......... ১।
সাদা আমার খাতাটিতে অনেক কিছু লিখার ছিল। কিন্তু লিখতে বসলেই আমি ভাষা হারিয়ে ফেলি। খাতাটির দিকে ড্যাবড্যাবে চোখে তাকিয়ে থাকি অনেকক্ষণ, কিছু মাথায় আসে না। লেখালিখি জিনিসটা আমার কাছে কাউকে ভালোবাসার মত, যার দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকব, কোন কিছু বলব না, বলতে পারব না, দেখেই ভাষা হারিয়ে ফেলব।
আমি লিখতে ভালোবাসি কিন্তু লিখতে পারি না, আমি কাউকে ভালবাসতে চাই, কিন্তু ভালোবাসার মত কাউকে পাই না।
ডায়েরিতে এটুকু লিখতে না লিখতেই ফেসবুকে কে যেন নক করল বর্ষাকে। নককারীর নামটা সুন্দর, আরিফ মাহমুদ। অচেনা মানুষকে সচরাচর ফ্রেন্ড বানায় না বর্ষা কিন্তু আরিফ মাহমুদের কভার ফটোটা দেখে ওর ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টটা একসেপ্ট করেছিল বর্ষা। কেমন যেন গাছপালা ছিল ঐ কভার ফটোটাতে, সবকিছু কেমন হলুদ আর হলুদ।
ফটোশপের কাজ হতে পারে, তবে যে মানুষটা এত সুন্দর সবুজ গাছপালা বাদ দিয়ে এমন হলুদ গাছপালা পছন্দ করে, তাকে দেখতে ইচ্ছা করে বর্ষার। কিন্তু ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করার পরে আরিফ মাহমুদের পারসোনাল কোন ছবি খুঁজে পায় না বর্ষা। মানুষটা দেখতে কেমন কিছুই বুঝতে পারে না সে।
আরিফ মাহমুদঃ সম্ভাষণ!
বর্ষা অবাক হয়, তাকে এমন করে কেউ কোনদিন নক করেনি।
বর্ষাঃ Hey!
আরিফ মাহমুদঃ বাংলায় লিখ!
বর্ষাঃ কেন ইংরেজিতে কী সমস্যা?
আরিফ মাহমুদঃ এমনি।
বর্ষাঃ আচ্ছা, ঠিক আছে।
আরিফ মাহমুদঃ কেমন আছ?
বর্ষাঃ ভালো, তুমি? আমি আসলে তোমাকে চিনি না, অচেনা মানুষের সাথে কথা বলতে আমার ভালো লাগে না!
আরিফ মাহমুদঃ তাহলে আমার ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করলা যে?
বর্ষাঃ তোমার কভার ফটো দেখে!
আরিফ মাহমুদঃ কেন? এমন কভার ফটো তো কত মানুষেরই থাকে।
বর্ষাঃ না থাকে না, কভার ফটোতে হলুদ গাছপালা! অসম্ভব, কেউ এমন ছবি দেয় না!
আরিফ মাহমুদঃ গাছের রঙ যেমন, ছবিতো তেমনই হবে।
বর্ষাঃ গাছের রঙ হলুদ??? তুমি কালার ব্লাইন্ড নাকি?
আরিফ মাহমুদঃ আমি মোটেই কালার ব্লাইন্ড না। গাছের রঙ তো হলুদই।
ছোটবেলা থেকে তো এটাই দেখে আসছি।
বর্ষাঃ Are You Insane?
আরিফ মাহমুদঃ আবার ইংরেজি??? আর আমি ইনসেইন হব কেন? তুমিই একটা পাগল, কালার ব্লাইন্ড! আবার মানুষকে ইনসেইন বলে বেড়াও! বাই দ্যা ওয়ে, তুমি গাছের কালার কী দেখ?
বর্ষাঃ ভেবেছিলাম তুমি শুধু দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, এখন দেখছি তোমাকে বুদ্ধি প্রতিবন্ধীও বলা যায়! গাছের পাতার কালার সবুজ হয়, এটা তো বাচ্চারাও জানে!
আরিফ মাহমুদঃ হাহাহা! সবুজ তো ইউরিনের কালার! বর্ষা, ইউ আর ড্রাঙ্ক, গো হোম!
বর্ষাঃ তুমি একটা পাগল, গেলাম, বাই।
মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেল বর্ষার। গাধা বলে কী! গাছের রঙ বলে হলুদ। পেশাবের রঙ বলে সবুজ! হাহাহা! গাধার বাচ্চার মনে হয় পেশাবের সাথে গাছ, লতা-পাতা বের হয়।
এমন গাধাও দুনিয়ায় আছে, হায় খোদা!
