ভারতের রাজনীতিবিদ পশ্চিমবঙ্গের দীর্ঘকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু জীবিত অবস্থায়ই শরীর দান করে গেছেন চিকিৎসাবিজ্ঞানে গবেষণার কাজে। আর এটিই এখন বিশাল প্রভাব রাখছে তার মরণোত্তর পশ্চিমবাংলায়। জানা গেছে, তার পথ অনুসরণ করে এখন অনেকেই শরীর দান করতে এগিয়ে আসছেন। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়ার।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এ বছর জানুয়ারির ১৯ তারিখে জ্যোতি বসুর ইচ্ছা অনুসারেই সরকারি এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসা বিজ্ঞানে ব্যবহারের জন্য তার শরীরটি দান করা হয়েছিলো।
‘জ্ঞানদর্পণ’ নামে একটি শরীর দান বিষয়ক এনজিও জানিয়েছে, জ্যোতি বসুর দেহ দানের ঘটনার পর প্রায় তিন হাজার লোক চিকিৎসা বিজ্ঞানে ব্যবহারের জন্য মৃত্যুর পর তাদের শরীর দান করার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। এর মধ্যে অনেক তরুণও আছেন।
‘উদয়ের পথে’ নামের আরেকটি এনজিও জানিয়েছে তাদের কাছেও শরীর দান করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে অনেকেই। তারা জানিয়েছে, লোকজন জ্যোতি বসুর প্রতি আবেগপ্রবণ হয়েও এই বিষয়টি ঘটাতে পারে।
উল্লেখ্য, ভারতের পশ্চিমবাংলায় ৯টি মেডিকেল কলেজে প্রতিবছর ২০টি শরীরের প্রয়োজন পড়লেও গড়ে তারা পান সর্ব্বোচ ১৩-১৪টি।
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল এডুকেশন অ্যান্ড রিচার্স (আইপিজিএমইআর) এর বরাতে জানা গেছে, প্রতি বছর তাদের প্রয়োজন পড়ে ১৪ টি শরীর।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, জ্যোতি বসু মৃত্যুর পরও ভারতের মেডিকেল টেকনোলজির গবেষণায় বড় প্রভাব রাখলেন!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।