আজ ০৪ জানুয়ারী ২০১০ ব্লগার উমরএর বিজ্ঞান বিষয়ক প্রয়াস/ পোস্ট
***জ্বালানিবিহীন ইঞ্জিন তৈরির দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশী বিজ্ঞানী*** ব্লগে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে। ইত্যোমধ্যে ৮০৮ টি হিট ৮১ টি মন্তব্য। স্টিকি পোস্ট ব্যতিত কোন পোস্টে এত আলোড়ন আগে দেখিনি।
ব্লগার উমর এর পোস্টে Fuel-Free Engine আবিষ্কারক জনাব রাইহান আহমেদের ত্যাগ তিতীক্ষার কাহিনী পড়তে পড়তে একটি পুরাতন বাংলা প্রবাদ মনে পরে গেল।
''ভালোই ছিল তাঁতী তাঁত বুনে/ মরলো শেষে ষাড় কিনে।
। ''
কাহিনী সূত্রঃ
একদা এক গাঁয়ে এক তাঁতী বাস করতেন। তাঁত বুনে তার সংসার মোটামুটি ভাল চলে যাচ্ছিল। কিন্তু তিনি তাঁর আয়-রোজগারে খুশি ছিলেন না। তিনি লক্ষ্য করলেন গায়ের কৃষকরা জমি চাষ করে ভালোই আয়-রোজগার করছে ।
তাঁর মনেও খায়েস হল চাষাবাদ করার। কৃষক হবার।
তাঁতী তাঁর বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে দেওয়া মনস্থির করলেন। তাঁত যন্ত্রটি বিক্রি করে সে টাকায় হাল চাষের জন্য ষাড় কিনবেন বলে ঠিক করলেন। বুদ্ধিমান তাঁতী হাল চাষে যাতে কম কষ্ট হয়, তাই হাট থেকে মোটাসোটা দেখে একটা ষাড় কিনলেন।
পরের দিন ভোরে সেই ষাড় নিয়ে চাষ করতে তাঁতী মাঠে গেলেন। ষাড়ের কাঁধে হাল চাপালো। কিন্তু মুসিবৎ হর ষাড় তো আর এক পা নড়ে না।
তাঁতী কষে ষাড়ের পশ্চাৎ দেশে একটা ঘা লাগালেন। আর ওমনি ষাড়টি ক্ষেপে গিয়ে তাঁতী পেটে শিং দিয়ে ঢুস দিয়ে............
উল্লেখ্য প্রয়োজন..................
তাঁতীর জনা ছিল না যে হাল চাষের জন্য ষাড় তেমন উপযুক্ত নয়, দরকার বলদ।
। । । । ।
। । । ।
সেই থেকে....... যার যা বিদ্যা নেই, তার সে রকম বিষয়ে কর্ম তৎপরতা দেখানো প্রসঙ্গে বলা হয় ...............
''ভালোই ছিল তাঁতী তাঁত বুনে/ মরলো শেষে ষাড় কিনে।
। ''
*******************************************
জনাব রাইহান আহমেদ কে বিশেষ কিছু বলবার নেই । কারণ তিনি আমার এ লেখা কখনও পড়বেন না; যখন তিনি মৌলিক পদার্থ বিজ্ঞান পড়তেও তোমন আগ্রহী নন বলে মনে হয়।
কিন্তু ব্লগার উমর এর প্রতি কিছু বলার আছে।
উপরের প্রবাদ টি জনাব রাইহান আহমেদের মত ব্লগার উমরের ক্ষেত্রে সমান ভাবে প্রযোজ্য।
ব্লগার উমর এর বিজ্ঞান মনস্কতার প্রমান পাওয়া যায় তাঁর ৮ অক্টোবর ২০৯ এর
***কেন এত ভূমিকম্প হয়? এবং এথেকে পরিত্রাণের উপায়*** পোস্ট এবং মন্তবে তার উত্তর থেকে। (ধন্যবাদ রোহান)
তিনি ইসলাম ধর্ম বিষয়ে গভীর জ্ঞান রাখেন। তিনি সেই জগতের মধ্যে বিচরণ করলে ভাল করবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।