২।
বারান্দায় দাঁড়িয়ে বৃষ্টি দেখছিল বর্ষা। এত সুন্দর বৃষ্টি! বর্ষাদের বাসাটা গাছপালা ঘেরা। চারদিকে সবুজ আর সবুজ। এত সুন্দর বৃষ্টিতে সবুজের মাঝে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করছিল তার।
কী সুন্দর করে গাছের পাতা দুলছে! সবুজ দেখতে দেখতে আরিফ মাহমুদের কথা মনে পড়ল তার। বর্ষা মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছে লোকটা কালার ব্লাইন্ড, নয়ত গাছের পাতাকে কেউ হলুদ বলত না। আবার এমনও হতে পারে আরিফ মাহমুদ তার সাথে মজা করছে। থাক এসব ভাবতে ইচ্ছে করছে না এখন। এর চেয়ে কিছু ছবি তোলা যাক।
বর্ষা তার ক্যামেরা বের করে ছবি তুলল কিছুক্ষণ। বৃষ্টির ছবি, গাছের ছবি, নিজের ছবি।
এসাইনমেন্ট করতে হবে, কালকে জমা। নিজের উপর বিরক্ত হল বর্ষা। কেন যেন কোন কাজ সে আগেভাগে করে রাখতে পারে না।
একদম শেষ সময়ে মনে হয় সবকিছু। তখন দৌড়াদৌড়ি, ফ্রেন্ডদের ফোন, ফটোকপির দোকানে ছোটাছুটি। তবে আজকের এসাইনমেন্টটা ভালো। কম্পিউটারে পিডিএফ আছে, তুলে দিলেই হবে।
কম্পিউটার ওপেন করল সে।
কাজ শুরু করার আগে কিছুক্ষণ ফেসবুকে ঢুকাই যায়। মনে মনে আবার বিরক্ত হল সে, কত কিছু লিখতে হবে তারপরেও সে আবার ফেসবুকে ঢুকছে। তবে কোন দরকারি খবর হয়ত থাকতে পারে, সেটা জানতেই সে ফেসবুকে ঢুকছে, এমন চিন্তা খানিকটা শান্তি দিল তাকে!
হোমপেইজ ঘুরতে ঘুরতে আরিফ মাহমুদের দেয়া ছবি পেল বর্ষা। ছবির ক্যাপশনে লিখা ‘আমি এবং আমার মা’! ছবি দেখে অবাক হল বর্ষা। ছবিতে কোনো মানুষের ছবিই নেই, অথচ ক্যাপশনে লিখা ‘আমি এবং আমার মা’।
এর মানে কী? মায়ের ছবি নিয়ে কারও তো ফান করার কথা নয়, আসল ব্যাপারটা কী!
আরিফ মাহমুদ অনলাইন ছিল তখন। বর্ষা নক করল তাকে।
বর্ষাঃ কী খবর?
আরিফ মাহমুদঃ ভালো। আপনার কী খবর?
বর্ষাঃ ভালোই, কী করছেন?
আরিফ মাহমুদঃ তেমন কিছু না।
বর্ষাঃ আচ্ছা ফেসবুকে আপনি এবং আপনার মায়ের ছবি দেখলাম।
কিন্তু আপনাকে দেখা যাচ্ছে না কেন ছবিতে?
আরিফ মাহমুদঃ দেখা যাচ্ছে না মানে? দেখা যাচ্ছে তো।
বর্ষাঃ কী যেন, তাহলে হয়ত আমিই দেখতে পাচ্ছি না।
আরিফ মাহমুদঃ আমি এইমাত্র চেক করলাম, ছবিতে আমাকে দেখা যাচ্ছে তো! লাল কালারের শার্ট পরা।
বর্ষাঃ কিন্তু আমি দেখতে পাচ্ছি না।
আরিফ মাহমুদঃ আমার সব ফ্রেন্ডই তো দেখতে পাচ্ছে।
আমার ফ্রেন্ডরা ছবিতে কমেন্টও করছে।
বর্ষাঃ কী যেন, বুঝতে পারছি না। আচ্ছা থাক বাদ দেন।
আরিফ মাহমুদঃ আপনি এসব কী বলেন! আমাকে দেখতে পান না। আচ্ছা থাক, দেখা লাগবে না! আমি না হয় হলাম আপনার অদেখা ফ্রেন্ড!
