আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পড় তোমার সন্দেহের নামে



স্বভাবতই বিজ্ঞাপনের কৃপা ধন্য দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক মাত্রই এক ধরনের বিনয়ী বিশৃঙখলতার দাস। হয়তো আমরা কোন কোন ক্ষেত্রে এ বৃত্ত বলয়ের উদ্ধে নই। অবশ্যই সম্পাদক নিজে ও করপুটে অন্ধকার নিয়ে দেখেন কিংবা দেখতেন গৃহত্যাগী জোছনা । একজন সৎ লেখক মাত্রই বেদনার অংকুরনে ঠাসা বুনটের মূচ্ছনায় ব্যাস্ততাকে সরিয়ে ধ্যানস্থ হয়ে পড়েন সুকন্ঠি পংক্তি নির্মানে। কিন্তু, সেই বিনয়ী বিশৃঙখল বৃত্তের করাল ঘ্রাসে পড়ে স্বাপ্নিক মোচড় খাওয়া মন দেয়াল টপকে ঘিন্জিগলি থেকে আয়োজন করে আকাশ দেখার প্রাসঙ্গিকতায় জোছনাশৈলী ময়দানে বেরিয়ে আসে, ঠিক তখনই বিনয়ী বিশৃঙখলতার দাস গৃহত্যাগী জোছনার বদলে তার করপুটের অন্ধকার টুকুই বরাদ্দ করেন একটি স্বাপ্নিক মোচড় খাওয়া মনের জন্য।

গত ২২ জানুয়ারী দৈনিক কালের কন্ঠে`র শিলালিপি সম্পাদকের কাছে কবি যিশু মহমমদ ভানমুক্ত হয়েই আবদার করেছিল তারা যেন যুগবহির্ভূত বা যুগান্ধ না হয়, যেন কালের গরজ টের পায়। দৈনিক কালের কন্ঠ গরজ টের পেয়েছিল ঠিকই, সেটি কালের গরজ নয় মালিক শ্রেণীর আসল চরিত্র ধরে রাখার গরজ। শিলালিপি সম্পাদক এই গরজে গর্জে উঠে যা করলেন তা রীতিমত ধর্ষণ। শিলালিপি সম্পাদক যার উপর ধর্ষণ কার্যটি সম্পাদন করেছেন সে হলো দৈনিক কালের কন্ঠে`র শিলালিপি`কে লেখা কবি যিশু মহমমদ এর একটি চিঠি। মূল চিঠিটি ধর্ষণের পর যেমন করে ছাপা হলো তা এ রকম: সে যেন কালের গরজ টের পায় ----------------------------- ভানমুক্ত হয়ে এ কথাই বলতে চাই, সাহিত্য সাময়িকীর পাতাও সৎ লেখক ও সৎ সাহিত্য ধারণ করার হিম্মত বা যোগ্যতা রাখে।

কোনো ভালো লেখক আপসহীন হতে পারে না। তিনি নিজের অজান্তেই নিজের কাজটা করে চলেন। তাই কোনো কোনো লেখক প্রায়ই দৈনিকের সাহিত্য সাময়িকীতে লিখতে গিয়ে হিনম্মন্যতায় ভোগেন। আমি মনে করি দৈনিকের সাহিত্য পাতার চরিত্র নির্ভর করে সেই পাতার লেখক ও সম্পাদকের ওপর। আর একজন লেখকের, সম্পাদকের সততা ও সংকল্প থাকাটা খুব জরুরি।

একজন সৎ লেখকের ওপর সামাজিক, সাংস্কৃতিক উত্তরণের এক ধরনের দায় বা ভার এসেই পড়ে। ফলে লেখক সবসময় অপ্রতিরোধ্য। এখন প্রশ্ন জাগে, দৈনিকের সাহিত্য পাতা ওই সিরিয়াস লেখকের অপ্রতিরোধ্য চেতনাকে কি ধারণ করতে পারে? আমি মনে করি একজন লেখকের কলম চালানোর অন্যতম জায়গা দৈনিকের সাহিত্য পাতা। অনেকেই হয়তো আমার সাথে একমত হতে নাও পারেন। যাই হোক, এসব গোমরের গোঁ ধরার সঙ্গে সঙ্গে এ-ও বলে রাখা উচিত, সময়, সমাজকে ডাকাতের হাতে বর্গা দেওয়ার ফলে আজ সবাইকে চরিত্রবল হারানোর খেসারত দিতে হচ্ছে।

দেখা যাচ্ছে, সাম্প্রতিক লেখকরা দ্রুত সফলতা ও সামাজিক মর্যাদাকামী, যা আসলে লেখকের জন্য স্থূল ও নিছক মাত্র। তা টেকানোর জন্য বহু লেখক আত্দবিক্রয়ের ভঙ্গিও আয়ত্ত করেন। উল্টোদিকে ভাগাভাগিতে কম পড়েছে বলে, হঠাৎ দৈনিকবিরোধী, উচ্চকণ্ঠ তাঁরা। যে পুকুরে সাঁতার কাটতে অম তার প েসমুদ্র সন্তরণের বুলি না আওড়ানোই ভালো। সব হম্বিতম্বি বাদ দিয়ে আসল কথা হলো, 'সব দেশের মতো আমাদের দেশেরও সাহিত্যের ভবিষ্যৎ দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও জাতীয় সুষ্ঠুরূপ গ্রহণের ওপর নির্ভরশীল।

