টোল আদায়ে অটোমেটিক ভেহিক্যাল ক্লাসিফিকেশন-এভিসি-পদ্ধতি নিয়ে মেগাসিটি ঢাকার অসহনীয় যানজট মোকাবিলায় চালু হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন মেয়র হানিফ (গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী) উড়াল সেতু। ২২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন নগরীর সবচেয়ে বড় উড়াল সেতু। বেসরকারি অর্থায়নে এই প্রথম নির্মিত হচ্ছে সেতুটি। ফ্লাইওভার চালুর পর থেকে পরবর্তী ২৪ বছর টোল আদায় করবে ওরিয়ন গ্রুপ। টোল আদায় করেই তারা প্রয়োজনীয় নির্মাণ ব্যয় তুলে নেবে।
তার পরে এটি হস্তান্তর হবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন- ডিএসসিসির কাছে। প্রায় ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারটির ধারণ ক্ষমতা ২০০ টন। স্থায়িত্বকাল ১০০ বছর। এই ফ্লাইওভার ঢাকার সঙ্গে ৩০ জেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করবে। নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে আজ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
এই উড়াল সেতু চালু হলে মহানগরীর দীর্ঘ দিনের যানজটের দুর্ভোগ ও ভোগান্তি অনেকটা কমে যাবে বলে মনে করছেন নগর বিশেষজ্ঞরা। ইতোমধ্যে উড়াল সেতুর ৯০ ভাগ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। প্রথমবারের মতো ফ্লাইওভারটি যারা ব্যবহার করবেন, তারা আগেই টোল পরিশোধ করবেন। গাড়িতে লাগানো থাকবে একটি প্রি-পেইড স্টিকার। কোনো গাড়ি ফ্লাইওভার অতিক্রম করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল কেটে নেওয়া হবে।
পরিশোধিত টাকা শেষ হয়ে গেলে আবারও রিচার্জ করা যাবে। জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান বলেন, সমাপ্তির পথে মেয়র হানিফ উড়াল সেতু। ইতোমধ্যে সেতুর ৯০ ভাগ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। আধুনিক স্থাপত্যর নকশায় নির্মাণাধীন এই ফ্লাইওভারের ডিজাইন করেছে কানাডিয়ান কোম্পানি লি কানাডা। নির্মাণ করছে ভারতের সিমপ্লেঙ্ ইনফ্রাস্টাকচারাল লিমিটেড।
নির্মাণ কাজের ব্যবস্থাপনা করছে লাসা নামে ভারতের আরেকটি কোম্পানি। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ফ্লাইওভারটি নির্মাণকাজ আবার ওরিয়ন গ্রুপকেই দেওয়া হয়। তবে শর্ত জুড়ে দেয় নতুন করে নকশা তৈরি এবং এটি আরও সম্প্রসারণ করতে হবে। তাই সরকারের নির্দেশে ওরিয়ন গ্রুপ নকশা সংশোধন করে। নতুন নকশায় ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য দাঁড়ায় ১১ কিলোমিটার।
দৈর্ঘ্য বেড়ে যাওয়া এবং আনুষঙ্গিক খরচ বেড়ে যাওয়ায় এর নির্মাণ ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১০৮ কোটি টাকা। ফ্লাইওভারটি নির্মাণে ওয়াসা, তিতাস গ্যাস, ডিপিডিসি এবং অন্যান্য সেবাদানকারী সংস্থার লাইন নিজেদের উদ্যোগে সরানোর কথা ছিল। কিন্তু কেউ সেগুলো সরিয়ে নেয়নি। এ কারণে নির্মাণের সময় নানা সমস্যায় পড়তে হয়েছে। বিগত ২০১০ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফ্লাইওভারটির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।