আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

"১০ ই মহররম"



"ত্যাগ চাই মষিয়া ক্রন্দ্রন চাহিনা" মূলত: মহররম মাস থেকে আমাদের এ শিক্ষাই নেওয়া উচিত ছিল। বাস্তব ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে এর ব্যাতিক্রম। হুসনি দালানের নাম বহু আগ থেকেই শুনে আসছি। কিন্তু ১০ই মুহররমের দিন এর কার্যক্রম দেখার সৌভাগ্য পূর্বে কখনো হয়নি, যা হয়েছিল গত ২৮/১২/২০০৯ইং তারিখে। সকাল ৯ ঘটিকার সময় আমি আমার বন্ধুর সাথে সেখানে যাই।

হুসনি দালানের ভিতরে লোকে লোকারন্য। তিল ঠাঁই টুকু নেই। দলে দলে মিছিলের সমাগম। তরুণ যুবকেরা তাদের শরীরে আঘাত করছে। যার ফলে রক্ত ছিটকে পড়ছে।

এ দৃশ্য সত্যিই মর্মাত্নিক। এ কোন ধরণের ত্যাগ? হযরত হুসাইন(রাঃ) কি গোটা মুসলিম জাহান কে এ শিক্ষাই দিয়েছিলেন? প্রকৃতপক্ষে তিনি আমাদের শিক্ষা দিয়েছিলেন যে, কোনভাবেই অত্যাচারী শাসকের সম্মুখে মাথা নত করা যাবে না। সত্যের উপর চির অটল থাকতে হবে। মানুষ কিভাবে নিজের শরীরে আঘাত করতে পারে? এতে এমন কি কল্যাণ নিহিত রয়েছে? আমাদের ধর্মগ্রন্থ পবিত্র কুরআন-হাদীসে কি এ ব্যাপারে কোন দিক নির্দেশনা রয়েছে? তবে এ মানুষগুলো কেন নিজেদের শরীরের রক্ত প্রবাহিত করছে?এটি যে শুধু আমাদের দেশে তা নয়, বরং বিশ্বের অন্যান্য দেশেও এ মর্মাত্নিক দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়। অন্যান্য ধর্মালম্বীরা আমাদের এ দৃশ্য দেখে হতভম্ব।

ইসলাম হচ্ছে একটি শান্তির ধর্ম। এ ধর্মে এমন দৃশ্য কোন ধর্মের লোকই আশা করে না। একজন পূণাঙ্গ মুসলমান হিসেবে আমাদের সর্বদাই কুরআন - হাদীস মোতাবেক জীবন অতিবাহিত করতে হবে। কোনক্রমেই কুরআন-হাদীস পরিপন্থী কিছু করা যাবে না। সুতারং পবিত্র আশুরা থেকে আমাদের কে অবশ্যই ত্যাগের শিক্ষা নিতে হবে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।