কবিতা
করি প্রণয়
১
পাথরে নুড়িতে সন্নিহিত প্রণয়প্রতিভা
আর জল জাগরণ
দেহমন নিঝুম সাঁতারে মৎস্যময়।
স্রোতে স্রোতে অন্ধকারে নীল রোমকূপে-
তুমি আমি একাকার, প্রাগৈতিহাসিক।
মানুষের কেন্দ্রপ্রীতি ভেঙ্গে যায় গাঢ় আলিঙ্গনে
ঘুম নামে হাড়ে হাড়ে শীতরাতে
এই ঘুম আদ্র জলীয়প্রতিমা-
আমাদের মৃত্যুভার রক্তচিহ্ন
সবকিছু ধুয়ে মুছে ফেলে।
ভোর হলে জেগে উঠে ছেলেমেয়েদের প্রাণ, নদীবর্তী
ঘুমঘোর ভেঙ্গে দেহ আবার দেহের কাছে বন্দী।
আমার করার আর কিছুই থাকেনা
তুমি পাথরে নুড়িতে সমাহিত
প্রথম গানের মতো জামা খুলে বসে।
৩০/০১/২০০৯
২
সরলতা কাছে টানে যেমন অমৃত
অমরতা খুঁজে পাই কন্ঠ, উপত্যকা জলে-
অধীর আঙুলে।
কাছে থাকি আর মন্ত্রমুগ্ধ, আকুলতা
বিহ্বল তাই রূপে, রূপ কলসের কাছে প্লুত ও প্লাবিত
ভূতভবিষৎত রেখা।
তাই দেখে ভোমর উত্থিত- ফুলে ফুলে মধু খেয়ে
লাবণ্যপ্রতিমা - দেহেমনে রসগন্ধ পৃথিবী সাধনা।
চাপ দিই চাপকল, থল থল মাটি জল
কাছে আসে দূরে যায়, পুর্নবার ভোমর যাতনা।
সরলতা কাছে টানে যেমন অমৃত
অমরতা দেবে এই খোলা বুক নদীসঙ্গ,
বাহুমূল নীচে নামা কাটা আপেল-ভূমিকা।
পথে পথে মুক্ত তাই, গৃহমুখী আকুলতা আর
সদা জ্ঞান ফুটে যায় গাছে গাছে।
মন বশীভূত কচিঘাসে,
দেহে দেহে জল বিতরণ অন্ধকারে ।
১১/০৯/২০০৯
৩
চুম্বনের দাগ নিওলিথ পাথর ও দরোজায়
তার মানে আমরা এখনো চাঁদ ধরে রাখি আর তোমাকেই চাই।
উঁচুনিচু পাহাড়ের প্রতিবন্ধকতা ছেড়ে জেগে উঠেছে বিশ্বাস
প্রত্ন-আগুনের কাছে লালরুটি তরকারি ফুল
সবকিছু প্রাণময় এই কাছে থাকার ইচ্ছায়।
আমিও তোমার নাম উচ্চারণ করি
কিরকম না বোঝা ভাষায়
লাল বাসের জানালা থেকে নেমে পড়া উপত্যকায়
তোমার আঙুল থেকে জন্ম নেয় উপকূলবর্তী আলোগাছ।
ধর্মকেন্দ্রে আত্মমগ্ন ছায়া তার ভেতরে
তোমার জমে থাকা গান- পৃথিবীর ব্যথা।
তাই ধীরে ধীরে মেঘগুলো রাস্তা হয়ে আসে।
তুমি প্রিয় জল ভাষা ব্যবহার
আমরা ডাকি আর না ডাকি কিছুই এসে যায়না তোমার।
দুইজনের একই দেহ একই গান
কোনোদিন হয় না বিচ্ছেদ ব্যবধান ।
১৭/০১/২০০৯
৪
জামায় সবুজ ঘাস
নীলবাহু প্রজাপতি লতাগুল্ম বর্ষার সঙ্গীত।
নিচু হয়ে আসা মেঘ দিব্যমাঠ,
কপিকল ধান-গন্ধ সারারাত
চাঁদে চাঁদমারী খেলা আনন্দ-গ্রহণ অভিযান।
কাছে নদী, ছেলেমেয়েদের পারাপারের সংকেত
যেনো জলে হাত দিলে বাতি জ্বলে।
নৌকা ভাসতে ভাসতে কাছে আসে আর
অমনি সমুদ্রজল- দিন বদলের গান।
আমাদের ছায়াচিত্র, বীজ্রের ওপারে- বনবাস রূপবান। ।
গুচ্ছ চুল ছেড়ে মাঠে যাও
আর বাতাসে বাতাসে শিশু জন্মানোর আনন্দ বেদনা।
আমরা কি তাজা অহো রাস্তা!
