গাড়ি থেকে নেমেই চমকে গেলেন মুশফিকুর রহিম। লাউড স্পিকারে বেজে উঠল রাজকীয় বাজনা। ‘শাহি’ ছাতার তলে তাঁকে এগিয়ে নিয়ে এলেন একজন। সঙ্গে পুষ্পবৃষ্টি। মুশফিকের চোখ-মুখ পরিষ্কার বলছিল, তিনি অপ্রস্তুত প্রস্তুত।
ক্লাবের নতুন মৌসুমের ক্রিকেটারদের এমন নাটকীয়ভাবেই বরণ করে নিল লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।
ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটে এমন ঘটা করে ক্রিকেটারদের বরণ করা ও পরিচিতি অনুষ্ঠান সম্ভবত এটাই প্রথম। উদ্যোগ প্রশংসনীয়। মঞ্চে ক্রিকেটারদের ফুলের মালা ও উত্তরীয় পরানো হলো। উন্মোচন করা হলো ক্লাবের নতুন জার্সি।
তবে অনুষ্ঠানটি রং হারাল খাপছাড়া আয়োজনে। বিশেষ করে বিকট শব্দে ‘আজিম-ও-শান শাহেনশাহ’ বা ‘চাক দে ইন্ডিয়া’ জাতীয় হিন্দি গান এমন একটা আয়োজনে বেখাপ্পা লেগেছে। বাংলার ভান্ডারে অনুপ্রেরণাদায়ী গানের তো অভাব নেই! উপস্থাপক হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের ভুলভাল বাংলা ও উপমার অপপ্রয়োগও ছিল চোখে লাগার মতো।
অনুমিতভাবেই গত মৌসুমের মতো এবারও অধিনায়ক মুশফিক, তাঁর ডেপুটি আবদুর রাজ্জাক। গত মৌসুমে অবশ্য এই ক্লাবকে নেতৃত্ব দেওয়াটা খুব একটা সুখের ছিল না মুশফিকের, মাঝপথে ছেড়েও দিয়েছিলেন দায়িত্ব।
তবে ব্যাট হাতে ছিলেন দুর্দান্ত, ৪ সেঞ্চুরি ও ৬ ফিফটিতে করেছিলেন টুর্নামেন্ট-সর্বোচ্চ ৯৫১ রান। শেখ জামাল হয়েছিল চতুর্থ। এবার আবার দায়িত্ব পেয়ে মুশফিক শিরোপা জিততে চান।
অবধারিতভাবে উঠল পারিশ্রামিকের প্রসঙ্গও। নতুন নিয়মে বিপিএলের মতোই টাকা না পাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন মুশফিক-সাকিব-তামিমরা।
কাল ক্লাবের কর্ণধারদের পাশে বসেও বার্তাটা দিয়ে রাখলেন মুশফিক, ‘ক্রিকেটাররা শুধু টাকার জন্য খেলে না। পুরো টাকা না পেয়েও আমরা বিপিএল খেলেছি। কিন্তু ক্রিকেট যেহেতু আমাদের পেশা, চাইব পেমেন্ট যেন ঠিক হয়। মাঠে আমাদের ওপর অনেক দায়িত্ব থাকে, আশা করব মাঠের বাইরের এসব নিয়ে ভাবতে হবে না। ’
ক্লাব সভাপতি মনজুর কাদের ও ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান আশ্বাস দিলেন টাকাপয়সা নিয়ে চিন্তা নেই।
সময়ই বলবে, আশ্বাস বাস্তবে রূপ পাবে নাকি আবারও ক্রিকেট ছাপিয়ে বড় হয়ে উঠবে আর্থিক টানাপোড়েন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।