আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাদের সময় থেকে কপি পেস্ট----বাপকা বেটা -

উচিত কথা কমু, তাতে মসজিদ আর মাদরাসা কি

এরশাদের পালকপুত্র আটক । । ছেড়ে দেয়া হয়েছে বান্ধবীকে বিপব বিশ্বাস ও পাবন সরকার: রাজধানীর বনানী থেকে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পালক পুত্র আরমান এরশাদ আলমকে আটক করেছে। অতিরিক্ত মদ্য পান করে বেসামাল অবস্থায় প্রাইভেট কার চালিয়ে যাওয়ার সময় প্রায় ২০ জনকে আহত করা এবং রাস্তায় চলাচলরত বেশ কটি গাড়ির ক্ষতিসাধন করার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় গুলশান থানায় ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক (তড়িৎ কৌশল বিভাগ) শাহরিয়ার আহম্মেদ ৭০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের অভিযোগ দায়ের করেন।

এছাড়া জনৈক ছালাম নামের অপর এক ব্যক্তিও অপর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তবে রাত ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানা অভিযোগগুলো মামলা বা সাধারণ ডায়েরি আকারে গ্রহণ করেনি। আটকের পর আরমান এরশাদ আলমকে গুলশান থানায় রাখা হয়েছে। পুলিশ তার সঙ্গেই বান্ধবী তানিয়াকে আটক করলেও পরে তাকে ছেড়ে দেয়। এ ব্যাপারে আরমান থানা হেফাজতে জানান, গতকাল বিকেল তিনটার দিকে সে বনানী ৬ নম্বর রোডের আমেরিকান ইউনিভার্সিটির সামনে দাঁড়ানো ছিল।

এ সময় একটি প্রাইভেট কারযোগে এক তরুণী যাচ্ছিল। এ সময় ওই তরুণীকে হাত ঈশারা করে সে লিফ্ট চায়। তরুণী রাজি হয়ে তাকে গাড়িতে উঠায়। এরপর দু’-এক কথার পর সে নিজে গাড়ি ড্রাইভ করতে চাইলে তাকে ড্রাইভ করতে দেয়। এ সময় ওই তরুণীর নাম জানতে পারেন।

তার নাম তানিয়া। তানিয়া তাকে বলেন, সে তার ভাই জিয়াকে না বলে গাড়ির চাবি নিয়ে বাসা থেকে বের হয়েছেন। ইউনিভার্সিটির সামনে হঠাৎ গাড়ির ব্রেক ফেল করলে দুর্ঘটনা ঘটে। সে কোনো মাদকদ্রব্য সেবন করে গাড়ি ড্রাইভ করেননি। আশাপাশের লোকজন তাকে আটকে ব্যাপক মারধর করে।

এতে তিনি আহত হন। তবে পুলিশ বলেছে, আরমান এরশাদ আলম বান্ধবী তানিয়াকে নিয়ে তার প্রাইভেট কারযোগে বনানী ৬ নম্বর রোডের আমেরিকান ইউনিভার্সিটির সামনে দিয়ে মদ পান করে বেপরোয়া গাড়ি চালালে সে নম্বরবিহীন প্রাইভেট কারের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এ সময় তার প্রাইভেট কারের ধাক্কায় কমপক্ষে ৭টি গাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার বান্ধবীর প্রাইভেট কারও। একপর্যায়ে তার কারের পেছনের বিভিন্ন অংশ খুলে পড়ে।

একপর্যায়ে পথচারী ও স্থানীয় লোকজন আরমান এরশাদ আলমের প্রাইভেট কার আটক করে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। তাকেও মারধর করে। এখবর পেয়েই পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বান্ধবীসহ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনার সময় তার প্রাইভেট কারের আঘাতে নারী, পুরুষসহ ২০ জন পথচারী আহত হয়। তাদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিক ও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এদের মধ্যে আব্দুল কুদ্দুস (২৮), বিলাল হোসেন (৩০) ছালাম (২২)কে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। বাকিরা বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নেয়ায় তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।