১/ আমি বিবাহিত। এক সন্তানের মা। চাকরি করি। স্বামীর সঙ্গে পাঁচ বছরের সম্পর্কের পর বিয়ে হয়। সন্তানের বয়স তিন বছর।
আমার স্বামী তার এক সহকর্মীকে ভালোবাসে, তাদের মধ্যে দৈহিক সম্পর্কও রয়েছে। সেও বিবাহিত। তিন সন্তানের মা। প্রথম থেকে তাদের সম্পর্কের কথা বিভিন্নভাবে আমার কানে আসতে থাকে। আমার স্বামীর প্রতি অন্ধবিশ্বাসের কারণে শোনা কথা উড়িয়ে দিয়েছিলাম।
যখন আমি এর সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হই, তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। স্বামীকে ফেরানোর অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু তাতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ওপর অত্যাচার চালায়। এখন আমার কী করা উচিত?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
যশোর।
আপনি এমন একটি অবস্থা মেনে নেবেন কেন? আপনার সরে আসা উচিত। আপনি যখন বিয়ে করেছেন তখন তো আর জানতেন না যে লোকটা এমন করবে।
এখন যদি অন্য সব সামাজিক কারণে এটা মেনে নিতে হয়, তাহলে এটাও মেনে নিতে হবে, আপনার সংসার জীবন হবে কষ্টের। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, বেশ কিছুদিন আপনার স্বামী এই সম্পর্ক চালিয়ে যাবেন।
.................................................................................................................................
২/
আমি স্নাতক (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। কয়েক মাস আগে ভিন্ন ধর্মের এক সহপাঠীর সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তার আগ্রহে আমি আমার জীবনের অনেক কথাই তাকে বলি।
সবকিছু শুনে সে আমাকে বন্ধু হিসেবে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিছুদিন পর বুঝতে পারি, তার বন্ধুত্বের আড়ালে অন্য কিছু চাওয়া-পাওয়া আছে। বুঝতে পেরে আমি তার কাছ থেকে সরে আসতে চাই, কিন্তু পারি না। কিছুদিন আগে তার সঙ্গে আমার শারীরিক সম্পর্ক হয়। সম্পর্কের দুদিন পর সে আমাকে বলে আমি নাকি আরও ছেলের সঙ্গে এমন সম্পর্কে জড়িয়েছি।
কিন্তু আমি প্রথমেই তাকে বলেছি, এ রকম সম্পর্কে আমি কখনোই আর জড়াইনি। কিন্তু সে তা মানতে রাজি নয়। আমি নাকি তার সঙ্গে অভিনয় করেছি, তাই সেও আমার সঙ্গে অভিনয় করেছে। সে আমার সঙ্গে আর যোগাযোগ করছে না। কিন্তু শারীরিক সম্পর্কের পর থেকে আমি তাকে স্বামী হিসেবে মেনে নিয়েছি।
নিজেকে খারাপ মেয়ে বলে মনে হচ্ছে। মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে যাচ্ছি। আমি কী করব বা করা উচিত কিছুই বুঝতে পারছি না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
আপনার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই পাপবোধ নিজের মন থেকে উপড়ে নিতে হবে।
দেখুন, ছেলেটি অন্যায় করেছে। আপনি নন। ছেলেটি প্রতারক। আপনি শুধু শুধু কেন নিজেকে কষ্ট দেবেন।
(তাহলে শারীরিক সম্পর্কটা কি ঠিক ছিলো?)
.............................................................................................................................
৩/
আমার বয়স ২৩।
আমি ডিপ্লোমা প্রকৌশলেপড়ালেখা করছি। গত বছর হঠাত্ আমার মোবাইল ফোনে একটা মিসড কল আসে। সেই থেকে তার সঙ্গে পরিচয়। এরপর মাঝেমধ্যে তার সঙ্গে কথা হয়। একপর্যায়ে দুজন বন্ধু হয়ে যাই।
সে আমাকে ভালোবাসে বলে ফোনে জানায়। কিন্তু তার সঙ্গে তখনো আমার দেখা হয়নি। শুধু ফোনে কথা হতো। আমিও তার ভালবাসায় সাড়া দিই। তারপর থেকে মোবাইল ফোনে আরও অনেক বেশি কথা হতো।
দুজন-দুজনার সঙ্গে কথা না বললে ভালো লাগত না। হঠাত্ একদিন তার বিয়ে হয়ে যায়। অবশ্য বিয়ের আগে সে আমার কাছে চলে আসতে চেয়েছিল। আমি বলেছিলাম, আমিও তো এখন পড়ালেখা করছি। এক বছর অপেক্ষা করতে তাকে অনুরোধ করি।
সে রাজি না হয়ে বিয়ে করে ফেলে। সে তখন স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ছাত্রী। কিন্তু বিয়ের পর থেকে সে স্বামীর সংসার মেনে নিতে পারছে না। আমাকে ফোনে বলে, আমি তোমাকে এখনো ভালোবাসি। তোমাকে ছাড়া আমি অন্য কিছুই ভাবতে পারি না।
সে আরও বলেছে, বিয়ের পাঁচ মাসেও স্বামীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হয়নি। আমার জন্যই নাকি এটা করেছে। এখন বলে আমি তোমার কাছে আসতে চাই, তা না হলে আমি মারা যাব। আমাকে ছাড়া নাকি কিছুই ভাবতে পারে না। এখনো প্রতিদিনই ফোন করে।
আমি ফোন করতে নিষেধ করলেও শোনে না। আমি এখন কী করতে পারি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
ঢাকা।
মেয়েটি যখন বিয়ে করেছে, তার মানে সে এক জায়গায় কথা দিয়ে ফেলেছে। মেয়েটির ফোন আপনি ধরবেন না।
আপনি নিজে এবং আপনার এক সময়ের প্রেমিকা একটা দোদুল্যমান অবস্থায় থাকবেন, এটা কারও জন্যই ভালো হবে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।