আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রনি কলকাতা কী কন্সপিরেসি থিওরীর অংশ হতে পারে??

কত কিছু যে করতে চাই, তবুও কিছু করতে না পারার দায়ে মাথা খুঁটে মরি ।

পুরান কাহিনীর কথা টেনে লাভ নাই। ঘটনা সবাই জানেন। এসব শুনতে শুনতে সবার কান পঁচে যাবার কথা। কালকে রাতে এক বিশেষ গোষ্ঠীর পোস্ট পড়ে ঘুম থেকে উঠেই আমি পোস্ট লেখা শুরু করলাম।

এক লাইনে ঘটনা হল, গত পরশু ভোর রাতে এক যুগান্তকারী কমেন্টের মাধ্যমে রনি কলকাতা আমাদের দেশ সম্পর্কে ভারতীয়দের মনোভাব পরিষ্কার ব্যক্ত করে। ঘটনা সেটা না, জোর যার মুল্লুক সে নেবেই। ঘটনা যেটা হল, কিছু বাংলাদেশীও এই ব্যাপারটাকে সাপোর্ট দিয়েছেন। এই জিনিসটা আমাকে পোড়াচ্ছে। এক বিশেষ অতি জ্ঞানী গোষ্ঠী রনি কলকাতার পুরা ব্যাপারটাকে কন্সপিরেসি থিওরীর অংশ বানিয়ে ফেলল রাতারাতি।

তাদের ধারণা, ব্লগীয় ছাগুরা এই ডিসেম্বর মাসে ভারতের উপর আমাদের মনোভাব খারাপ করার জন্যেই এই চাল চেলেছে। এই ধরণের কন্সপিরেসী থিওরী নিয়ে পালটা পোস্ট দেয়াটা আসলে হাস্যকর, কিন্তু কালকে এক পোস্টে দেখলাম ব্লগার হাসান মাহবুব ভাই তার একটা কমেন্টে এই থিওরীর ব্যাপারে আংশিক সহমত জানালেন। এর মানে হল সাহদারণ পাবলিকের মাঝেও আস্তে আস্তে করে ওদের কথা ঢুকছে। তখনই আমার মনে হল করেসপন্ডিং এই গোষ্টীর কন্সপিরেসি থিওরী সংক্রান্ত এই বালখিল্য নিয়ে একটা পোস্ট না দিলেই না। রনি কলকাতা কী কোন উড়ে এসে জুড়ে বসা নিক? আমরা দেখেছি সামহোয়্যেরে কয়েক দিন আগে ব্লগারদের তার ব্লগ থেকে ঘুরে আসার আমন্ত্রণ জানায় সে।

সেটা কলকাতার বাঙ্গালীদের জন্য ব্লগ। রনি কলকাতা আমাদের দেশকে অপমান করার পরে আমাদের এখানকার অনেক ব্লগার ওর ব্লগে যেয়ে ধূমায়া গালি গালাজ দিয়ে আসছে। এই ব্লগেই একজন ব্লগার রনি কলকাতার ফেসবুক প্রোফাইলের ছবি দেয়। সেখানে রনি কলকাতার ফোন নাম্বারও দেয়া ছিল। এখন কন্সপিরেসী থিওরীতে দাবী করা হইছে রনি কলকাতা আসলে কোন ছাগুর নিক।

সত্যিই যদি তাই হয় তাহলে সেই ছাগুর কী ঠেকা পড়ছে যে কলকাতার বাঙ্গালীদের নিয়ে ব্লগ বানাবে, যেখানে সে নিজের ছাগু পার্টির জন্যেই আলাদা ব্লগ বানাতে পারে। তাহলে এসব কন্সপিরেসী থিওরী বানানোর মানেটা কী? যেখানে দাদারাই পাত্তা দিল না, সেখানে দাদাদের চামচারা তাদের সাধু বানানোর চেষ্টায় উঠে পড়ে লাগছে কেন? এমন ত না যে তারা বুঝে না যে রনি কোন সত্যি লোক। তারা অনেক জ্ঞানী, একেকজন ফ্রীডম থটস(এইটাই ত, নাকি অন্য নাম !) থেকে কপি পেস্ট করে যে কোন ধর্মরে নিয়ে গালি দিয়া অভ্যস্ত। তারা প্রত্যেকে সুশীল। একেকজন ১০ টা করে নিক রাখেন।

আমড়া কাঠের ঢেকি আর অলস ছেলে রনির কমেন্ট আর ব্লগীয় পরিবেশ নিয়ে পোস্ট দেয়ায় ধুমধাম তাদের হিজবুত চুতিয়া বানায়া দেন, ওন্যান্য নিক থেকে তাদের নিয়া পোস্ট ছাড়েন। বাহ, একেকজন এত জ্ঞানী আর এটা বুঝল না যে কন্সপিরেসি থিওরী দিয়ে চাইলেই পাবলিকরে এত সহজে বোকা বানানো যায় না ! রনি কলকাতা নিক নিয়ে যদি সত্যি কোন ছাগু রিভার্স খেলে তাইলে কলকাতার ব্লগে এতদিন ঘোরাঘুরির কী দরকার তার? যেখানে আমরা সবাই জানি আর দুই দিন পরেই এসব নিয়ে আর কথা হবে না। ব্লগে পাবলিক ভুলে যাবে এসব বা হয়ত সয়ে যাবে। সেখানে তথাকথিত এই সুশীলরা সব দোষ নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে কেন? এইটা কী ছাগু লক্ষণ না ?? এইটা সত্য যে ভারতবিদ্বেষ থেকে অনেক লোক অনেক ছাগু রনি কলকাতার কমেন্টে রিএক্ট করছে, কিন্তু সাধারণ ব্লগারদের অংশগ্রহণ কী কম ছিল? আমি ত মনে করি সাধারণ ব্লগারই বেশি ছিল। [ এইটা ছাগুদের পক্ষ অবলম্বন করে কোন পোস্ট না।

কালকে কাছের দুই ব্লগার রনিকে নিয়ে কথা বলায় তাদেরকে যারা বিভিন্ন নিক থেকে হিজবুত চুতিয়া বানিয়ে দিল, ওদের পাছায় গদাম দিতে পোস্ট দিলাম। নিতাই আর তার লাখ লাখ নিকে ব্লগ ভরে গেছে। দাদাদের গায়েবী ধর্ষণে নাস্তিকদের মাথায় এখন খালি সব নিক কমন কমন লাগে। খালি মনে হয় সব নিক সেকেন্ডারী। এই সব সুশীল দাদারা কাউরে গালি দিলেই সেটা সত্য হয় না।

আর, উপরের দিকে থুতু মারলে নিজের দিকেই পড়ে। ]

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।