আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক্লাইমেট-ড্রাগনের ভয়াল ছোবল চালের উৎপাদনে - ১০০ কোটি মানুষের মুখের গ্রাস হুমকীর মুখে!

যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে

বর্তমানে বিশ্বে যে তাপমাত্রা রয়েছে তার থেকে ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেলে মানবজাতি যে সমস্ত বিপদের সম্মুখীন হবে তার একটা তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেছে গবেষকরা। গবেষকরা আশংকা করছেন এটা ঘটবে ২১০০ সালের মধ্যে। বিপদসমূহ চিন্থিত করা হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের মাত্রা, সময়, দীর্ঘসূত্রিতা এবং পুনরাগম, ঝুঁকি ও অভ্যস্ততা বিচার করে। প্রথমত ব্যাপক খাদ্য সমস্যার কবলে পড়তে পারে বিশ্ব। যদি ১ থেকে ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় তবে নিম্ন অক্ষাংশের অঞ্চলে ধান, গম জাতিয় ফসলের উৎপাদন ব্যহত হবে।

আমাদের জন্য এর চেয়ে ভয়াবহ দুঃসংবাদ আর কিছুই হতে পারে না কারণ বাংলাদেশ নিম্ন অক্ষাংশে অবস্থিত। বিশ্বের প্রায় সিংহভাগ চাল উৎপাদন হয় চায়না (২৬%), ভারত (২০%), ইন্দোনেশিয়া (৯%) ও বাংলাদেশ (৫%) - যা বিশ্বব্যাপী মোট উৎপাদনের ৬০%। এর মধ্যে ভারতের বৃহৎ চাল উৎপাদন অঞ্চল এবং ইন্দোনেশিয়ার পুরো অঞ্চল নিম্ন অক্ষাংশে অবস্থিত। এছাড়া মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, লাওস সহ অন্যান্য চাল উৎপাদনকারী দেশও প্রায় একই সমান্তরালে অবস্থিত। বৃদ্ধিপ্রাপ্ত তাপমাত্রায় আগামী একশ বছরের মধ্যে এসব দেশের চাল উৎপাদনের পরিমাণ কমে যাবে।

লক্ষ্য করে দেখুন বাংলাদেশ যে সমস্ত দেশ থেকে প্রধানত চাল আমদানী করে, যেমন, ভারত ও মায়ানমার, এর মধ্যে রয়েছে। ফলে প্রধান খাদ্যশষ্য চালের উৎপাদন ব্যবস্থায় মহাবিপর্যয় অত্যাসন্ন। তদুপরি ২০০৮ সালে চাল আমদানী নিয়ে বিশ্ব-রাজনীতির যে ঘৃণ্য চিত্র আমাদের দেখতে হয়েছে এরপর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের কপালে কি আছে কল্পনা করা যায় না। খাদ্যাভাস পরিবর্তন ছাড়া সম্ভবত আর কোনো উপায় থাকবে না। এ অঞ্চলের প্রায় একশকোটি মানুষ খাদ্যশষ্য উৎপাদন হ্রাস পাওয়ায় সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

সূত্র: 19.3.1 Introduction to Table 19.1 , Chapter 19: Assessing Key Vulnerabilities and the Risk from Climate Change, Climate Change 2007: Working Group II: Impacts, Adaption and Vulnerability

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।