যে শিক্ষক বুদ্ধিজীবী কবি ও কেরানী প্রকাশ্য পথে হত্যার প্রতিশোধ চায়না আমি তাদের ঘৃণা করি
একের পর এক এইসব মৃত্যুর খবর শুনতে শুনতে আমার আর কোন বিকার হতো না! আগে যেমন একটা মৃত্যু সংবাদ শুনলে আঁতকে উঠতাম, এখন আর তেমন হয়না! এনে মনে মৃত্যুকেও যেন খুব স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিতে শিখে গেলাম! পাড়ায় যে বড় জমিদারদের পুকুর ছিল তার পাশেই একটি হিন্দু পরিবার থাকত। ভাঙ্গা জমিদার বাড়ির এক কোণায় ছাপড়া মত তুলে সেখানেই থাকত তারা। সেই বাড়ির বুড়ো মানুষটি হঠাৎ কয়েকদিনের জ্বরে মারা গেল। এটা কোন যুদ্ধের মরা নয়। এমনিই মরে যাওয়া।
এই মৃত্যুও খুব স্বাভাবিক মনে হলো। আমরা এখানে আসার পর কোন হিন্দুর মৃত্যু দেখিনি। ওই বুড়ো মরে যাওয়ার পর আমরা দলবেধে মড়া ঘাড়ে শ্মশানে গেলাম। গ্রামের শেষ মাথায় একটা মরা খাল যেখানে বিলে মিশেছে সেখানে শ্মশান। আমি আগে কখনো লাশ পোড়ানো দেখি বলে খুব আগ্রহ করেই লাশের সাথে গেলাম।
লোকজন বেশি না, মাত্র দশ-বার জন খাটিয়ায় করে লাশ ঘাড়ে নিয়ে যাচ্ছে, আর অনবরত বলে চলেছে –‘বলো হরি, হরি বোল’! আমি প্রথম প্রথম কিছুই বলছিলাম না, তারপর মনে হলো বললে ক্ষতি কি? প্রথমে লজ্জায় একটু আস্তে আস্তে, পরে ওদের সাথেই গলা মিলিয়ে বলতে থাকলাম-‘বলো হরি, হরি বোল‘! প্রথম দিককার একজন বলে-‘বলো হরি’...সাথে সাথে আমরা সবাই বলে উঠি-‘হরি বোল’! সাজানো চ্যালাকাঠের উপর লাশ শুইয়ে দেওয়ার পর তেল ঢেলে আগুণ ধরিয়ে দিল! আমি ভীষণ ভাবে চমকে উঠলাম! এভাবে মানুষকে পোড়ায়! চড় চড় করে চামড়া পোড়ার শব্দ হচ্ছে, আর কেমন যেন অচেনা গন্ধ বেরুচ্ছে। আমি ভয়ে ভয়ে দেখছি...... লাশ পুড়ে কয়লা হওয়া পর্যন্ত অকেকেই দাঁড়াল না, কিন্তু আমি অবাক হয়ে দাঁড়িয়েই থাকলাম। অশ্ব-বিশ্ব দুই ভাই আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে এলো। এর আগে আমাদের গ্রামের নদী দিয়ে মাটির হাড়ি আর আধাপোড়া কাঠ ভেসে যাওয়ার সময় বড়রা বলত-‘শ্মশানের কাঠ, শ্মশানের হাড়ি’।
নভেম্বরের শীত এখন ভাল ভাবেই পড়তে শুরু করেছে।
বিকেল হতেই টুপ করে সূর্যটা ডুবে যায়। বোনদের জন্য উল কিনে এনে মা সুয়েটার বুনে দিলেন। আমার একটা ফ্লানেলের সার্ট ছিল তাই আমার দরকার হলো না। মায়ের সেলাই করা টাকা থেকে আমি মা’র জন্য একটা শাল কিনে আনলাম। গাঢ় রঙের।
মা বললেন-ভেড়ার লোম দিয়ে নাকি এই শাল বানানো হয়।
এই সময় আমাদের ক্যাম্পের পাশে আর্মিদের ক্যাম্পে আরো অনেক গাড়ি ভরে ভরে অস্ত্রপাতি আর সৈন্যরা এলো। পাক সেনারা ওপারে যত বেশি বেশি বাড়িতে আগুন দিচ্ছিল ততই মুক্তিযোদ্ধারা আক্রমন জোরদার করছিল। এর মধ্যে আমাদের ক্যাম্পে আশপাশের ছোট ছোট কোম্পানি আর গ্রুপকে আনা হলো। বড় কিছু হবে এমন শুনছিলাম প্রায় রোজই।
