আনাড়ী রন্ধন শিল্পীর ব্লগ B-)। ব্লগের বাজে-মানহীন লেখাগুলোর মাস্টার পিস দেখতে চাইলে এই ব্লগারের পোষ্ট গুলো পড়ে দেখতে পারেন। কথা দিচ্ছি, নিরাশ হবেন না। B-)
কি ভাবছেন? পিচ্চি নীল বড় হলই কবে আর ছ্যাকাই বা কবে খেলো??
আরে ভাই ছ্যাকা খাওয়ার আবার বয়স লাগে নাকি!
ত শুনুন আমার জোড়া ছ্যাকা কাহিনী।
ছ্যাকা কাহিনী---- ১: গত বছর মে মাসে বাড়ীতে গিয়েছিলাম।
বাংলা তখন বৈশাখ মাস। বাইরে প্রচন্ড রোদ। কাঠ ফাঁটা রোদ যাকে বলে। উঠানে আমাদের ধান রোদে দিয়েছে। আমি বারান্দায় বসে আছি।
বাইরে দুই মিনিট দাড়ানোর কায়দা নাই। এক কাকী ধান নাড়া দিতে গেলে ছাতা মাথায় দিয়ে যান। সবার জিহ্বা বের হয়ে যাওয়ার অবস্থা। এর মধ্যে দেখি ধানের মধ্যে একটা শালিক এসে পড়েছে। পাখিটা পাখনা ছড়িয়ে দিয়ে হা করে পড়ে আছে।
দেখে মায়া লাগল। ভাবলাম উঠিয়ে এনে পানি খাইয়ে দিই। এই ভেবে যেইনা সিড়িতে নেমেছি ওমনি পাখিটা ফুড়ুৎ করে উড়ে চলে গেল।
আর আমি কিনা ভেবেছি ওটা মরে যাচ্ছে। কি ডজটাইনা খেলাম।
ছ্যাকা কাহিনী---২: আমাদের বারান্দায় প্রায় সময় চড়ুই পাখি আসে। এখন একটু বেশী আসে। আম্মা লাউ গাছ লাগিয়েছে। ওটার করি পাতা খেয়ে ফেলে। সেি লোভেই আসে।
দুই দিন দিন আগে খাটে শুয়ে আছি। একটা চড়ুই পাখি বারান্দার রশির উপর কিচির মিচির করছে। আমি ভাবলাম পাখিটাকে দেখি। যেইনা পর্দা সরাই ওমনি
ফুড়ুৎ। দূরে যেয়ে চুপচাপ থাকে।
কিছুক্ষন পরে ভাবলাম এইবার আস্তে সরাই। তাও কাজ হলনা।
পরে চশমাটা নিয়ে পর্দার ফাঁক দিয়ে আস্তে করে দেখি একটা চড়ুই পাখিই আমাকে এমন ছ্যাকা দিচ্ছে।
পাখিটা অবশ্য বেশ সুন্দর।
আমি পরে ভাবছিলাম একটা ঝুড়ি বেধে দেব বারান্দায় যদি পাখিটা বাসা করে, এই আশায়।
দেখি আম্মা আমার মনের কথাটা বলে ফেলেছে।
ছোট মামাকে দিয়ে পরে একটা বাক্স বেধে দিয়েছি। দেখা যাক কি করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।