আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যে কথা বলার পর আমি হয়ত ছাগু হয়ে যাব ...

বেড়ে ওঠার চেষ্টা করছি কোনও চটুল ভাষা না ব্যাবহার করে সাধাসিধে কিছু কথা বলব। নিজের ভাষাতেই বলব। কারও ভালো খারাপ যা লাগে লাগুক। বার বার আমি এই সমস্ত লোকদের বুঝাতে চেষ্টা করেছি আপনারা যা লিখছেন তা ঠিক হচ্ছে না । একটা সম্প্রদায়কে আঘাত আনা ঠিক হচ্ছে না ।

ধর্মকে সম্মান না করতে পারেন কিন্তু মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে সম্মান করুণ । নাহ !! আমার কথা না শুনে উল্টো আমাকেও ভণ্ড প্রগতিশীল হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। কে কত বড় জ্ঞানী তা আমি জানি না , তবে ধর্ম নিয়ে আমার পড়াশোনা খুব একটা কম না । ক্লাস এইট থেকে আমি এইসব নিয়ে ভাবি। ভাই থামেন!! হুমায়ুন আজাদ আমারও পড়া , আরজ আলি মাতুব্বর থেকে শুরু করে সালান রুশদি আমিও পড়েছি।

কিন্তু অমানুষ হই নি যে ধর্মকে আপনি অপমান করছেন সে ধর্ম আপনার বাবা-মা পালন করে, যে ধর্মকে আপনি গালমন্দ করছেন সে ধর্মের জন্য হয়ত আপনার বাবা মা সারাদিন না খেয়ে রোজা রাখে বা উপোষ করে। এটাকে অপমান করে কাকে অপমান করছেন ? আপনার বাবা মাকে। ভাই আবার থামেন!! আপনি কিসে বিশ্বাস করেন তা আমরা জানতে চাইনি। লাফায় পড়ে কেন আপনার জানাতে হবে ? জনপ্রিয়তা যদি এত পেতে ইচ্ছা করে তাহলে রকস্টার হন তা না পারলে জলিলের মতো ২/১ টা ডায়লগ ঝাড়ুন কিন্তু ধর্মকে কেন পুঁজি বানান? ও বুঝেছি , এইটা বোধয় শর্টকাট পদ্ধতি। মনে রাখবেন নিজেকে আলাদা করার মাঝে অনেকক্ষেত্রেই কৃতিত্ব নেই।

১০টা হরিণের মধ্যে ১টা শুয়োর আলাদা হতে পারে কিন্তু মূল্যমানের ক্ষেত্রে শুয়োরের স্থান কিন্তু নিচে। সবার অনুভূতিকে অবদমন করে আলাদা করে চিনানোর মানসিকতা সেই গ্রামের ফতোয়া দেওয়া হুজুর কিংবা পুরোহিতদের মানসিকতার প্রতিনিধিত্ব করে। রাজীব হায়দারের মৃত্যুর পরে আমার চোখ থেকে জল বেরিয়েছিল। আমার ফেসবুক আকাউন্তের কাভার ফটোটাও তার মৃত্যুর বিচারের দাবী নিয়ে। যখন আমি রাজীব ভাইকে নিয়ে কথা বলতে যাই তখন আমাকে সবাই জিজ্ঞেস করে '' ভাই উনি নাকি ধর্ম নিয়ে আজেবাজে কথা বলতো? ''।

আমি একটু থেমে উত্তর দেই '' এটা ওনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। '' উত্তর শুনে তাঁরা সন্তুষ্ট হতে পারে না । আমাকে বলে '' ভাই ব্যক্তিগত ব্যাপার যদি হয় তাহলে তা কি মধ্যে রাখা ভালো ছিল না ?সবার সামনে কেন প্রকাশ করতেন ?'' আমি কিছু না বলে শিবিরকে একহাত গদাম দিয়ে সেখান থেকে চলে আসি। তার বুঝতে পারে আমি এই প্রশ্নের উত্তর দিতে অপারগ। বলির পাঠা কেন রাজীব ভাইকে হতে হল তা বুঝতে পারছি না ।

শুনলাম আসিফ মহিউদ্দিন নাকি তার লেখা সরিয়ে ফেলেছেন। কেন সরালেন ? ঐ শিবিরদের ভয়ে যাদের জন্য আজ আমরা রাজপথে নেমেছি? তার কি উচিৎ ছিল না সাধারণ মানুষের জন্য হলেও লেখাটি সরিয়ে ফেলা ? মত প্রকাশের স্বাধীনতা কি মানুষের অনুভূতিকে আঘাত করারও অণুমতি দেয় ? ও ভুলে গিয়েছিলাম আপনারা আবার অনুভূতিকে নুনুভূতি বলে ডাকেন। শুনেছি জাফর ইকবাল নাকি নাস্তিক। তার মত স্বচ্ছ মানুষ আমি দেখিনি। তাকে কখনও আপনাদের মতো করতে দেখেছেন।

কথায় আছে '' জ্ঞানী যেখানে যেতে ভয় পায় মূর্খ সেখানে লাফিয়ে পড়ে। '' আপনাদের অবস্থাও তাই। আরজ আলি মাতুব্বর কি আপনাদের মতো ভাষায় ধর্মের সমালোচনা করেছে? হিন্দুদের সমালোচনা করলে মুসলমানরা খুশি হয় আর মুসলমানদের নিয়ে করলে হিন্দুরা। কি নষ্ট সংস্কৃতির মধ্যে আমরা বাস করছি। খুব খেয়াল কইরা '' আমি রাজীব হায়দারকে হত্যাকারীদের বিচার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে চাই।

'' রাজীব ভাই আমি এবং আমরা অনবরত চেষ্টা করছি যাতে মারা যাওয়ার পরও আপনার নাম উঠলে সবাই যেন তা স্রদ্ধা ভরে স্মরণ করে। ভালো থাকুন পরজন্মে। ভালো থাকুক মানবতা। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।