আমি গড়িয়ে পড়ছি।
ঢালু রাস্তা দিয়ে যেমন দলা পাকানো কাগজ গড়াতে থাকে -তেমনি। আমার কপালে চোট লেগে এরই মধ্যে রক্ত ঝরা শুরু হয়েছে। শরীরের ছিলে যাওয়া অংশগুলোর তীব্র ব্যাথায় মুখ দিয়ে গোঙ্গানীর মতো শব্দ বের হচ্ছে। বড় একটা পাথরের গায়ে হঠাৎ ধাক্কা লেগে আমার চোখে অন্ধকার নেমে আসে।
খানিক বাদে আমার বাম হাতটায় একটা ঝাঁকুনির মতো লাগে। কেউ যেন আমাকে টেনে নিয়ে যেতে চাচ্ছে। আমি প্রচন্ড আতঙ্ক আর ব্যাথায় কঁকিয়ে উঠি।
কে যেন দাঁতে দাঁত পিষে কানের কাছে বলে যাচ্ছে- ওঠ্ , ওঠ।
আমি পারছিনা।
আর কোনদিনও বোধ হয় আমি দাঁড়াতে পারবো না।
অস্ফুট স্বরে আমি বলি- আমাকে ছাড়, প্লিজ..।
আগন্তুক হিম শীতল কন্ঠে বলে ওঠে- ওঠ, তুই যাবি না তোর বাপ যাবে। ওঠ, হারামজাদা।
আমি কাঁদবো কিনা বুঝতে পারছি না।
!
!
!
!
আমি সমস্ত শক্তি দিয়ে চোখ মেলি।
এ যে আমার বাড়ী!
আমার ঘর! আমার বিছানায় আমি শুয়ে আছি!
ওই তো ডাইনিং এ মা-কে দেখা যাচ্ছে।
আমার বন্ধু নাহিদ আমার বাম হাত ধরে ক্রমাগত ঝাঁকিয়ে যাচ্ছে।
ওর ঠোঁটে শয়তানি হাসি---জঘন্যরকম একঘেঁয়ে সুরে বার বার বলছে- ওঠ্ হারামজাদা, আর কত ঘুমাবি। .....ওঠ্
চল ক্যাম্পাসে যাব..............
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।