আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

~ নির্ঘুম রাত, কাটেনা সময়... সুতরাং .... ~

এই ব্লগের সব লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
লে হালুয়া ! চোখ দুটোর যে কি হলো বুঝতেই পারছিনা... কোন মতেই চোখের দুটো পাতা একসাথে হতেই চাইছে না ... আরে বাবা, ঝগড়া নিজেদের মধ্যে করবি কর, মারামারি কাটাকাটি, মান অভিমান যা করার কর, আমারে হুদাই এমন ক্যারফার মধ্যে ফেলার কি কোন মানে আছে , হু ? ... কাহিনী বুঝতে পারছেন না ? ... তাইলে শুনেন ... ঘটনা হইলো, ইতিহাস রচনার লক্ষ্যে নিশাচর অন্তু আজকে জলদি ঘুমুতে গিয়েছিল সন্ধ্যা ৯ টায় ... (অবশ্য ৯ টা কে সন্ধ্যা বলা ঠিক হবে না, কারন ওটাতো আমার জন্য দুপুর ও না ) ... কোন মতে চোখ দুটোকে মানিয়ে, সারা রাত আজকে আমার সাথে কোন ঝামেলা করবেনা প্রমিজ করিয়ে এরপরে ওদেরকে একসাথে করিয়ে দিলাম ঘুম ... কিন্তু ঐ যে কথায় বলে না ঢেকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে, ওদের অবস্হাও হইসে ঠিক সেই রকম ... আমারে শান্তিতে ঘুমুতে দেখলে মনে হয় ওদের গায়ে কিরকিরানী ওঠে .... নিজেদের মাঝে কি হইসে না হইসে জানি না এখন সেই যে দুজন ই একসাথে হবেনা ঠিক করেছে আর এদিকে আমি ঘুমুতে চাচ্ছি এটাও যেন সহ্য হচ্ছেনা ওদের, তাইতো অন্ধকারের মধ্যে আমার চোখের মধ্যে ৪৪০ পাওয়ারের বাল্ব জ্বালিয়ে দিলো ঘুমের ১২টা বাজিয়ে ... এখন আমি কি করি ? খানিক্ষন ওদের কে শান্ত করার চেষ্টায় বিফল হয়ে চিৎ, কাইত, গড়াগড়ি দিয়ে কোন লাভ হলোনা দেখে পিসিতে আইসা পড়লাম ... কিন্তু করুম টা কি ... মেজাজ হালকা বিলা হয়ে আছে, সেইটারে সাইজে না আনলে আজকে আরো জটিল অবস্হা হবে বলেই মনে হচ্ছে ... সুতরাং কাজের কাজ হবে যদি এখন এমন কিছু করা যায় যাতে চোখ, মন, অন্তু সবকটার মনোযোগ ডাইভার্ট হয়ে যাবে ... চিন্তা করতে করতে হঠাৎ মনে পড়লো আরে, জিনিস আছে তো .... প্রথমেই কয়েকটা লিচু নিয়ে বসলাম, সাইজে ছোট কিন্তু ভিতরে খাওয়ার অংশটুকু বেশী হওয়াতে মন্দ লাগবে না বলেই মনে হচ্ছে .... এর পরে নিলাম কয়েকটা খোশাওয়ালা বাদাম, এমনি সময় এই জিনিসটা (বাদামের খোশা) আমার বিরক্ত উৎপাদন করলেও আজকে সময় কাটানোর জন্য জিনিসটা মোটামুটি ভালই কাজ করবে বলে মনে হচ্ছে ... হঠাৎ চোখ পড়লো ফলের ঝুড়ির উপর ... লজ্জায় রাঙ্গা বৌ এর মত লাল হয়ে বসে আছে কয়েকটা আম, বিদেশী জিনিস তাই স্বাদ ও নাই, কিন্তু করুম কি ... নাই মামার চেয়ে কানা মামাই ভালো ... সুতরাং ... চিন্তা কম খাওয়া শুরু ... এবার মনে হলো জাংক~ফ্রেকের সামনে এতগুলো ফ্রেস খাবার আছে আর কোন জাংক নেই এইটা ক্যামনে সম্ভব ? সুতরাং , এই নিয়ে আসা হলো চিপস ... এর পর মনে হলো সবই তো ঠিকাছে কিন্তু পানীয় কিছু না হলে তো চলবে না ... কিন্তু সামনে এত কিছু রাইখা এখন বানাইতে পারুম না, তাই গুগল মামার দোকান থেকে নিয়ে আসলাম পুদিনার চা ... আরো কিসের জন্য অপেক্ষা করছেন ? খাইতে চাইলে শুরু করেন, শেষ হয়ে গেলে পরে আমার দোষ দিলে চলবে না কিন্তু .... হ্যাপ্পি খানাপিনা
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।