ভারতীয় আর্মির কাছ থেকে যে ফোর ইঞ্চ মর্টার পাওয়া গেছিল সেই মর্টার একটা নিয়ে ফিট করা হলো ফ্রন্টে। মর্টারের জন্য যে চার-পাঁচ জনকে দেওয়া হলো তারা সবাই ইপিআর। তাদের আগেকার সেই খাকি পোশাক পরেই তারা মর্টারের কাছে ডিউটি করত। মূল ফ্রন্ট আরো একটু ভেতরে। একদিন জিপটিপ ছাড়াই আমরা কয়েকজন সেই মর্টার ফিট করা জায়গা দেখতে চলে গেলাম।
এদিন আমাদের কারো কাছেই কোন অস্ত্র নেই। আমি যাদের সাথে গেলাম তারা সবাই পাবলিক। কারো বয়স কুড়ির উপরে আবার কেউ পঁচিশ-ত্রিশ মত। চেনা পরিচিত পথে হেঁটে আমরা মর্টার পাতার জায়গায় গিয়ে খামোখাই বসে থাকলাম। একটা তেরপল দিয়ে বিরাট নলটা ঢেকে রাখা হয়েছে।
আমরা অনুরোধ কারার পর এক ইপিআর হাসতে হাসতেই তেরপর তুলে আমাদের দেখাতে গিয়ে বলল- ‘উস্তাদের চেহারা দেখতে আইছ, দেখো’! আমি মর্টারের গায়ে হাত দিয়ে দেখলাম ঠান্ডা! চকচকে নলটা একটু কোণাকুণি আকাশের দিকে তাক করা। কোন কিছু না ভেবেই আমি ফস করে জিজ্ঞেস করে বসলাম-‘কাকা কবে বোমা ছোঁড়া হবে’? ইপিআরটা আমার মাথায় চাটি দিয়ে বলল-‘খারাও না, কয়দিন পরেই দেখবা’।
শীত এলে দেশে থাকতে আমরা এসডিও সাহেবের বাডির সামনে একটা পাকা করা টেনিস কোর্টের পাশে আর একটা নতুন কোট বানাতে দেখতাম। সেখানে ওরা র্যাকেট খেলত। আমাদের পাড়ায় কেউ তেমন একটা খেলত না।
আমরা ওদের সেই পুরোনো হয়ে যাওয়া কর্ক কুড়িয়ে এনে দড়ি টাঙ্গিয়ে র্যাকেট খেলতাম। এখানে আমাদের এই গ্রামে বা পাড়ায় কোথাও কাউকে র্যাকেট খেলতে দেখিনি। কিন্তু কি আশ্চর্য! আমাদের ক্যাম্পে ক্যাপ্টেন সাহেবের তাবুর পাশে যে বাঁশঝাড় সেখানে একদিন দেখলাম বড় করে কোট বানানো হচ্ছে! এখানে নাকি ভলিবল খেলা হবে! সৈন্যরা দেখি মহা ধুমধামে দড়ি ফেলে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে কোট বানালো। যথাসময়ে নেট আর বল এলো। এবং মুক্তিযোদ্ধারা দুই দলে ভাগ হয়ে ভলিবল খেলতে শুরু করল! এটা আমি কোন ভাবেই মেলাতে পারছিলাম না।
আমার নিজেরও খুব খেলার সখ হতো, কিন্তু আমাকে নিত না। বাবা যে দিকে থাকত আমি নিজেই সেই দিকে দাঁড়িয়ে গেলে আমাকে দুর দুর করে সরিয়ে দেওয়া হতো! মেজাজ খারাপ করে পাশে বসে থাকতাম। জোরে মারা বল বাইরে চলে গেলে কুড়িয়ে আনতাম, তবুও আমাকে খেলতে নিত না। এ নিয়ে একদিন বাড়িতে মা’র কাছে নালিশও করলাম। মা’ বাবাকে সে কথা বলতেই বাবা বললেন-‘ও ছোট মানুষ ও পারবে কেন? হাতে ব্যথা পাবে না’? আমি জীবনে কোন দিন বাবার সামনে মাথা উঁচু করে কথা বলিনি, তর্ক তো করিইনি।
হঠাৎ সেদিন বাবার সামনে বলে দিলাম-‘ব্যাথা পেলে পাব, মরে তো যাব না! আমি যে গোলাগুলির মধ্যে যুদ্ধে যাই, তখন’? বাবা অনেকক্ষণ একভাবে আমার দিকে তাকিয়ে থাকলেন। তারপর নিজে নিজেই বললেন-‘উচিৎ না, তারপরও পাঠাই, তাই তো মরে যাওয়ার চেয়ে ব্যথা তো বেশি না’! তার পর দিন বাবার দলে একেবারে লাস্ট লাইনে দাঁড়ানোর সুযোগ পেলাম। ওদের এই ভলিবল খেলা দেখে আমি যেমন অবাক হয়েছিলাম, তেমনি পাড়ার লোকেরাও অনেক কিছু বলাবলি করত। চা-দোকানের পাশে বসে বলত-‘যুদ্ধ কইরে মরচে, আবার খেলতি সখ হয়েচে দেকো’? বাবাকেও একদিন ওই দোকানের পাশের লোকরা বলেছিল-‘ও হক সায়েব, আপনাদের খেলাধুলো দেইকে তো মনে হচ্চেনা যে আপনারা যুদ্ধ করচেন’? বাবা দেখলাম কি কি বলে যেন বোঝালেন- শরীর ঠিক রাখার জন্য নাকি করতে হয়, ক্যাপ্টেন সাহেবের আব্দার।