পৃথিবীর প্রাণ পাথরে পাথর কথা কয়।
আর দারিদ্রসীমার নীচে থাকার মুহূর্ত-
ইতিহাস আশির্বাদ।
২৮/০১/২০০৯
৫
দাঁড়িয়ে থাকার নাম প্রেম, জাহাজ ঘাটের বাতিঘর।
মুহুর্ত বেহেস্ত হয় রূপবর্ণ ভেবে, কাছে আসে -
খোলা আপেল বাগান।
যে অপেক্ষা সেই অতুল বিহারি দরবেশ
আমাদের ভূতভবিষৎত দোলা।
তাই থাকে আবদুলের দোকান থেকে ট্যানারির মোড়ে।
বাহুলগ্ন বিদ্যাপীঠ পথে পথে, এপার ওপার দুইপার খেলা।
দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করি -
কবে দেখা যায় চাঁদ চাঁদের ইশারা,
ইটপাটকেল মাছগন্ধ পথে।
হাত বন্ধ চোখ উর্ধ্বে, দুচোখ ছড়িয়ে আছে
দেশে দেশে পথের হিন্দোলে।
কবে দেখা মেলে,
লালনীল আঙুলের কাছ ঘেঁষে মদির-মন্থিত নদী।
৬
হলুদ জামার নাম ফুল
অপেক্ষার উপপাদ্য শেষে ঘাসে ঘাসে ডানাচিহ্ন, পাখি।
বাও মেরে আসো ঢুকে পড়ো জড়োয়া বাতাসে
খাও আমাদের খাও বেঁচে থাকা সকালের রৌদ্র।
যেনো জনপদ নিঃশ্ব হয় সুন্দরের আক্রমণে
কবি কেউ পৃথিবীর প্রান্তে অপেক্ষায়, বেহালা বাজায়।
হলুদ জামার বেলফুল গাঢ় রঙ উড্ডয়ন ভঙ্গি
ধরি যতোটুক পারি বাকিটুকু ভিক্ষুকের বেশে
হাজারিবাগের ব্যস্ত কোলাহলে।
জল হয়ে ভেসে ভেসে, আকাশের নীলনাভিকেন্দ্রে
ঘুরে ঘুরে কবুতর।
দাও ধরা, কোনোদিন যদি তুমি আমার আয়না।
০৩/০৯/২০০৯
৭
কচি পেয়ারার দেহে লিখে দিয়েছো স্বনাম
যথা - রূপ আহ্বান।
পাতা প্রহরের নির্ঘুম সকাল আর
ঝর্না বহে যাওয়ার চিত্র, গান।
দাঁতে মুখে তুলবো কি তুলবো না ভেবে ভেবে হয়রান
যদি তুমি ব্যথা পাও যদি রক্ত ঝরে।
সেই থেকে এই পেয়ারা বাগান খুব প্রিয়
আহার সম্পন্ন করে, কর্ম সম্পাদনে বিলাস বিহার।
দিনে দুপুরে তোমার রূপ মর্মব্যথা -
গাছে গাছে ঝুলে। ঠেলা গাড়ি টেম্পু চড়ে
রূপদয়ালের মাঠ -আলোচনা করি কিভাবে
শরীরে উঠে ভেজা সবুজ পেয়ারা গাছ।
১১/০৯/২০০৯
৮
অবিনশ্বরতার নামে দেহলতা
কোল ঘেঁষে এই বেলীফুল- মোহময় স্বজাতির স্মৃতি।
ভাষা বিনিময়ের প্রহর নাই থাকলো, শুধুই রূপ
রূপ দেখে দেখে পরিবর্তন আনবো দেখে নিয়ো।
সময় উৎসর্গ করে নিজেকে সাজাই,
ন্যস্ত করি ভেলা -পাটাতনে।
পয়সা গ্রহণে প্রতিশোধ অবহেলা
যতোটুকু থাকে নিজগৃহে অবলম্বনের বাগান - তাই ফোটে,
