আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দু’জন বাংলাদেশী রিফ্যুজী প্রার্থী আদালতের সামনেই যৌনকর্ম করে নিজেদেরকে ‘গেলমান’ হিসেবে প্রমান করতে চাইলো!!!

পরে বলবো

অষ্ট্রেলিয়ায় আশ্রয়প্রার্থী দুই সমকামী (গেলমান) বাংলাদেশী ব্যক্তি, আদালতের সামনে অথবা আদালতের মনোনীত কোন প্রতিনিধির সামনে প্রকাশ্যে যৌন-মৈথুন করার প্র¯তাব দিয়েছে। এই দুই ব্যক্তির সমকামীতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে আদালত প্রমান চাইলে তারা আদালতের সামনে যৌনকর্ম করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করে। আদালত অবশ্য তাদের ইচ্ছার ব্যাপারে এযাবত কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে এই দুজন বাংলাদেশীকে নিয়ে ইদানীং অষ্ট্রেলিয়ার মিডিয়া রাজ্যে ব্যাপক তোলপাড় চলছে। অষ্ট্রেলিয়ান প্রাইভেসী আইনের কারনে বাংলাদেশী এই দুই গেলমানের নাম ও সাকিন প্রকাশে বিধিনিষেধ রয়েছে।

তারা দুজনেই ১৯৯৯ সনে প্রথম অষ্ট্রেলিয়াতে আসে, অতঃপর নিজেদেরকে সমকামী যুগল হিসেবে দাবি করে তারা আশ্রয় প্রার্থনা করে। প্রাথমিকভাবে ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট থেকে তাদের দরখা¯ত বাতিল হওয়ার পর তারা রিফিউজি রিভিউ ট্রাইব্যুনালে আপীল করে। ট্রাইব্যুনাল থেকে প্রথম ধাপে খারিজ হওয়ার পর নিয়মানুসারে বিষয়টি অষ্ট্রেলিয়ান উচ্চ আদালতে উনিড়বত হয় এবং ‘আইনগত জটিলতা’র কারনে বাংলাদেশী এই দুই ’গেলামন’ কি চাচা-ভাতিজা !!মামলাটিকে উচ্চ আদালত পুনঃপৈনিকভাবে ট্রাইব্যুনালের কাছে বিবেচনার জন্যে ফেরত পাঠায়। ট্রাইবুন্যাল মামলাটি হাতে নিয়ে, শুনানী দিয়ে পুনরায় খারিজ করে দেয় এবং যথা নিয়মে পুনরায় তা উচ্চ আদালতে যায়। এভাবে আসা-যাওয়ার চক্কর খেতে খেতে ১৯৯৯ সন থেকে এ যাবৎ ট্রাইব্যুনালের কাছে চার চারবার মামলাটি পুনঃ বিবেচনা করার জন্যে ফেরত এসেছিল।

এক্কেবারে প্রথম ট্রাইব্যুনাল উক্ত আশ্রয়প্রার্থী যুগলকে গেলমান (সমকামী) হিসেবে স্বীকার করলেও পরবর্তি কোনবারই তারা সত্যিকারার্থে গেলমান বলে স্বীকৃতি পায়নি। প্রথম ট্রাইব্যুনাল বলেছিল তারা সত্যিকারার্থে গেলমান, তবে দেশে ফেরত গিয়ে একটু ‘লো প্রোফাইল মেনটেইন’ করে চললে কোন অসুবিধা হবেনা। কারন আধুনিক যুগে বাংলাদেশে গোপনে ও প্রকাশ্যে এখন প্রচুর গেলমান আছে। নীমড়ব আদালতে ব্যার্থ হওয়ার পর প্রথমদিকে তাদের মামলাটি ২০০২ সনের দিকে সর্বচ্চো আদালত হাইকোর্ট অবধি যায় এবং সেখান থেকে বিজয় হয়ে তাদেরকে পুনরায় ‘সেই ট্রাইব্যুনালে’র কাছেই ফেরত আসতে হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্য, পরবর্তি কোন ট্রাইব্যুনাল তাদেরকে ‘গেলমান’ হিসেবে স্বীকার করেননি।

দীর্ঘ এত বছর ধরে তারা অষ্ট্রেলিয়াতে এক ধরনের মধ্যবর্তিকালীন ভিসা নিয়ে অবস্থান করছে। উক্ত ভিসার কারনে তারা মামলা চলাকালীন অষ্ট্রেলিয়াতে বৈধভাবে থাকতে ও কাজ করতে পারবে, তবে অষ্ট্রেলিয়া বাইরে যাওয়া-আসা করতে পারবে না। আর যদি বাহির হয় তবে ফেরত ঢুকতে পারবেনা। অনেকটা ‘ওয়ান টাইম’ শীশ-কালি কলমের মত অবস্থাতেই তারা এখন অষ্ট্রেলিয়াতে আছে। গত প্রায় এক দশক ধরে সিডনীতে বসবাসকারী এই বাংলাদেশী দুই ব্যক্তিকে অষ্ট্রেলিয়ায় তাদের আশ্রয় নিশ্চিত করার জন্যে এখনো আইনি লড়াই করতে হচ্ছে।

অষ্ট্রেলিয়ান পত্রিকা উল্লেখ করেছে যে গোপন সুত্রে প্রাপ্ত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল মনে করে তারা বা¯তব জীবনে সমকামী বা গেলমান নয়। তারা পরষ্পরে খুড়তোতো ভাই। বাংলাদেশে তারা বিবাহিত ছিল এবং তাদের উভয়েরই স্ত্রীদ্বয় দেশে বহাল তবিয়তে আছে। বেনামী টেলিফোনে এই ধরনের অভিযোগ পাওয়ার পর তাদের মামলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহন প্রμিয়া ঝুলে যায়। প্রাপ্ত গোপন সংবাদটি নিশ্চিত করার জন্যে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাদের উভয়ের ডি.এন.এ টেষ্ট করা হয় এবং তাতে তারা যে ভাই (আপন অথবা তুতো ভাই) তার কোনটাই প্রমান হয়নি।

