মায়াবতী এই প্রহর
কিছুদিন আগে চতুষ্কোণের একটি চমৎকার পোষ্টে মন্তব্য করেছিলাম এরকম:
আমাদের একেকজনের অনুভূতির প্রকাশ একেক রকম। কেউ বলে ভাল, কেউ বলে সুন্দর, আর কেউ কিছুই বলেনা, শুধু + দিয়ে যায়।
তেমনই কেউ মুখে বলে, কেউ বলেনা, শুধু............
এটা তার খুব ভাল লেগেছিল। এপ্রসঙ্গে আমারও টুকরো টুকরো কিছু ঘটনা মনে পড়ে গেল।
ক্লাস থ্রীতে পড়ি তখন।
আইসক্রীমের পোকা। কেউ কিছু দিতে সম্মত হলে আইসক্রীমের বায়না ধরি । আমার ধ্রুব চাচ্চু এসেছেন বেড়াতে। উনি একটু গম্ভীর টাইপের লোক। এসে দেখলেন আমি কমলা রঙের একটা সস্তা আইসক্রীম খাচ্ছি।
উনি আমার হাত থেকে সেটা কেড়ে নিয়ে ছুড়ে ফেললেন দূরে। আর আমি ফ্যালফ্যাল করে আইসক্রীমটার গলে যাওয়া দেখতে লাগলাম। ক্লাস থ্রীতে পড়া বাচ্চার জন্য নিঃসন্দেহে এটা একটা হৃদয়-বিদারক দৃশ্য!
সারাদিন অভিমানে ফুলে রইলাম। চাচ্চুও একটাবার এলেন না আমার মান ভাঙাতে। খুব নিষ্ঠুর মনে হল তাকে।
মনে মনে অভিশাপ দিলাম যেন চাচ্চুর হাত থেকেও একদিন আইসক্রীম পড়ে যায়। তাহলে উনি বুঝতে পারবেন চোখের সামনে আইসক্রীম গলতে দেখাটা কত কষ্টের!
দুপুরে বাধ্যতামূলক ঘুমের পর বিকেলে ঘুম ভাঙলো চাচ্চুর ডাকে। তার হাতে বড় বড় তিনটা আইসক্রীমের বাক্স। চেহারাটা দুখি দুখ। বাক্সগুলো আমার হাতে দিতে দিতে বললেন, ঐ আইসক্রীমটাতে রং ছিলযে!
ব্যস: ঐ একটা কথাতেই আমি বুঝে নিলাম যে আমার ক্ষতি হবে বলেই উনি আমাকে ঐ আইসক্রীমটা খেতে দেন নি।
আর এও বুঝলাম চাচ্চু আমাকে কত ভালবাসেন। আইসক্রীম ফেলে দেয়ার মত নিষ্ঠুরতাও তার ভালবাসারই একটা প্রকাশ!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।