চর্যাশোভা তুমি
জলে ও জঙ্গলে বাজে শিকারের বাঁশি।
৩১/০৮/২০০৯
৯
কাছে এসে বসে থাকি, স্বাধীনতা দাও।
শ্রাবণ আশ্রিত মন-
চেনে জল নিরবতা সঞ্চলন এই দেহে।
ফুল প্রস্ফুটিত নিদ্রা আকুলতা, উড়ন্ত ডানায়।
দেহতীর্থ তাই বলি, কেননা প্রণত অপরূপ যাহা
তাই শক্তি চির।
গমনের কথা ভাবিনা তেমন
শুধু আলিঙ্গন শিশুআশা থাকে
যেমন পিপাসা আশা চিন্তা কোনোকালে ছিলো।
পরাধীন শুধু বাক্যবিনিময়ে,
ভালোবাসা বিতরণে বীর,
বাকিটুকু খোলামেলা জ্ঞাত পরিসর,
শুভকাল ইতিহাস আয়োজনে।
১৪/০৯/২০০৯
১০
গানভূমি হেটে যায়- চাঁদের ছায়ায়,
শাদা বেড়াল কুকুর হামাগুড়ি কালে- সন্তর্পনে
বাতাসে হাওয়ায়।
তুমি যেদিকে আসনে থাকো সেইদিকে
ইতিহাস নাই, মাঠে মাঠে এক মুঠো লালজামা অমরতা।
তুমি নীল, নীলপাখি কারো অপেক্ষায়-
জ্ঞানহীন অভিকর্ষ পদে পদে আগুন ও মানুষের!
আমি জীবধর্মে লীন -
নিত্যদিন খাদ্য সংগ্রহে ভবের নাট্যশালায়,
হারানো আর উজ্জীবিত।
একলা সবুজে তুমি কেমন সমুদ্রব্যথা
সময় ধারণা অনাহূত পৃথিবীর মাঠে,
অস্ফুট জামার নীলে একটি হলুদ উঁই পোকা।
যেমন নিহত সে আগুন আর রূপে।
১১/০৯/২০০৯
১১
যখন তোমার নাম বাহুপাশে, এই বুক ফাঁকা ।
কেউ নেই, জনশূন্য পথঘাট বারোয়ারি মাছের দোকান।
হাতের রেখার সরু গলি, মাথার এপাশ থেকে আর এক
পাশে হারবার টানেলের গতি, অবষন্ন গাড়িঘোড়া ।
নেই গ্রীষ্ম আছে শুধু কম্বল জড়ানো শীত বনবাসে।
পথিবীর রূপরূপান্তর
সত্যকাহিনীর মায়া চিন্তাস্রোতে থাকে।
তাই মন বিবশ অবশ পাললিক জনগণকল্পে।
ইতিহাস কাছে আসে বসে থাকে পথ খুলে।
ওর ভাষা সংগতি বিবাহপরায়ণ
মহাদরোজার পাশে কোলাহলপ্রিয় শিশুদের
গঙ্গাসাঁতার, পাটশালা।
১১/০৯/২০০৯
১২
পাজামার নীল জুড়ে নীলাম্বর ঢেউ, সুমহান চাঁদ।
ঢেউ ঢেউ নদী, বুড়িগঙ্গা- মেঘনার ব্যথা।
জলফুল বনফুল গন্ধ- মাথা জুড়ে বৃষ্টি ।
তাই যাই মহাদেশ থেকে বাংলাদেশে
বাংলা থেকে মহাদেশে।
পাজামার সেই নীলাম্বর ঢেউ,
সেই ডুবে যাওয়া আসমানি চাঁদ দৌড়ে দৌড়ে ধরি।
তবু তুমি নারী, ধরো পরিবর্তন ছলনা
হলুদ জামার পরিবর্তে একটি কাঠের বাড়ি
লালনীল আঙুলের জায়গায় একটি অচেনা পাখি।
সন্ধ্যা হলে সেই নীলাম্বর ঢেউ,
