korchagin_pavel@yahoo.com
১৯৭২ সালে আমি খুবই ছোট। তিন ভাই আর বাবা মাকে নিয়ে আমাদের পরিবার। বাবা কখনোই রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন না। কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের পক্ষে কাজ করেছেন।
দেশ স্বাধীন হবার পরও শেখ মুজিব পাকিস্তানের জেলে বন্দী ছিল।
আমার মনে আছে বাবা আর মা তিনটা রোজা রেখেছিলেন। যাতে খোদা পাক শেখ মুজিবকে বিপদ থেকে রক্ষা করেন। যেদিন শেখ মুজিব বাংলাদেশে আসেন সেদিন বাবা বলেছিলেন আজই মাত্র দেশ স্বাধীন হোল। আজ আমাদের ঈদ।
৭২ থেকে ৭৫, সময় পরিবর্তন হচ্ছিল যেন খুব দ্রুত।
এ সময়ে অনেক নতুন নতুন উপাদান আমাদের সমাজে এসে হাজির হয় - জাসদ, মাওলানা ভাসানী, সিরাজ সিকদার, দুর্ভিক্ষ, লাল বাহিনী, রক্ষী বাহিনী, শুধু ৪টি বৈধ পত্রিকা, সব দল নিষিদ্ধ , বাকশাল, শেখ কামাল, দলীয় চোরাকারবারী, শেখ মণি, গাজী গোলাম মোস্তাফা, কম্বল ইত্যাদী ইত্যাদী।
১৫ আগস্ট সকালে বাসায় আমরা সকালের নাস্তার টেবিলে বসতে যাবো।
বাবা রেডিও হাতে হঠাৎ চিৎকার করে উঠলেন।
আমার মনে আছে বাবা বললেন - দেশের সবাই ভীরু আর কাপুরুষ না। আজ বুকের উপরে চেপে থাকা পাথর সরলো।
আমি তখন আর নিতান্তই শিশু না। খুব ভালো করেই বুঝলাম শুধু বাবা না, অনেকের চোখে মুখে স্বস্তি।
ফারুক ডালিমদের ঘটনাটা অনেককেই স্বস্তি দিয়েছিল।
আজ যখন ফারুক ডালিমদের বিচার হোল তখন তাদেরও বিচার হওয়া উচিৎ যারা এ ঘটনার কারনে স্বস্তি পেয়েছিল (মানে ঘটনাটাকে সমর্থন করেছিল) । কারণ তাদের এই সমর্থন ফারুক ডালিমদের এ ঘটনা ঘটানোর শক্তির বড় উৎস ছিল।
জানি এটা সম্ভব না। কারন, এ যে দু চার জন না। অনেক।
(বাবা এরই মাঝে পরলোকগত হয়েছেন, বাবার সাথে সব বিষয়ে যে আমি একমত ছিলাম তা না তবে এই বিষয়ে তার অনুভুতি ঠিক বুঝেছিলাম বলে মনে হয়)।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।