সেদিন ছিল বুধ বার । টিচারের কাছে আগামী দিন পরীক্ষা ছিল। রাতে সবার সাথে খাবার খেয়ে কেবল মাত্র আবার বই নিয়ে বসেছি, ঠিক এমনই সময় মা বাইরে থেকে চিৎকার করে উঠল। আমি দৌড়ে বাইরে এলাম। মা কে জিজ্ঞাসা করলাম , কি ব্যাপার মা?
মা দৌড়ে দোতালায় যেতে যেতে যা বল্ল সেটা হল, উপরতলার আন্টি গলায় দড়ি দিয়েছে।
আমিও মার সাথে দৌড়ে দোতলায় গেলাম। দেখি আংকেল (৪৭ বছর বয়ষ) বারান্দার রুমের দরজার সামনে দাড়িয়ে কাঁপছে। দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। আমি নিচে দৌডে এসে শাবল নিয়ে আবার উপরে গেলাম। মা ততক্ষনে দরজা ধরে টানাটানি করছে।
আমি মা কে সরিয়ে দিয়ে শাবল দিয়ে চাঁড় দিয়ে দরজা খুলে ফেল্লাম। তখন রাত বেশি না। সবে মাত্র ৯টা বাজে।
ভিতরে ঢুকে দেখি আন্টি (২০ বছর বয়ষ) ফ্যানের সাথে শাড়ি পেচিয়ে শূন্যে ঝুলছে। তার জিহবা বের হয়ে এসেছে।
তার শরীর বারবার ঝাকুনি খাচ্ছে। আমি দ্রুত তাকে উচু করে ধরলাম। মা বটি দিয়ে শাড়ি কেটে দিল। সেখানেই তাকে শুয়িয়ে দিলাম। তার শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ।
কৃত্তিম শ্বাস দিলাম। কয়েক বার চেষ্ঠার পর তার শ্বাস-প্রশ্বাস ফিরে এলো।
কিন্তু নতুন সমস্যা সৃষ্টি হল। তার দাত কপাটি লেগে গেল। আমরা যাকে বলি ফিট হয়ে গেল।
অনেক কষ্টে তার জ্ঞান ফিরে আসল। ততক্ষনে তার মেয়ে ( তিন মাস বয়ষ) কান্না কাটি করে বাড়ি মাথায় তুলে ফেলেছে। আন্টি কাঁনতে কাঁনতে মেয়েকে দুধ খাওয়াতে লাগল।
ততক্ষনে আমি ঘেমে একাকার হযে গেছি। আমি নিচে চলে আসলাম।
নিজের রুমে ঢুকে প্রথমে এক গ্লাস পানি খেলাম। তারপর সেয়েটার খুলে ফ্যান চালিয়ে দিলাম। আমার মাথা তখন ঘুরছিল। তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়লাম।
কখন ঘুমিয়ে গেছি জানি না।
রাতে প্রচন্ড জ্বরে ঘুম ভাংল। পাশের রুমে মা থাকেন। মা কে ডাকলাম। মা এসে দেখেন আমার প্রচন্ড জ্বর। মা যখন মাথায় পানি দিচ্ছিল তখন বেশ ভালো লাগছিল।
যখনই একটু ঘুম আসছিল তখনই গলায় শাড়ি পেচানো আন্টিকে দেখছিলাম। কি ভয়ানক তা বলে বোঝাতে পারবনা।
এরকম ভয়ানক রাত আমার জীবনে কখনও দেখিনি। শুধু শুনতাম গলায় দড়ি দেয় লোকে। কখনও দেখিনি।
যখন দেখলাম তখন আমার অবস্থা কাহিল। আর জীবনেও দেখতে চাই না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।