সত্যের চেয়ে অপ্রিয় আর কিছু নেই
বয়স একটু বাড়তে থাকলে ত্বকে নানা ধরনের বাদামী বা খানিকটা কালো বর্ণের দাগ পড়তে শুরু করে। সেইসঙ্গে শুরু হয় ত্বকে ভাজপড়া। ত্বকের এসব দাগের মধ্যে থাকে বাদামী স্পট, সানস্পট, মেছতার দাগ, তিল, ব্রনের দাগ, বয়সজনিত দাগ ইত্যাদি। বিশেষ করে মুখে এ ধরনের দাগ পড়লে ছেলে-মেয়ে বয়স্করা পর্যন্ত - উদ্বিগ্ন থাকেন। ছুটে যান চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ অথবা বিউটি পারলারে।
কিন্তু বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ত্বকের দাগ চিকিৎসায় রোগীরা কাঙ্খিত ফল পাননা।
অনেকে আবার যান লেজার সেন্টারে। কিন্তু কেউ ভাবেন না লেজার কোন ম্যাজিক না। লেজারের মাধ্যমে ত্বকের এস দাগ তোলা যায়না। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে প্রতারিত হয়ে আবার ছুটে যান চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে।
কিন্তু বেশীরভাগ ক্ষেত্রে মুখের দাগ নিরাময় হয়না। এটা যেমন সত্য তেমনি যথাযথ চিকিৎসা এবং উপযুক্ত সান্সক্রিন ব্যবহার করে আমরা অনেক ক্ষেত্রে মুখের দাগ হালকা করতে পারি। তবে মুখের দাগের স্থায়ী সমাধান বেশীরভাগ ক্ষেত্রে সম্ভব নয়, এটা অবশ্যই আপনাকে ভাবতে হবে। যদি কোন চিকিৎসক বা লেজার সেন্টার থেকে ত্বকের দাগ নিরাময়ের শতভাব গ্যারান্টি দেয় তাহলে বুঝবেন এটা সঠিক নয়। বিশেষ করে মেছতার ক্ষেত্রে স্থায়ী সমাধান কোন ভাবেই সম্ভব নয়।
তবে আজকাল অনেক ক্ষেত্রে লাইটিং ক্রিম পাওয়া যায়। এসব ব্যবহারে অনেক সময় ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। তাই যে কোন লাইটিং ক্রিম বা ব্লিচিং এজেস্ট ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই আপনার নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। পাশাপাশি প্রচুর সবুজ শাক-সবজি, রঙ্গিন ফ্রুট ও প্রচুর পানি পান করুন।
সুত্র: ইত্তেফাক: ডাঃ মোড়ল নজরুল ইসলাম, চর্ম, এলার্জি ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।