তবে বিজ্ঞ ও চতুর ট্রাইব্যুনাল তাদের সমকামীতা প্রমান করার জন্যে নানা রকম কৌশল আরোপ করতে থাকে এবং ঐ ফাঁদে তারাও পা ফেলে যথানিয়মে আটকা পড়ে গেছে। সঙ্গমের সময় এই দুই সমকামী কি ধরনের ‘যৌন-মলম’ ব্যাবহার করে থাকে এ বিষয়ে রিফ্যুজী রিভিউ ট্রাইব্যুনাল রুদ্ধদ্বার কক্ষে দুজনকেই আলাদা করে প্রশড়ব করলে তাদের একজন ‘স্পেশাল মলম’ ব্যবহার করে বলে উত্তর দিলেও অন্যজন এ প্রশেড়বর উত্তর দেয়া থেকে বিরত থাকেন। নিজেদেরকে ‘মলম-পার্টি’র সদস্য হিসেবে দাবী করলেও মুলত ‘মলম’ বিষয়ক জটিলতা থেকেই ট্রাইব্যুনালের সন্দেহের উদ্রেক হয়। অতঃপর মামলাটি মিথ্যা দোষে দুষ্টু হয়ে তখন খারিজ হয়ে যায়। পুণঃ উল্লেখ করতে হয় যে, বাংলাদেশী এই তথাকথিত গেলমান দম্পতীর মামলাটি এ নিয়ে মোট চারবার ট্রাইব্যুনাল থেকে খারিজ হয়।

আরো একবার আগে একই কায়দায় দুজনকে আলাদা করে ট্রাইব্যুনাল ভিনড়ব আরেকটি প্রশ্ন করেছিল এবং দুজন তখন দুধরনের উত্তর দিয়েছিল। তখন প্রশ্ন করা হয়েছিল যে সঙ্গমের সময় তারা ‘যৌন-টুপি’ ব্যবহার করে কিনা, যদি করে থাকে তাহলে উক্ত ‘টুপি’র রঙ কি। দুজনের উত্তর ভিন্ন হওয়ার কারনে আগেরবার ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশী এই দুই ‘গেলমান’ এর আবেদনটি বাতিল করে দিয়েছিল। [পবিত্র আরবী ভাষায় সমকামীদেরকে গেলমান বলা হয়। বেহেস্তের সুন্দরী ‘হুর’দের বিপরীত লিঙ্গ হচ্ছে ‘গেলমান’।

] প্রবাসী কমিউনিটিতে গুঞ্জন আছে যে এদের একজন হচ্ছে বাংলাদেশী পরিবহন-শ্রমিক জ এর আপন বড় ভাই এবং অন্যজন জ এর আপন চাচাতো ভাইয়ের বড়ছেলে, অর্থাৎ এটি চাচা-ভাতিজা মামলা। অনেকে মষ্করা করে বলেন, আসল খবর ট্রাইব্যুনাল জানেনা, এ কারনেই হয়তবা অষ্ট্রেলিয়ান ডি.এন.এ টেষ্ট বাংলাদেশী গেলমান দ্বয়ের কাছে ‘ফেল মেরে’ গেছে। কমিউনিটির ‘ঘাগু’ পাবলিকরা বলছেন এক্ষেত্রে ‘বুড়ো-ভাম্’ এর সাথে পরিবহন-শ্রমিক জ এর ডি.এন.এ টেষ্ট এবং অতঃপর জকে চেপে ধরলেই সব ফাঁস হয়ে যাবে। চলতি মাসের গোড়াতে তাদের মামলাটি আবারো উচ্চ আদালতে উঠলে আদালত রিফিউজি ট্রাইব্যুনালের তীব্র সমালোচনা করেন। আদালত বলেন, ট্রাইব্যুনাল পক্ষপাতমুলক আচরণ করে ওদের আশ্রয়ের আবেদনটি ঝুলিয়ে রেখেছে।

গত সপ্তাহে দি অষ্ট্রেলিয়ান পত্রিকায় এই দুই ব্যক্তির কাহিনী নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। উক্ত প্রতিবেদনে এই দুই ব্যক্তি নিজেদেরকে গেলমান অর্থাৎ সমকামী দাবী করে অষ্ট্রেলিয়ায় আশ্রয়ের জন্যে তাদের এক দশকের আইনি লড়াইয়ের বৃত্তান্ত সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরে। দি অষ্ট্রেলিয়ানকে তারা বলে, বাংলাদেশে ফিরে গেলে তারা জীবন নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবে না। কমিউনিটিতে জোর গুঞ্জন আছে যে বাংলাদেশী একজন মহিলা মাইগ্রেশন এজেন্ট এবং তার সহযোগী হিসেবে কর্মরত তার ‘স্বামী’ সহ বেশ কয়েকজন এজেন্ট গত কয়েক বছর ধরে অষ্ট্রেলিয়াতে আগত সুযোগ সন্ধানী বাংলাদেশীদের নিয়ে মিথ্যা সমকামী মামলা সাজিয়ে দু’হাতে টুপাইস কামিয়ে নিচ্ছে। কমিউনিটিতে তাই এই এজেন্টদেরকে ‘মলম-পার্টি’র দালাল’ হিসেবে ডাকা হয় খবর সুত্রঃ নতুন দেশ ও ডি অষ্ট্রেলিয়ান



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।