আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কেন খবরটি জাতীয় পত্রিকায় দেয়া হয়নি????

সবার আমি, আমার দেশ। গত ২ ফেব্রয়ারী লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী------- স্কুলে আসার সময় এলাকার প্রভাবশালী মহলের আর বৃ্ত্তশালীর ছেলেরা তাকে সিএনজিতে তুলে নিয়ে যায়। সিএনজিতে তাকে দুজনে পালাক্রমে ধষর্ণ করার পর এলাকার সবচেয়ে বৃ্ত্তশালী মামুন মাঝির বাড়িতে নিয়ে সারারাত ভর আবারো ধর্ষণ করে অবশেষে পরদিন ৩ ফেব্রুয়ারী দুপুরে তাকে তারা সিএনজি যোগে মিয়ারবেড়ী বাজারের পশ্চিমপাশে ফেলে চলে যায়। নিরীহ মেধাবী মেয়েটি তার বাবা-মায়ের সাথে লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের পাশে সরকারী জায়গায় থেকে টিউশনি করে বৃদ্ধ বাবা-মাকে চালাত আর নিজের পড়ার খরচ চালাত। অবশেষে সাহসী মেয়েটি ঘটনাটি তার শিক্ষকদের এবং এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের জানান।

এর কিছুক্ষণ পরেই সকাল ১০ টার সময় ধর্ষনের সাথে জড়িত একজনকে সে স্থানীয় বাজারে(ভবানীগঞ্জ) দেখে চিনতে পেরে লোকজনকে জানালে লোকজন তাকে ধরে স্থানীয়(১৮ নং ভবানীগঞ্জ) চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম রনির কাছে নিয়ে যান। ইতোমধ্যে জানাজানি হলে লক্ষ্মীপুর জেলার দৈনিক নতুন চাদ এর সাংবাদিক রনি সাথে সাথে ভবানীগঞ্জ আসেন এবং ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রিপোর্ট করেন। নানা চক্রান্ত শেষে চেয়ারম্যান ঘটনার সুরাহা সম্ভব না দেখে বিকাল সাড়ে চারটার দিকে তাদের লক্ষ্মপুর সদর থানায় পাঠাতে সিদ্ধান্ত নিলে আসামী পক্ষ আসামীকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য মেয়েটিকে নানানভাবে হুমকি দেয়। শেষে তারা ৫০,০০০ টাকার প্রস্তাব করে মেয়েটি সেটিও প্রত্যাখান করে বলল,” আমার জীবন শেষ করেছে কিন্তু আমি মরি কি বাচি ভবিষ্যতে যেন আর কোন মেয়ের জীবন নষ্ট না হয় এদের সে রকম শাস্তি আমি চাই। কোন লোভের কাছে হার না মেনে মেয়েটি থানায় মামলা করতে গেল।

সেখানেও একগাদা সাংবাদিক এসে রিপোর্ট করতে দেখা যায়। ধর্ষিতার ছবি তোলার অনুমতি না দিলেও তারা নানা অযুহাত দেখিয়ে ছবি তুলেন। আর মামলার মধ্যেও চলে নানা রকম চক্রান্ত। সেখানে তারা বড় এক নেতার মাধ্যমে মেয়েটিকে বিপুল অঙ্কের টাকার প্রস্তাব দেয়!! মেয়েটির একটাই কথা সে কেবল শাস্তি চায়। অবশেষে সাহসী মেয়েটি রাত ২টার সময় মামলা লিখালই।

মুল ধর্ষণের সাথে জড়িত ৪ জনকে আসামী করে নারী নিযার্তন এবং গণধর্ষণের উপর লক্ষ্মীপুর সদর থানায় গত ৩ ফ্রেব্রয়ারী রাত ২টাই মামলা করা হয়। মামলা নং-১৫৮৭৯১৬। লক্ষ্মীপুর জেলার পুলিশ সুপার এই মামলাটি সরাসরি ওসিকে দায়িত্ব দিলেন যেন মেয়েটি সঠিক বিচার পায়। এ মামলার ব্যাপারে যদিও পুলিশ আন্তরিক আছেন বলে আশ্বাস দিলেন কিন্তু এখন পযন্ত পুলিশ মুল আসামীদের কাউকে গ্রেফতার করে নি। তদুপরি মেয়েটি এখন ঘর থেকে বের হতে পারছে না।

আসামী পক্ষ তাকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। মেয়েটির বাবা বৃদ্ধ এবং অক্ষম মাও বৃদ্ধ। মেয়েটির স্কুলে যাওয়া, টিউশনও সব বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু আশ্চযের বিষয় হল স্থানীয় সাংবাদিকরা রিপোর্ট এবং মামলার কপি নিয়ে স্থানীয় কয়েকটি সংবাদপত্রে দিলেও খবরটি জাতীয় পত্রিকায় দেয়া হয়নি। মেয়েটির মামলা চালানোর মত টাকাও নেই তার উপর এখন তার পরিবারের অবস্থা আরো অনেক বেশী সংকটাপন্ন।

তাই দেশের সব মানবাধিকার সংস্থা এবং যারা এ সকল কাজের গুরুত্বপুর্ণ পদে আছেন তাদের সকলকে মেয়েটিকে সহযোগীতা করার জন্য এগিয়ে আসার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করছি। যোগাযোগ: ০১৬৮৫১৯৫৪৩৩ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।