোগে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। অসুস্থ ঝিনাইদহের যুগ্ন জেলা জজ মোঃ জামিউল হায়দারের আয়ু যেনো ফুটো বেলুনের মতো ছোট হয়ে আসছে। চম্বুকের মত কাছে টানছে মৃত্যুর হিমশীতল পরশ। জাগতিক লোভ-লালসায় উর্ধ্বে উঠে আইনের শাসন ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় ছিল যার ব্রত, সেই প্রতিশ্রুতিশীল বিচারক জামিউল হায়দারকে চিকিৎসার জন্য আজ হাত পাততে হচ্ছে সমাজের বিত্তবানদের কাছে।

লিভার সিরোসিস রোগ চিকিৎসার মতো টাকা প্রয়োজন তার নেই। জীবনের সহায় সম্বল চিকিৎসার পিছনে ব্যয় করে হতবিহ্বল, বাকরুদ্ধ জামিউলের স্ত্রী। অবুঝ সন্তান সাফা ও রাফা কচি হাতের ভাঙ্গা ভাঙ্গা চিঠিতে জানাচ্ছে পিতার চিকিৎসার কথা। পিতার কিছু হলে কি হবে তাদের? কাকে বাবা বলে ডাকবে তারা? কিংকর্তব্যবিমূঢ় জামিউলের স্ত্রী সাবিরা আহম্মেদ অসহায় হয়ে দেখেন স্বামীর ক্রমশ নিভে যাওয়া জীবন প্রদিপ। বর্তমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যপক এ কে এম খোরশেদ আলমের অধীনে চিকিৎসাধীন আছেন ঝিনাইদহের জেলা যুগ্ন জজ জামিউল।

দেড় বৎসরের মধ্যে তিনি ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কোলকাতার বেলভিউ ক্লিনিক, নয়াদিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতাল ও সব শেষে সিঙ্গাপুরে ন্যাশনাল ইউনিভারসিটি হাসপাতালে ভর্তিসহ দেশ বিদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের চিকিৎসা নিয়েছেন। চিকিৎসকদের মতে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট ছাড়া তার বেচেঁ থাকা অসম্ভব। নয়াদিল্লিস্থ গঙ্গারাম হাসপাতালের লিভার ট্রান্সপ্লান্টের জন্য বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৫০ লাখ টাকার প্রয়োজন তার। সহায় সম্পদ বিক্রি করে তিনি ইতিমধ্যে ৩০ লাখ টাকা জোগাড় করেছেন বলে জামিউল সাংবাদিকদের জানান। সমাজের বিত্তবানদের প্রতি জামিউলের শিশু সন্তান সাফা-রাফার আকুতি আমার আব্বুকে বাচিয়ে তুলুন।

জামিউলের সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা মোঃ জামিউল হায়দার, সঞ্চয় হিসাব নং- ০০২৩১৩০৩৬ সোনালী ব্যাংক লিঃ ঝিনাইদহ শাখা, ঝিনাইদহ। অথবা মোঃ জামিউল হায়দার সঞ্চয় হিসাব নং ৮৬৬৪-৬, পূবালী ব্যাংক লিঃ শিশুপার্ক ঢাকা। যোগাযোগ মোবাইল নং ০১৭২৭৩৮০৩৩৩।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।