বর্ষাঃ হুম, আচ্ছা যাই এখন, এসাইনমেন্ট করতে হবে।
আরিফ মাহমুদঃ আচ্ছা।
বর্ষা অফলাইন হয়ে গেল। তার মনটা খারাপ লাগছে। আরিফ মাহমুদ লোকটা কী তার সাথে মজা করছে? কিন্তু কেন মজা করবে? কারও তো তার মায়ের ছবি নিয়ে মজা করার কথা নয়। কী যেন! সব কিছু কেমন ওলটপালট লাগছে।
৩।
বর্ষা আর আরিফ মাহমুদের প্রায় প্রতিদিন কথা হয় অনলাইনে। কথা বলতে বলতে কখন রাত পার হয়ে সকাল হয়ে যায় তারা বুঝতেও পারে না। কথায় কথায় সময় চলে যায়, ভালো লাগার অনুভূতি জন্ম নেয় মনের ভেতরে। অবস্থা এমন, একজন আরেকজনকে ছাড়া বেশিক্ষণ থাকতে পারে না।
একজন অনলাইন হয় শুধুমাত্র আরেকজনের জন্য।
একটা বিষয়ই শুধুমাত্র অজানা রয়ে যায়। গাছের রঙ হলুদ না সবুজ, পেশাবের রঙ সবুজ না অন্যকিছু এরকম নানা রঙের অমিল, একের পর এক সামনে চলে আসে।
ওরা এজন্য এখন আর রঙ নিয়ে কথা বলে না। রঙ নিয়ে কথা বললেই মন খারাপ হয়ে যায়।
দুজনের বর্ণহীন জীবন খুব সুন্দর। দুজনই ভাবতে থাকে অন্যজন হয়ত কালার ব্লাইন্ড! দুজনই অন্যজনের জন্য মায়া করে। মনে মনে ভাবে আহারে, ও এত সুন্দর রঙগুলো আসলভাবে দেখতে পাচ্ছে না।
ওদের সম্পর্ক গাঢ় থেকে গাঢ়তর হয়। ওরা সিদ্ধান্ত নেয় দেখা করবে।
ফেসবুকে কেউ কারও ছবি দেখতে পায় না। এতদিন না দেখে একটা মানুষের সাথে আর কতদিন কথা বলা যায়! দেখা করতেই হবে, শীঘ্রই করতে হবে।
৪।
ওদের দেখা করার কথা একটা রেস্টুরেন্টে। বর্ষা অনেক আগে থেকেই এসে বসে আছে।
কখন দেখা হবে, কখন! একটা মানুষের সাথে এতদিন কথা হয়, অথচ কোনদিন দেখেনি তাকে! কী অদ্ভুত! আরিফ মাহমুদ কত ছবি দেয় ফেসবুকে অথচ সে দেখে না, কেন দেখে না? আজকেই কী সেই সময়, সেই কাঙ্ক্ষিত সময়? আজকেই কী দেখতে পারবে এতদিন কোন এক অজানা কারণে না দেখতে পারা আরিফ মাহমুদকে। উফ, ভাবতেই কেমন শরীরে বিদ্যুৎ খেলে যাচ্ছে!
সময় হয়ে যাচ্ছে, আরিফ মাহমুদের একটু পরেই আসার কথা! এতদিনের এত অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে। এমন লাগছে কেন! হার্টবিটটা এমন বাজেভাবে বেড়ে যাচ্ছে কেন! হাত কেন ঘামছে! পা কেন কাঁপছে! কেন!! কেন!!!
যে সময়ে আসার কথা সেটা পার হয়ে আরও এক ঘন্টা চলে গেল। আরিফ মাহমুদ আসেনি। হ্যাঁ, এটাই সত্য হতে যাচ্ছে।
আরিফ মাহমুদ, আসেনি, আসছে না, আসবেও না। বর্ষা বসে আছে, এক জায়গায় বসে আছে। হার্টবিটটা, যেটা এতক্ষণ ছিল লাগামহীন ঘোড়া, সেটা এখন শান্ত, একদম শান্ত। হাত ঘামছে না আর, পাও কাঁপছে না! তবে চোখ ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। বর্ষা চোখের পাতা বন্ধ করছে না, সাহস পাচ্ছে না! এত মানুষ কান্না দেখে ফেলবে, খুব লজ্জা হচ্ছে তার।
মনে হচ্ছে কাঁদলেই মানুষজন বুঝে ফেলবে যে সে আজ প্রতারিত! আরিফ মাহমুদ এতদিন তার সাথে প্রতারণা করেছে। বর্ষা হাত দিয়ে মুখ ঢেকে ফেলল! তাকে কেউ দেখছে না এখন, কেউ না!
গল্পকার নারীবাদী না। কিংবা বর্ষা অতিশয় সুন্দরী বলে গল্পকার শুধু তার কথাই বলছে এমনটাও না। বর্ষা যখন হাত দিয়ে মুখ ঢেকে বসেছিল তখন আরিফ মাহমুদও ঠিক একই ভাবে হাত দিয়ে মুখ ঢেকে বর্ষার ঠিক পাশের টেবিলটাতে লাল শার্ট(!) পরে বসেছিল!
