এই ব্লগের সব লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
আমরা ঘর ছাড়া কপাল পোড়া পোলাপাইন , ঈদের সময় আমাদের কপালে তো আর মায়ের হাতের রান্না নাই ... আর অন্যসব মজার মজার খাবার ও নাই ... তাই আমাদের একমাত্র ভরসা নিজের হাতের এমন সব রান্না যেখানে যতই পানি দাও লাউ ডুব দিবে না, লবন কম হবে অথবা বেশী, কখনো মাংস রান্না করতে গেলে মংসের স্যুপ হবে অথবা আধা সিদ্ধ মাংস চুইংগামের মত চিবুতে চিবুতে বলতে হবে ... ইয়াম্মী ইয়াম্মী ... কি মজা কি মজা রান্না ....
এসবের পরেও মাঝে মাঝে কিছু-মিছু এক্সপেরিমেন্ট করতে খুব একটা খারাপ লাগে না... যেমনটা করলাম এবারের ঈদে ... কয়েক দিন আগে এক আন্টিকে বলতে শুনেছিলাম কিভাবে বেসনের লাড্ডু বানায় ... নিজের স্মরণ শক্তির পরীক্ষা নিতেই শুরু করলাম এক্সপেরিমেন্ট ...
প্রথমেই বেসনকে ঠিক মত ব্লেন্ড করে কিসের মত জানি এই জিনিস টা তৈরি করলাম (লাড্ডু বানানোর সময় খাবারের রং ব্যাবহার করে, কিন্তু আমি কোনো রং ব্যাবহার করিনি)....
এবার ডুবো তেলে ওটাকে ভাজতে হবে... কাজটা করার সময়েই বুঝলাম কি ভুল করেছি এটা শুরু করে ... কারন বেসন গুলো গোল গোল করে ফেলতে হবে গরম তেলের ভিতর ... কিন্তু কেমনে করি ... এর পরে খুজে পেতে একটা চামচ নিলাম যার গোল গোল ছিদ্র আছে ... এর উপরে বেসন ঢালতেই মাথায় হাত .... এ কি দেখছি আমি .... গোল গোল এর যায়গাতে লম্বা লম্বা হয়ে বেসন পড়ছে গরম তেলের উপরে .... আর আমি মনে মনে বলছি - শুরুতেই এই পাঙ্গা হইলো, তো শেষে গিয়ে আজকে কি যে তৈরী হবে আল্লাহ মালুম !!!
বেসন গুলো গরম তেলে পড়তেই সেগুলোকে নাড়তে থাকলাম .... ঠিকমতো এটা না করলে আবার নীচে লেগে যাওয়ার সম্ভাবিলিটি থাকে ... সুতরাং একদন্ড দাড়ানোর সুযোগ নেই ... একটু পরে হালকা লালচে হয়ে গেলে সেগুলোকে একটা ট্রে তে তুলে রাখলাম ...
এভাবে কয়েকবারে বেশ খানিকটা বানিয়ে এর পরে একটা মাঝারি হাড়িতে চিনি আর পানি মিশিয়ে কিছুটা চিনির শিরা তৈরি করে গোল গোল লম্বা লম্বা করে ভাজা বেসন গুলোকে ওতে দিয়ে দিলাম একটা কইস্যা ঘুটা ... কিছুক্ষন পরে ওটাকে নামিয়ে গরম গরম অবস্হাতেই গোল গোল করে বানিয়ে ফেললাম বেসনের লাড্ডু .... থুক্কু ... অন্তুর ব্যাচেলর লাড্ডু ...
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।