বর্তমান যুগে ইয়াহু চ্যাট একটি সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছ। যেখানে সেখানে সাইবার ক্যাফে'র বাহুল্যতাই এটি আরো বেশি লক্ষ্য করা যাই। আমি বাংলাদেশের কথাই বলি। ঢাকা এবং চট্টগ্রাম বাংলাদেশের দুটি কিডনী স্বরূপ। এগুলোতে লক্ষ্য করা যায় যে শহরের দিকে বেশিরভাগ জায়গায় বাস কাউন্টারের মতন সাইবার ক্যাফে দেখা যায়।
শহরের দিকে পড়ুয়া স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে ইয়াহু চ্যাট রুমে চ্যাট করে। আমি বলবনা এটা খারাপ কিন্তু চ্যাট রুমে ঢুকলেই দেখা যায় ছেলেরা মেয়েদের আইডি দেখামাত্রই ঐ মেয়েকে লিখতে শুরু করে। শুধু লেখা হলে তো কোন কথা ছিল না, তারা যা লেখে তা দেখে লেখা বলে মনে হয় না। মনে হয় যেন তারা ঘরের বউএর সাথে কথা বলছে। তারা চিন্তা ও করে না ঐ পাশে মেয়ের আইডি দিয়ে হয়ত কোন ছেলে বসে আছে।
ছেলেদের ঐ সব লিখা দেখে মেয়ের আইডি নিয়ে বসে থাকা ছেলেটা হয়ত মুচকি মুচকি হাসছে। সভ্যতা বলে যে কোন শব্দ আছে, তা তারা ভুলে যায়। ইয়াহু চ্যাট যোগাযোগের জন্য একটি অন্যতম মাধ্যম। এর উপকারীতা ও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তাই বলে ইয়াহু চ্যাট এর অপব্যবহার করা উচিত নয়।
সভ্যতা এখনো পৃথিবী থেকে বিলীন হয়ে যায় নি।
অনেকে বলবেন, বর্তমান সভ্যতা, বর্তমান যুগ এরকমই। তাদের জন্যই এই কথা, এরই নাম কি সভ্যতা? সভ্যতা কাকে বলে সে ব্যপারে আমি বলব তাদের কোন ধারণাই নেই।
আমি আশা করব, আমার লেখাটি পড়ে অন্তত কিছু মানুষ তাদের অভ্যাসটা পরিবর্তন করবেন। মেয়েই জীবনে সবকিছু নয়।
মেয়ে জীবনের একটি অংশ মাত্র। আপনার হাত যেমন পুরো শরীর নই, হাত ছাড়াও যেমন আপনি বেঁচে থাকতে পারেন তেমনি মেয়ে ছাড়াও জীবন চলে। আর মেয়ে দরকার হলে আপনার আশেপাশে থেকে খুঁজে নেবেন। ইয়াহু চ্যাট রুমে যেসব মেয়ের আইডি দেখবেন তারমধ্যে ৮০ভাগ আইডির সামনেই কোন না কোন ছেলে বসে আছে।
তাই ইয়াহু চ্যাট এর সদ্ব্যবহার করবেন সকলে এই কামনায় -
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।