এর পর নিয়ম করে খেলা চলতে থাকল।
সন্ধ্যে হলেই দলে দলে ফ্রন্টে চলে যাচ্ছে। এদিকে আর একদল বিকেল থেকেই চিৎকার চেচামেচি করে ভলি খেলছে। এ নিয়ে পাবলিক মুক্তিযোদ্ধা আর ইপিআরদের মধ্যে কথা চালাচালিও হতো। একদিন রুস্তম নামের এক মুক্তিযোদ্ধা মেহেরপুরের ভাষায় গালিও দিয়েছিল। রুস্তম দেখতে পাঞ্জাবীদের মত বিশাল ছিল।
লুঙ্গি পরে খালি গায়ে ঘুরে বেড়াত। বুক ভর্তি কালো কালো লোম। আমাকে মাঝে মাঝে এক হাতে উঁচু করে তুলে বলত-‘আমার বাপে রুস্তম নাম রেইকেচে ক্যানো জানিস? আমি হ’লাম পালোয়ান’! রুস্তম কখনো খেলত না। সে-ই গালি দিয়ে বলেছিল-‘তুমাগের পুঙ্গায় ম্যালা ত্যাল, তাই তুমরা খেলচ, আমরা মরতি মরতি যুদ্দ করচি, আমাগের খেলা আসে না, শালার সুমুন্দির ছেইলেরা....’ এই কথা কি ভাবে যেন ইপিআররা শুনে তারাও রুস্তমকে গালাগালি করেছিল। আমি মনে মনে রুস্তমের পক্ষেই ছিলাম, কিন্তু কাউকে কোন কিছু বলিনি।
কেন যেন মনে হয়েছিল রুস্তম তো ঠিকই বলেছে।
আরো কয়েকদিন পর যথারীতি বিকেলে সবাই খেলছে। সন্ধ্যেয় যাদের ফ্রন্টে যাবার কথা তারা তৈরি হচ্ছে। আমিও বাড়ি ফেরার জন্য হাঁটা ধরেছি। হঠাৎ গুড়ুম গুড়ুম শব্দে চারপাশ কেঁপে উঠল।
এই শব্দটা আগের সেই মেশিনগানের গুলির মত না। মনে হচেছ কামান দাগার শব্দ। ক্যাম্পে সাথে সাথে শোরগোল পড়ে গেল। যারা খেলছিল তারাও তাড়াতাড়ি নেটটেট গুছিয়ে তাবুতে ফিরেই তৈরি হতে লাগল। ওদেরই একজন আমাকে হা করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বলে উঠল-‘দাঁড়ায়া আছ ক্যান, হয় বাড়ি চলে যাও, না হয় রেডি হও’।
বাবা তার টিম নিয়ে দৌড়ে যাবার সময় আমার পাশে এসে বাড়ি চলে যেতে বলে গেলেন। আমি কি করব তা বুঝে উঠতে পারছিলাম না। একবার মনে হলো যাব না। কি হবে যেয়ে? আমি তো কিছুই করতে পারিনা! পরক্ষণেই যুদ্ধ দেখার কথা ভেবে রেডি হয়ে গেলাম। ‘কোথ’-এ আমার নামে কোন এসএলআর ছিল না।
যেটা খুশি নিলেই হয়। আমি মাতব্বরি করে এসএলআর না নিয়ে একটা এসএমজি কাঁধে ঝুলিয়ে হাঁটা দিতেই একজন অচেনা লোক ছোঁ মেরে কেড়ে নিল। এসএমজি খুব কম ছিল। সেটা শুধু কমান্ডাররাই নিত। আমি মন মরা হয়ে আবার এসএলআরই নিয়ে দৌড় শুরু করলাম।
ক্রমাগত গুড়ুম গুড়ুম করে বোমা ফাঁটছে। আমরা যখন বিএসএফ ক্যাম্প পার হবো সেই সময় ক্যাম্পের পুব পাশে জমির মধ্যে একটা গোলা ফাঁটল। এখন আর জিপ নেই। যে যার মত শুধু দৌড়াচ্ছে। আমি ওদের সাথে তাল মেলাতে না পেরে কেবলই পিছিয়ে পড়ছি।