৫।
“কিরে তুই খাবি নাকি একটু?”
মজা করে জিজ্ঞেস করল রায়হান, সে জানে বর্ষা খাবে না।
রায়হান বর্ষার বন্ধু। সারাদিন ছবি আঁকে, গিটার বাজায় আর গান গায়। আর কীসব খেয়ে বেড়ায়! বাজে বাজে জিনিস, গাঁজা সিগারেট, আরও অদ্ভুত নতুন কিছু মাদক আছে বাজে
জিনিসগুলোর মধ্যে।
“এটা কী?” বর্ষা জিজ্ঞেস করে।
“এটা নতুন জিনিস, খাইলে জগতটারে অন্যরকম লাগে!”
“কেমন লাগে??”
“খেয়ে দেখ”
“নাম কী এটার?”
“LSD- Lysergic acid diethylamide”
“এইটা আবার কেমন নাম?”
“খাইলে খা, না খাইলে ভাগ! এত প্যাচাইস না”
“দে খাই।
”
“সত্যি খাবি? তুই না এইসব খাস না?”
“খাব, এখন থেকে খাব!”
“কেন? ছ্যাকাট্যাকা খাইসিশ নাকি?”
“হুম খাইসি, দে খাই। ”
বর্ষার কেমন যেন লাগছে। কেমন অন্যরকম অনুভূতি। চারদিকে এত রঙ, এত রঙের খেলা। এ রঙগুলার নাম কী? মনে হচ্ছে সূর্যের একদম মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে সে।
সূর্য থেকে কত রকম আলো বের হচ্ছে। বর্ষার মনে হতে লাগল সে ডুবে যাচ্ছে, অনেক অনেক আলোর মাঝে ডুবে যাচ্ছে। চোখ বন্ধ করল বর্ষা। না, চোখ বন্ধ করে রাখা যাবে না, চোখ খুলতেই হবে, আলোর খেলা দেখার এক অদম্য ইচ্ছা জেগে উঠছে মনের মাঝে। চোখ খুলে রাখতে কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু খুব ইচ্ছে করছে চোখ খোলা রাখতে, এমন আলোয় সারাক্ষণ তাকিয়ে থাকতে।
এত আলো, এত রঙ, এত সুন্দর সবকিছু! প্রতিটা আলোর রেখা আলাদাভাবে এসে পড়ছে। মনে হচ্ছে হাত বাড়ালেই আলোর রেখাগুলা ধরা যাবে। ইশ, এমন আলোয় যদি আরিফ মাহমুদকে দেখা যেত! এমন আলো যদি আরিফ মাহমুদের সাথে বসে একসঙ্গে দেখা যেত... আরিফ মাহমুদের ফোন নাম্বারটাও নেয়া হয়নি। ফোন নাম্বারটা থাকলে এখন ফোন করে বলা যেত, “ওগো! আমি আলোর সাগরে ডুবে যাচ্ছি! তোমার হাতটা একটু বাড়িয়ে আমায় টেনে তুলবে না?”
৬।
LSD এর ইফেক্ট তখনও ছিল।
বর্ষা ফেসবুকে আরিফ মাহমুদের প্রোফাইলে ঢুকল। হলুদ গাছের সামনে লাল শার্ট পরা আরিফ মাহমুদ দাঁড়িয়ে আছে! আরিফ মাহমুদের মুখে হাসি, অনেক সুন্দর হাসি!
/* আরিফ মাহমুদ আর বর্ষা দুজন দুই জগতের মানুষ। একজনের জগতে গাছ থেকে হলুদ কালারের ফ্রিকোয়েন্সি বের হয়, আরেকজনের জগতে গাছ থেকে সবুজ কালারের ফ্রিকোয়েন্সি বের হয়। দুজনের চামড়া থেকেই, দৃষ্টি ক্ষমতার বাইরের এমন এক ফ্রিকোয়েন্সি বের হয়, যে কেউ কাউকে দেখতে পায় না। দুইটা জগত একদম এক, কিন্তু তাদের কিছু কিছু জিনিস থেকে বের হওয়া আলোর ফ্রিকোয়েন্সি আলাদা আলাদা!
LSD এর প্রভাবে মানুষের দৃষ্টি হেলুসিনেশন তৈরি হয়, মানুষ বিভিন্ন অদ্ভুত কালার প্যাটার্ন দেখতে পায়।
বর্ষা LSD নেয়ার পরে প্রবেশ করতে পারে আরিফ মাহমুদের জগতে।
প্রেমের জগত ভ্রমের জগত, বর্ষাকে শুধু একটু আয়োজন করে সেই জগতে প্রবেশ করতে হয়!!!*/
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।