আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফাও প্যাচাল ১

সহনশীলতা মানেই দূর্বলতা নয়...

আজগর গজগজ করতে করতে বলে - "কাজের বেটি এইটা কোন কামই করতে পারে না ঠিকমতো" "কেন, কি হইসে?" - নিরীহ মুখে প্রশ্ন রাখে মার্শাল। "আরে বাল, জিন্সের প্যান্টের লগে জাঙ্গিয়া একলগে ভিজাইসে ধোয়ার লেইগা। জাঙ্গিয়ার রঙ ধুইয়া প্যান্টের বারোটা বাজায় দিসে। " "এহ... নিজের জাঙ্গিয়া নিজে ধুইতে পারোস না? নবাবের বাচ্চা হইসোস নাকি?" "ক্যা? নিজের জাঙ্গিয়া নিজে ধুইলে আর কামের বেটি রাখসি কিল্লেইগা?" মাঝখানে থেকে হারুন বামহাত ঢুকায়... "এইখানে বিষয়টা রুচির। থিওর‌্যাটিকালি, আজগর যেহেতু বুয়াকে কাপড় ধোয়ার জন্য পয়সা দিয়া রাখসে, আর বুয়াও তাতে রাজি হইসে, এবং যেহেতু জাঙ্গিয়া একধরনে কাপড়ের মধ্যেই পড়ে, সেহেতু বুয়া এইটা ধুইতে বাধ্য।

শুধু আজগরের জাঙ্গিয়া কেনো, আজগরের দেড়-ফুটি ডার্লিং এর জাঙ্গিয়া ধুইতেও বাধ্য। কিন্তু বাধ্য হইলেও কামটা করানো ঠিক না... কারন এইটা আমার কাসে অরুচিকর ঠেকে। ঠিক যেই রকম অরুচিকর ঠেকে মনিকারে দিয়া ক্লিনটনের ব্লো-জব করানোটা। " এই হারুনটা সবসময়ই একটু জ্ঞানী মোডে থাকে, এই যেমন বুঝদারের মতো একটা ডায়ালগ দিয়ে দিলো। মার্শাল একটু বিরক্ত হলো, শালার আজগররে পাওয়া গেসিলো যুইত মতো, চামে একটু ঝারা যাইতো, দিলো শালা মুডটা নষ্ট কইরা! "কি সব বালছাল বকা শুরু করলি? কই থেইকা কই গেলিগা... আমার জিন্সের প্যান্টটা যে নষ্ট হইলো, হেইডার কি হইবো" "আরে , প্রবলেম তো এইখানে একটা না।

তোর জিন্সের প্যান্ট নষ্ট হইসে, এইটা যেমন একটা প্রবলেম, তোর রুচিও নষ্ট হইয়া গেসে, সেইটাও একটা প্রবলেম। এবং এরা অঙ্গাঅঙ্গীভাবে জড়িত। রাম-লক্ষণ ভাই-ভাই। বুচ্ছোস???"... হারুন আবারো জ্ঞান ঝেড়ে দিলো। তবে এইবার মার্শাল একটু খুশিই হইলো, আজগররে পচানো গেসে! এইবার সে ফ্লোর নিলো..."আর কি এমন প্যান্ট নষ্ট হইসে যে এই রকম লাফালাফি করতাসোস, পরোস তো বাল ১৫০ টাকার বঙ্গ'র প্যান্ট।

" আজগর একেবারে তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠলো - "প্যান্ট চিনস শালা? এইটা তোর বঙ্গ'র প্যান্ট মনে হইলো? শালা যার যেই রকম রুচি! নগদ ১৬০০ টাকা দিয়া সুমি আমারে কিনা দিসিলো বসুন্ধরা থেইকা। " "তোর এই দেড়-ফুটি মালটা একটা চিজ রে! আমারে এই প্যান্ট যদি কেউ মাগনাও দিতো, আরো লগে ১৬০০ টাকা দিতো, তাও তো নিতাম না!" - মার্শাল ফোড়ন কাটলো। "তুই নিবি কেমনে? চিনস তো অই বঙ্গই। আরো অই কথাটা শুনসস না? কুত্তার পেটে ঘি সয় না! তোগো লগে কথা কইতে আসাটাই মিসটেক অফ দ্যা সেঞ্চুরী। " "হালার পো, বসুন্ধরা চোদাও! বসুন্ধরা একটা শোষকশ্রেণীর প্রতিনিধিত্বকারী লুটেরা এনটিটি মাত্র! বসুন্ধরাতে আমি মুততেও যাই না..." মার্শাল আবার বামপন্থী চেতনায় বিশ্বাসী! মাঝেমাঝেই শ্রেণীতত্ত্ব নিয়ে বেশ ক্ষেপে উঠে, আমরা তেমন একটা পাত্তাটাত্তা দেই না।

হাওয়া ফুরিয়ে গেলে এমনিতেই আবার মাটিতে নেমে আসে। "চাপা বন্ধ কর বাল। ফুটা পকেট লইয়া তোরে কেউ বসুন্ধরাতে ঢুকতেও দিবো না। ", আজগর ঝাঁঝিয়ে ওঠে। "ক্যা, বসুন্ধরাতে ঢুকার আগে কি খোমা আর পকেট স্ক্যান করে নাকি?" মার্শালও সমান তেজে লড়ে যায়! "করে না, তয় তোরে দেইখ্যা করতেও পারে।

" "তয়, একটা কথা মাথায় চিলিক দিয়া গেলো রে..." এইবার বেশ সিরিয়াস মুখে হারুন বলে - "বসুন্ধরায় গেলে কতো রং-বেরঙ্গের মানুষ দেখা যায়। সবার তেল চকচকে চেহারা, ঘন্টা দুয়েক থাইকা দশ পনেরো হাজার টাকার বাজার কইরা, আট তলায় গিয়া ইন্ডিয়ান দহি বড়া মাইরা, পান-মাসালা জাবর কাটতে কাটতে বাইর হয়, বাইর হইলেই ভুখা নাঙ্গা ফকিরগুলা জাইক্যা ধরে, বাচ্চা বাচ্চা পোলাপাইনগুলা খাড়া রইদের মধ্যে এইটা সেইটা বেচতাসে... এইটা চিন্তা করার পর আজগরের বুয়ারে দিয়া জাঙ্গিয়া ধোয়ানোটা বা ক্লিনটনের মনিকারে দিয়া ব্লোজব করানোটা তেমন একটা অশ্লীল ঠেকতাসে না। দেশের ২% মানুষই যেইখানে বাকি ৯৮% মানুষরে দিয়া ব্লোজব করাইতেসে। প্রবলেমটা আমি ধরতে পারসি রে, আজগর। শুধু তোর না, পুরা দেশেরই রুচি নষ্ট হইয়া গেসে, তুই ভিক্টিম মাত্র!"


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।