আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হায় একি শুনি! বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্ধশতাধিক চিকিত্সক মাদকাসক্ত ।

এই দেশটা আমার, আপনার, আপনাদের সবার, আসুন দেশটাকা ভালবাসি।

সংবাদ টি শুনে আমি খুবই চিন্তিত। শুনলে আপনারা ও চিন্তিত হবেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্ধশতাধিক চিকিত্সক নিয়মিত মাদক গ্রহণ করেন। যেইসব চিকিত্সকেরা অসুস্থ মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকার কথা সেই সব চিকিত্সকেরা মানব সেবার পরিবর্তে নিজেরাই মাদক সেবন করছেন।

দেশের সর্বচ্চ্য সরকারি এই হাসপালের চিকিত্সক দের যদি এই অব্থা হয় তাহলে সাধারন মানুষ তাদের কাছ থেকে ভাল সেবা আশা করতে পারেনা। তাই আমরা somewhereinblog এর সমস্ত ব্লগারেরা আসুন এর প্রতিবাদ করি। এবং এসব চিকিত্সকদের চিণ্হত করে শাস্তিমূলাক ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরুধ করছি। পত্রিকার সংবাদটি নিম্নরুপ: বন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্ধশতাধিক চিকিত্সক নিয়মিত মাদক গ্রহণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসব চিকিত্সক নিয়ে অস্বস্তিতে আছে।

উপাচার্য প্রাণ গোপাল দত্ত প্রথম আলোকে বলেন, অভিযোগ যাচাই করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে এসব চিকিত্সককে শাস্তি দেবে কর্তৃপক্ষ। মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহ-উপাচার্য রশিদ-ই-মাহবুব বলেন, ‘নিয়মিত মাদক সেবন করা একজন চিকিত্সকের জন্য চরম গর্হিত কাজ। এটা চিকিত্সা পেশার নৈতিকতার সম্পূর্ণ বিপরীত। ’ তিনি বলেন, এর ফলে রোগী ও সাধারণ মানুষ চিকিত্সকদের ব্যাপারে আস্থা হারিয়ে ফেলবে।

বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর। মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে এখন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের হূদরোগ বিভাগে কাজ করছেন এমন একজন চিকিত্সক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দু-একজন জুনিয়র চিকিত্সক মদ-গাঁজা খান এটা নতুন কিছু নয়। মাদকসেবীদের ফেনসিডিলের বোতলের কারণে পয়োব্যবস্থা বিপর্যস্ত হওয়ার ঘটনা অনেকবার ঘটেছে। নতুন হচ্ছে, প্রশাসন বিষয়টি স্বীকার করে মাদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে। সম্প্রতি একটি গোয়েন্দা সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে চিকিত্সকদের মাদকাসক্ত হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বহিরাগত মাদকসেবীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু চিকিত্সক মাদক সেবন করছেন। রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী এক ব্যক্তির ছেলে ও একসময় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করতেন এমন একজন চিকিত্সক মাদকসেবীদের একটি চক্র গড়ে তুলেছেন, এমন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য। গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে প্রতিবেদন পাওয়ার পর উপাচার্য বিভাগীয় প্রধানদের সভায় চিকিত্সকদের মাদকসেবনের বিষয়টি উপস্থাপন করেন। ওই সভায় তিনি বিভাগীয় প্রধানদের কাছে নিজ নিজ বিভাগের সন্দেহভাজন চিকিত্সক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নাম চান। প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যে বিভিন্ন বিভাগে প্রায় অর্ধশত চিকিত্সক নিয়মিত মাদকসেবন করেন বলে জানা গেছে।

নাক-কান-গলা বিভাগের একাধিক চিকিত্সকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ এসেছে এনেসথেসিওলজি বিভাগের বিরুদ্ধে। এই বিভাগের ছয়জন চিকিত্সক নিয়মিত মাদক সেবন করেন। এ রকম সব বিভাগ মিলে ৫০ জনের বেশি চিকিত্সক বিশ্ববিদ্যালয় বা হাসপাতালে নিয়মিত মাদকসেবন করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে এই প্রক্রিয়ায়। গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ কর্মস্থলে কর্মরত থাকা অবস্থায়ও কিছু সংখ্যক চিকিত্সককে মাদক সেবন করতে প্রায়ই দেখা যাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ পেশাগত নীতি-নৈতিকতার পরিপন্থী ও বেআইনি।

এমতাবস্থায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও ভাবমূর্তি রক্ষা তথা রোগীদের সুষ্ঠু চিকিত্সাসেবা দেওয়া নিশ্চিতকরণের স্বার্থে উপরিউক্ত অনৈতিক কর্মকাণ্ড রোধে আপনার হস্তক্ষেপ খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। ’ একাধিক শিক্ষক-কর্মচারী এই প্রতিবেদককে বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় (এ ও বি ব্লকের মাঝে) সন্ধ্যার পর বেশ কয়েকজন চিকিত্সক বহিরাগতদের নিয়ে গাঁজা ও ফেনসিডিল সেবন করেন। আবার টিনশেডেও কোনো কোনো দিন মাঝরাত অবধি মাদকের আসর চলে। মদ, গাঁজা ছাড়াও এসব চিকিত্সক নানা ধরনের ওষুধ মাদক হিসেবে ব্যবহার করেন। রশিদ-ই-মাহবুব বলেন, মাদকাসক্তি এক ধরনের অসুস্থতা।

কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁকে প্রথমে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করতে হবে। তাঁকে সুস্থ ও সংশোধন হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। কেউ সুস্থ না হলে তাঁকে বরখাস্ত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে তাঁর নিবন্ধনও বাতিল হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ শুরু করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য চিকিত্সকদের ডোপ টেস্ট বা প্রস্রাব পরীক্ষা করার কথাও ভাবছেন। তবে কত জনের ডোপ টেস্ট করা হবে, সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। রশিদ-ই-মাহবুব মনে করেন, কমপক্ষে দুটো পরীক্ষাগারে এই পরীক্ষা হওয়া দরকার। ( সংবাদটি আজকের প্রথম আলো পত্রিকা থেকে নেওয়া)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।