আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৪০ হাজার দুঃস্থের জন্য ২৭টি কম্বল!

চোখ খুবলে নেয়া অন্ধকার, স্ফুলিঙ্গ জ্বেলে দাও!

'স্বাধীনতা' ও 'গণতন্ত্র' কি শুধুই স্বপ্ন হয়েই থাকলো। ১৯৭১ থেকে ২০০৯; প্রায় ৩৯ বছরে 'স্বাধীনতা' ও 'গণতন্ত্র' কি উপহার দিলো আমাদের? কি লাভ হলো লাখ লাখ মানুষের আত্মদানের মধ্য দিয়ে? লাভ হয়েছে অবশ্যই। তবে যারা মুক্তির জন্য রুখে দাঁড়িয়েছিলো তাদের নয়। যারা মুখোশ পরে জনগণের বন্ধু সেজেছিলো তাদেরই লাভ হয়েছে। তাইতো কোটিপতির সংখ্যা বাড়ছে তো বাড়ছে।

অপরদিকে দেশের মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো আজও মেটানো যায়নি। মৌলিক অধিকারগুলোর অন্যতম হলো বস্ত্র। আজ বস্ত্রের অভাবে যখন মানুষ মারা যাচ্ছে তখন তাদের জন্য আমাদের সরকারের বরাদ্দ ৪০ হাজার দুঃস্থের জন্য ২৭টি কম্বল। পত্রিকার খবর: শিবচর উপজেলার পদ্মাবেষ্টিত জনবিচ্ছিন্ন ৪টি ইউনিয়নের প্রায় লাখো মানুষ গত কয়েকদিনের ঘন কুয়াশা ও হাড় কাঁপানো শীতে কাবু হয়ে পড়েছেন। উপজেলা প্রশাসন সুবিধাবঞ্চিত এসব মানুষের জন্য ইউনিয়নপ্রতি ২৭টি করে কম্বল বরাদ্দ দিয়েছে।

চরের লোকজন এ বরাদ্দকে দরিদ্রদের সঙ্গে রসিকতা বলে আখ্যায়িত করেছেন। চরাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ ধানের শুকনো পাতা, পলিথিন বা ছেঁড়া কাঁথা দিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের বক্তব্য: ৪০ হাজার মানুষের মধ্যে প্রায় ৩০ হাজার হতদরিদ্র। তীব্র শীতে তাদের মরণদশা হয়েছে। কুয়াশার কারণে মানুষ ঠিকমতো মাঠে কাজ কিংবা নদীতে মাছ ধরতে পারছে না।

বরাদ্দকৃত ২৭টি কম্বল নিয়া চরে গেলে পাবলিক ধাওয়া দেবে। চরে অন্তত ১৫ হাজার কম্বল দ্রুত দরকার। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, প্রতিটি ইউনিয়নেই ২৭টি করে কম্বল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তবে জনবিচ্ছিন্ন বৃহৎ এ চরে শীতবস্ত্র আরও অনেক বেশি প্রয়োজন। তথ্যসূত্র: দৈনিক সংবাদ, ১৮ ডিসেম্বর ২০০৯ এই হলো আমাদের অবস্থা।

আসুন, এইসব দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।