তখন আবার কেউ একজন আমার হাত ধরে কিছুদূর টেনে নিয়ে যাচ্ছে। এই রাস্তায় আগে বহুবার আমি হেঁটে গেছি, জিপে গেছি, কিন্তু কখনো এমন তাড়াহুড়োয় দৌড়ে যাইনি। হাঁপাতে হাঁপাতে দৌড়াচ্ছি আর মনে হচ্ছে পড়ে যাব! এসএলআরটা না থাকলে মেন হয় এত কষ্ট হতো না। একেবারে যখন আমাদের নতুন ফ্রন্টলাইনের কাছে চলে এসেছি, তখন কে যেন আমার মাথা থেকে হেলমেটটা খুলে নিয়ে বলল-‘আমার সাথে সাথে দৌড়াও ভাতিজা’। আমরা যতই ফ্রন্টের কাছে আসছি ততই আমাদের পাল্টা গুলির শব্দও শুনতে পাচ্ছি।
এলএমজির ব্রাশ ফায়ার, আর তার সাথে রাইফেল এবং এসএলআরের সিঙ্গেল। কিছুক্ষণ পর পরই আমাদের সেই মর্টারের ফায়ার। আমরা যেয়ে ধপাধপ উপুড় হয়ে শুয়ে পড়লাম।
আমি কেবল কাক করে ফায়ার শুরু করব তখনই আমাকে ধমক দিয়ে থামিয়ে দিল একজন। আমি বোকার মত পেছনের লাইনে শুয়েই গুলি করতে যাচ্ছিলাম।
খেয়ালই নেই আমার সামনে আমাদেরই আর একটা লাইন। আমি মনে হয় নিজেদের লোককেই গুলি করে দিচ্ছিলাম আর একটু হলে! ক্রল করে আবার সামনে গেলাম। অন্ধকারে কার পাশে আমি বা আমার পাশে কে চিনতে পারছিলাম না। কিন্তু আমাকে দেখেই সেই পাশের লোকটা চিনে সেই অন্ধকারেই কেমন করে যেন হাসার চেষ্টা করল। মাথা ঝাঁকি দিল।
পিঠে হাত রাখল। আমি মুখ ঘুরিয়ে তাকালাম। আবার পিঠে হাত রেখে একটু জোরে চাপ দিল। আমার ঘাড়ে একটা ধাক্কা দিয়ে এসএলআর থেকে গুলি বেরিয়ে যেতে থাকল.....সামনে কে আছে, কি আছে জানিনা। অন্ধকারে গুলি করছি।
পনের বিশ মিনিট বা আর একটু পরে তিনি কনুই দিয়ে গুঁতো দিয়ে বললেন- এ্যাডভান্স। আবার ক্রল করে এগোচ্ছি.....এতক্ষণ পরে খেয়াল হলো মাথায় হেলমেট নেই! যে খুলে নিয়েছিল সে কোথায় তাও জানিনা! আমি চিৎকার করে উঠলাম-‘কাকা হেলমেট নেই’! লোকটি সাথে সাথে তার হেলমেট খুলে আমার মাথায় পরিয়ে দিল! আমি অবাক হলাম, কাকার মাথা খালি! যদি মাথায় গুলি লাগে! গুড়ুম গুড়ুম অবিরাম গোলা এসে পড়ছে কখনো আমাদের সামনে কখনো পেছনে। যে কোন মুহুর্তে মাঝখানে পড়লে কি হবে সেটা ভাবারও সময় নেই! আরও একটু পরে আমাদের কমান্ড এলো ‘মুভ’! এবার ক্রল না, উঠেই কুঁজো হয়ে সামনে ছুটছি.....ছুঁটতে ছুঁটতে আমাদেরই একটা বাঙ্কার দেখলাম। ওই লোকটি সেই বাঙ্কারের পাশ দিয়ে যাবার সময় আমাকে ধাক্কা দিয়ে বাঙ্কারের ভেতর ঠেলে দিল। আমি গড়াতে গড়াতে বাঙ্কারে ঢুকে গেলাম.....লোকটা দৌড়াতে দৌড়াতেই চিৎকার করে বলছেন ‘বের হবা না ওখানেই থাকো"।
ঘুটঘুটে অন্ধকার বাঙ্কারে আমি একা! ভয়ে কেঁপে উঠলাম! আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে টানা গুড়ুম গুড়ুম আর কটকট শব্দে থেকে থেকে বুক কেঁপে উঠছে.....ক্লান্ত আমি বাঙ্কারের কোণায় মনে মনে পানি খুঁজে চলেছি.....ভীষণ তেষ্টায় ছাতি ফেটে যাবে যেন.......একটু পানি......
চলবে...........
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।