কালের তিলক
..........
রাষ্ট্রের সীমানা বেধে আকাশকে পরাধিন করেছে যে প্রেম,
হৃদয়ের ডানা মেলে কিছুতেই যখন আর স্বস্তি হয়না,
স্বাধীন ইচ্ছায় পেশীপূর্ণ হাতের থাবা যখন - নিয়ন্ত্রন;
নিজের পতাকা গেড়ে যেন এক বনমানুষ হুংকার ছাড়ে;
বর্বর যুগের যে প্রেম মনকে এইভাবে চোরাপথে ধীরে
নিয়ে যায় ক্রমাগত জীবাশ্মের প্রাচীন সংস্কারে -
প্রতিশ্রুতিমুক্ত সম্পর্কের কোষে প্রোথিত জমাট অবিশ্বাস
আর অধুনিক জীবন দখলে রাখে যেই সাম্রাজ্যের প্রেত -
তার থেকে সরে গিয়ে - অপ্রেমের যতো বিস্ফারক ক্ষোভ,
তীব্র রোষ, প্রতিশোধ - ব্যর্থপ্রেমে যতো অপরাধবোধ,
সম্বালহীনের কন্ঠরোধ - সেই সব থেকে যতো দূরে থাকি -
সব স্বার্থপর মোহ থেকে হৃদয় আমার যতো মুক্তো রাখি
ফাগুনের শিওরে দাঁড়িয়ে চেয়ে থাকি যতোই মরু তৃষায়
স্পর্শের বাইরে রুমঝুম সুর সুদূর মেঘের আঙিনায়।
নীল নদ সিন্ধু গঙ্গা তীরে অচেনা কোন জনবসতি থেকে
ইভ যদি আজ বির্বতিত নতুন আদলে হাত ছানি দেয়,
সময়ের দুটি হাত বাড়িয়ে বুকের মাঝে যতো ডাকাডাকি,
মরিচিকা হয়ে বহু দূরে - প্রেমিক পুরুষ - তুমি স্বপ্নবাদী|
তোমার সাম্যের গান রোমান্টিক আবেশের মতো নিরালায়
আমার সমস্ত গাঢ় অনুভূতি ছুঁয়ে কেন পলকে শুকিয়ে যায় ?
হৃদয়ের গভীরতম রোমান্টিকতার নাম সমাজতন্ত্র ?
বুকের গভীর উষ্ণতায় যে শিশুর সুপ্ত স্বপ্ন মিশে থাকে,
প্রজাপতি পাখী আর শিশু - দৃষ্টি সরে গিয়ে থামে তার দিকে,
উল্টো হয়ে ঘুমিয়ে রয়েছে শিশু - বৃষ্টিভেজা ভোরে,
আমাদের হৃৎস্পন্দনে যে শিশু কেঁদে ওঠে ঘুমের ঘোরে
ভ্রুণের ভাষার মতো তার নামও বুঝি সমাজতন্ত্র !
আজকের আদমের মন - অনুরাগে যদি হয় স্নিগ্ধ চাঁদ
পৃথিবীর বুকে শুধু রূপা ঝরা শান্ত এক পূর্নিমার রাত!
ভালোবেসে আজকের আধুনিক ইভ - কেবল স্রোতের ঢল,
হয় যদি আদমের বুকে কোনো নদী - টলোমলো ঢেউজল!
দরজার ওইপাশে
..........
বেহালার ছড়ের আবেগে
আড়ঘাতে লেজ নাড়ে বসন্তের পাখী।
সকালের মিষ্টি রোদ কড়া নেড়ে ডাকে:
" সোনামনি ভোর হলো, ওঠো। "
আল্গোছে দরজা খুলে যায়
দরজার ওইপাশে কোনো ঘর নাই।
আমার অজস্র শ্রান্ত সোনামনি অনাদরে
ফুটপাতে গড়াগড়ি যায়।
ঢাকা গেট পার হয়ে দেখি
শহরের আবাসে নিবাসে কতো ঘর,
কতো বাড়ী - কতো দ্বার - কতো দ্বারী!
শুধু আমাদের দরজার
ওইপাশে ঘর নাই।
বাতাসের হুংকার সজোরে বলেছে
"ঘরে যাও, ঝড় হবে দেশে"
আল্গোছে দরজা খুলে যায়
দরজার ওইপাশে কোনো ঘর নাই।
বাংলার আত্মীয় আর পরিবার
পলিথিন মুড়ে
শুয়ে থাকে বাঁধের উপরে।
বন্যার মৌসুমে কতো কতো দানের দরজা
শুধু আমাদের
দরজার ওইপাশে কোনো ঘর নাই।
শূন্য হাত
......
ঘুম ভেঙে জেগে পেটে হাত!
আশটে দাঁত মেজে মেজে পরিচ্ছন্ন এক কারখানা ।
মনুষ্য বাজার, কাজ করে ভাত।
ফিরতে পথে থামি মুগ্ধ মনে
রোমান্টিক গান শুনি। মনটা ভাসাই ভারসাম্য বিধানের হরমোন নিঃসরণে ।
বিকেলের বয়স ফুরালে ফিরে আসি
নিজের পিঞ্জরে।
ভাবি বাউল পাখীর কথা।
ঘরের সুইচ টিপে সন্ধ্যাবাতি জ্বালি।
অজ্ঞতা কাটেনা তবু।
এইভাবে সারাটা দিন জীবনের টানে
দেহ আর মন - আমাদের দুজনের বেলা কাটে।
ঘুম ভেঙে জেগে উঠেছি সকালে - খালি হাত,
আবার ঘুমাতে যাচ্ছি রাতে - দেখি শূন্য দুটি হাত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।