রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ কর্তৃক জরুরি অবস্থা জারি করার দিন ১১ জানুয়ারি কালো দিবস হিসেবে পালন করবে বিএনপি।
দলের মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন শনিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, "২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি সেনাবাহিনীর কিছু কর্মকর্তা ও সদস্য বঙ্গভবনে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদকে দিয়ে জরুরি অবস্থা জারি করে সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক ধারা বিনষ্ট করেছে। তাই এই দিবসটি বিএনপি কালো দিবস হিসেবে পালন করবে। "
২০০৭ সালে টালমাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতির এক পর্যায়ে রাষ্ট্রপতি ও তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ইয়াজউদ্দিন জরুরি অবস্থা জারি করেন। এরপর ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে গঠিত হয় আরেকটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
সেনা সমর্থিত ওই সরকারের অধীনেই দুই বছর পর সাধারণ নির্বাচন হয়।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার মনোনীত রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন অবশ্য দায়িত্ব ছাড়ার পর একটি টেলিভিশনে অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, তিনি যা করেছেন নিজের সিদ্ধান্তেই করেছেন।
১১ জানুয়ারি পরিকল্পিতভাবে জরুরি অবস্থা জারি করা হয় দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, "এটি একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ছিলো। দেশে সাংবিধানিক ধারা বাধাগ্রস্ত করতেই তা করা হয়েছে। "
বিএনপি ২৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালনেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
খোন্দকার দেলোয়ার বলেন, "১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিলো। সব সংবাদপত্র বন্ধ করে কেবল চারটি সংবাদপত্র রেখে বাক স্বাধীনতার পথ রুদ্ধ করেছিলো। বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রয়োগ করে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের হত্যা ও গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছিলো। "
দুপুরে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভায় দিবস দুটি এভাবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়।
দেলোয়ার জানান, দিবসের কর্মসূচি কী হবে, তা পরে জানানো হবে।
তিনি আরো জানান, আগামী ১৯ জানুয়ারি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মদিন দলীয়ভাবে উদযাপন করা হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপি নেতাদের মধ্যে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, কেন্দ্রীয় নেতা মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, সাবেক সাংসদ ফজলুল হক মিলন, খায়রুল কবির খোকন, শিরিন সুলতানা ও মহিলা সাংসদ শাম্মী আখতার।
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।