' এ কোনো আপ্তবিশ্বাস নয়। অনেকেই মনে করেন_সাহিত্য ও রাজনীতি আলাদা ভাব, অনেক ফারাক। বস্তুত সাহিত্যে রাজনীতি শুরু থেকেই আছে, আর সাহিত্য সময় ও ইতিহাস পর্যবেণের একটি বিশেষ দৃষ্টিকোণ। যা বিবেচ্য তা হলো. রাজনীতির ধরনটা কেমন হবে। যাই হোক, এবার ভানমুক্ত বা যুক্ত হয়েই বলি, দৈনিক কালের কণ্ঠ ও তার সাহিত্য সাময়িকী 'শিলালিপি'র কাছে আবদার সে যেন যুগবহির্ভূত বা যুগান্ধ না হয়, সে যেন কালের গরজ টের পায়।

ধর্ষনের পুর্বাবস্থায় যিশু মহমমদে`র চিঠিটি যেমন ছিল তা ও নিচে সেঁটে দিলাম: সে যেন কালের গরজ টের পায় --------------------------- যিশু মহমমদ ভানমুক্ত হয়ে ঐ কথাই বলতে চাচ্ছি যে, সাহিত্য সাময়িকীর পাতা সৎ লেখক বা সৎ সাহিত্য- কোনটাই ধারণ করার হিম্মত বা যোগ্যতা রাখে না। যদি ভালো লেখক তকমাধারী কেউ লিখলোই বটে, তবে তিনি কখনো নিজের কখনো দৈনিক পত্রিকার দরাদরির স্বার্থেই কাজে লাগেন। তাই সৎ সাহিত্যক প্রায়শঃ দৈনিকের সাহিত্য সাময়িকীতে লিখতে গিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। কেননা সাহিত্যের, সাহিত্যিকের সত্য , সৎ' , সংকল্পে সাধারণত এসব সাময়িকী নিপীড়কের ভুমিকায় থাকে। থাকবেই , কেননা তার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি যথেষ্ট পরিমানেই কানা, একচোখা কিংবা ছানিপড়া ইত্যাদি।

তার উপর সামাজিক সাংসারিক, সাংস্কৃতিক অজ্ঞতা ও- সাগরেদি, সুপারিশি, সমোঝতাকারী স্বার্থের সঙ্গে বিকৃত রুচির ভাব-বানিজ্যকে মাপমতোন নিয়েই সাময়িকী গুলো লেখক নির্বাচন করে ও কুটচালের সঙ্গে ব্যবহার করে। কেউ কেউ নিরপেক্ষ থাকার মূকাভিনয় করে, কেউবা নিন্দার কাঁটা গায়ে লাগার আগেই তাক লাগানো(?) লেখা ছাপিয়ে চরিত্রকে গোপন করে। যাই হোক এই সমস্ত গোমরের গোঁ ধরার সাথে সাথে এও বলে রাখা উচিত যে সময়, সমাজকে ডাকাতের হাতে বর্গা দেওয়ার ফলেই নিজস্ব চরিত্রবল হারানোর খেসারত দিতে হচ্ছে। যদি হর্তাকর্তা সাজা মুরুব্বিরা(সম্পাদকগন) এ স্বীকার করেন- তবে হয়ত ইতিহাস একদিন তাদের প্রতি নমনীয় হবে। আবার অন্যদিকে দ্রুত সফলতা, সামাজিক মর্যাদা- যা আসলে স্থূল ও নিছক মাত্র তা টেকানোর জন্য বহু লেখক আত্মবিক্রয়ের ভঙ্গিও আয়ত্ত করেন।

উল্টো দিকে ভাগাভাগিতে কম পড়েছে বলে, হঠাৎ দৈনিকবিরোধী, উচ্চকণ্ঠ যারা তাদের জন্য বলি- যে পুকুরে সাঁতার কাটতে অক্ষম তার পক্ষে সমুদ্র সন্তরণের বুলি না আওড়ানোই ভালো। সকল হম্বিতম্বি বাদ দিয়ে আসল কথা হলো, 'সব দেশের মতো আমাদের দেশেরও সাহিত্যের ভবিষ্যৎ দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও জাতীয় সুষ্ঠুরূপ গ্রহণের ওপর নির্ভরশীল। ' এ কোনো আপ্তবিশ্বাস(dogma) নয়। অনেকেই মনে করে অনেককিছুর মত করেই- সাহিত্য ও রাজনীতি আলাদা ভাব, অনেক ফারাক। বস্তুত, সাহিত্যে রাজনীতি শুরু থেকেই আছে, আর সাহিত্য সময় ও ইতিহাস পর্যবেক্ষণের একটি বিশেষ দৃষ্টিকোণ।

অথচ আজকাল আমাদের সাহিত্যে সমাজ, রাজনীতি চিন্তাহীন বিচ্ছিন্ন ভূঁইফোড় লেখকের সংখা জ্যামিতিক হারেই বাড়ছে। যাই হোক, লোকচক্ষুর শরম খুইয়ে দৈনিক কালের কণ্ঠ ও তার সাহিত্য সাময়িকী 'শিলালিপি'র কাছে আবদার সে যেন যুগবহির্ভূত বা যুগান্ধ না হয়, সে যেন কালের গরজ টের পায়। সাধারণত দৈনিকের সাময়িকীর কাছে আশা করার সুযোগই নাই। তবুও যদি কোনদিন উপরোক্ত অনুভূতি মিথ্যা জ্ঞান করে সে (কালের কন্ঠ, শিলালিপি), তবে লোকচক্ষুর দোহাই'র কদর হবে। অসম্পুর্ণ....


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।