আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মীর কাসেমের অভিযোগ গঠন পেছাল

বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আদেশ হওয়ার কথা থাকলেও আসামি পক্ষের প্রধান আইনজীবী দেশে না থাকায় আদেশের নতুন তারিখ ধার্য করে ট্রাইব্যুনাল-১।
এর আগে ২১ অগাস্ট এ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ হয়। সেদিন প্রসিকিউশনের পক্ষে যুক্তি দেন সুলতান মাহমুদ সীমন ও তাপস কান্তি বল।
আর এই জামায়াত নেতার পক্ষে অভিযোগ গঠনের বিরোধিতা করে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা  যুক্তি দেন গত ১৮ অগাস্ট।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন গত ১৬ মে মীর কাসেমের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে।

এরপর ২৬ মে তা আমলে নিয়ে অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ রাখেন বিচারক।
তার বিরুদ্ধে ১৪টি অভিযোগের মধ্যে আটজনকে নির্যাতনের পর হত্যা, লাশ গুম এবং ৩৪ জনকে অপহরণের পর আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেমকে গত বছর ১৭ জুন গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।   
মীর কাসেম জামায়াতে ইসলামীর অন্যতম প্রধান অর্থ যোগানদাতা হিসেবে পরিচিত।

তিনি ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এবং রাবেতা আল ইসলামী নামে একটি এনজিও’র সাবেক আবাসিক প্রতিনিধি।
জামায়াত সমর্থক বলে পরিচিত দিগন্ত মিডিয়া কর্পোরেশনেরও চেয়ারম্যান তিনি। ওই প্রতিষ্ঠানেরই সংবাদপত্র দৈনিক নয়া দিগন্ত এবং টেলিভিশন চ্যানেল দিগন্ত টেলিভিশন।
প্রসিকিউশন বলছে, মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের মীর কাসেমকে একাত্তরে চট্টগ্রামের মানুষ চিনতো মিন্টু নামে। কলেজছাত্র থাকাকালে সেখানেই তিনি জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন।


পরে তিনি জামায়াতের অঙ্গসংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি হন এবং সংগঠনটির পূর্ব পাকিস্তান শাখার সাধারণ সম্পাদকও হন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় তার নেতৃত্বে আলবদর সদস্য ও রাজাকাররা চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লার ডালিম হোটেল, আসাদগঞ্জের চামড়ার গুদাম ও পাঁচলাইশের সালমা মঞ্জিলে নির্যাতনকেন্দ্র গড়ে তোলে।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাত থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তার নির্দেশনায় হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটপাটসহ বিভিন্ন ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটানো হয়। মুক্তিযুদ্ধের শেষভাগে পাকিস্তানি বাহিনী এ দেশের যে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে, তার তালিকা তৈরিতেও মীর কাসেম ছিলেন।
১৯৭৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ছাত্রসংঘ নাম বদলে ইসলামী ছাত্রশিবির নামে বাংলাদেশে রাজনীতি শুরু করলে মীর কাসেম তার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হন।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।