আমার দেশ আমার মা, নাইজেরিয়া হবেনা
জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বেশ কয়েকদিন থেকে রোববার মারা গেলেন জ্যোতি বসু।
ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানায়, দুপুরে এ কমিউনিস্ট নেতার জীবনাবসান ঘটে। পশ্চিমবঙ্গের সাবেক এ মুখ্যমন্ত্রীর বয়স হয়েছিলো ৯৫ বছর।
সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়া জ্যোতি বসু এ মাসের শুরু থেকে ছিলেন কলকাতার এএমআরআই হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি ঘটলে শনিবার চিকিৎসকরা হাল ছেড়ে দেন।
রোববার দুপুর সোয়া ১২টার (বাংলাদেশ সময়) দিকে তার মৃত্যু হয়।
রোববার দুপুর ১টার দিকে জ্যোতি বসুর রাজনৈতিক সহকর্মী ও বামফ্রন্টের সমন্বয়ক বিমান বসু সাংবাদিকদের বলেন, "আমি দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে জ্যোতি বসু আর আমাদের মাঝে নেই। "
অসুস্থতার কারণে সক্রিয় না থাকলেও ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) সম্মান জানিয়ে দলের পলিটব্যুরোতে সদস্য হিসেবে রেখেছিলো জ্যোতি বসুকে।
অসুস্থ জ্যোতি বসুকে দেখতে স�প্রতি কলকাতায় গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মহমোহন সিংসহ বিভিন্ন দলের সর্বভারতীয় নেতারা।
জ্যোতি বসুর মৃত্যুতে মনমোহন সিং এবং কংগ্রেস প্রধান সোনিয়া গান্ধী শোক প্রকাশ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ভারত সফরের সময় জ্যোতি বসুর খবর নেন। কমিউনিস্ট নেতার মৃত্যুতে তিনি শোক প্রকাশ করেন।
জ্যোতি বসুর পৈত্রিক নিবাস বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে। অবিভক্ত ভারতে কমিউনিস্ট পার্টির নেতা হিসেবে বাংলাদেশে শ্রমিক আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি; মুখ্যমন্ত্রী হয়ে বাংলাদেশেও বেশ কয়েকবার এসেছিলেন।
টানা ২৩ বছর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলানোর পর অসুস্থতার কারণে ২০০০ সালে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের হাতে দায়িত্ব ছেড়ে দেন জ্যোতি বসু।
এরপর থেকে শারীরিক অবস্থা নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্য দিয়েই তাকে চলতে হয়।
গত বছর লোকসভা নির্বাচনের সময় অসুস্থ হয়ে পড়লে ভোট দিতে পারেননি তিনি।
১০ বছর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ এসেছিলো জ্যোতি বসুর সামনে। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে তা হয়নি।
জ্যোতি বসুর জন্ম ১৯১৪ সালের ৮ জুলাই কলকাতায়।
উচ্চ শিক্ষার জন্য যুক্তরাজ্যে গিয়ে তিনি কমিউনিস্ট আন্দোলনের সংস্পর্শে আসেন। ভারত ফিরে কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে পুরোপুরি যুক্ত হন তিনি।
জ্যোতি বসু ১৯৪৬ সালে তিনি প্রথম প্রাদেশিক আইন সভার সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৫৭ সাল থেকে '৬৭ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধান সভার বিরোধী দলের নেতার দায়িত্ব পালন করেন তিনি। '৬৭ সালে পশ্চিমবঙ্গে যুক্তফ্রন্ট সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রথম শপথ নেন ১৯৭৭ সালের ২১ জুন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।