সেই চাঁদ গন্ধটিকে সরিয়ে নিথর রৌদ্রে -
অন্য ছায়ার শরীর ধরে শূন্য হয়ে যাও।
০৫/০৮/২০০৯
১৩
ভূমিতলে পড়ে থাকার বাসনা ।
তুমি যদি আমাদের গাছ,
যদি এই নীলপদবিহার আহার মাঠে মাঠে থাকে।
হারিয়ে যাওয়া সমাহার,
লন্ঠন প্রাবল্য মৃত্যুবাতাসের হিমকণা -
এইসব ছিন্ন করে দেবো আজ রাতে।
তোমার শহীদ পাখি-ভাবনা আমার খুব প্রিয়।
নিত্যকাল আর যাই করি-
আহারের আধিপত্য পাতাঝরা
ব্রীজ থেকে উড়ে আসা গোল চাঁদ,
মাটি মাটি নিরাপদ সন্তান গ্রহণ নির্বাচন
কর্ষণ ধারণা এই শীতে রোপণ করবো পরস্পর।
০৩/০৯/২০০৯
১৪
অপেক্ষা আগুনের
বুকের সামান্য মাঠে ঘাসে ঘাসে ব্যথা।
দীর্ঘায়িত তুমি সময় দানবে।
দূরে যাও, দূরত্ব কেবল দীর্ঘ হয় আমি যখন তোমাকে চাই।
ভাষাগুলো--দমকল বাহিনীর আশা, পথে পথে পরাহত -
আগুন জ্বলে নিরবধি। কাছে কোনো নদী নেই-
কেমন বিরহ করি নিঃশ্ব ভিক্ষুকের মতো থালা হাতে।
সোনালি পয়সা কুকুরের আগমন এইসব পথে।
যেখানে প্রাণহীন গাড়িঘোড়া হাড়মাংস গুড়ো করে
ধুঁয়ো ছাড়ে -ভাবি পলায়ন অসম্ভব,
দেশে দেশে প্রার্থনার মতো সহজিয়া গান
আমাদের বাহনের উৎস।
১২/০৯/২০০৯
১৫
ঘুম ভেঙ্গে গেলে অমরতা চাই।
মনে পড়ে দেহ-বন্ধে অপরূপ মানুষের দেহ।
ভাসে আদিপ্রাণ ঈশ্বরের ইচ্ছা নবযুগ বটতলে।
চুম্বনের মায়াটুকু নাই থাকলো এখানে আসমানে,
শুধু রাতের আস্বাদ নিয়ে উঠে যাবো কোলাহল আয়োজনে।
ভূতভবিষৎত যদি কিছু থাকে তাই ফোটে,
বিছানা-গুঞ্জনে শ্রেণীদোষে।
পরস্পর নিবেদিত গান,
তীরে বিদ্ধ দুই পাখি- দেখে, খায়, মরে যায়-
ফিরে আসার ঠিকানা জ্ঞান থাকেনা কোথাও।
রাজাপ্রজা যুদ্ধ পরিবার,
সবই এক লহমায় পড়ে যায় হলুদ জামার যাঁতাকলে।
০১/০৯/২০০৯
১৬
সংগোপন সহমরণ
অতিফুল ঘাস ঢেলে জল-ইচ্ছা
পিপাসা লাগে। যাই নিচে আহার পালন মুখে
পাখি মিলনে বিধূর ।
কোথাও দাঁড়ানোর পণ নেই,
গোসলে নিহিত ভাষা দিগবিদিক প্রতিক্রিয়া পরিণাম।
তোমার শরীর জুড়ে চাঁদ
সমুদ্রের সন্যাস পাহাড় জয়পুর টিলা।
ঢুকে গেছি আর সহজে বেরুতে পারছিনা
যতোই করোনা নামডাক।
সকালে বিকালে নিচে ঘাস ফুল
চন্দনের গন্ধ আর উত্থিত সাপের নৃত্য।
উপগত দেহে- দেহ ভেঙ্গে রক্তের গভীরে নত
নত হয়ে যাওয়া হরিণের সুস্বাদু মাংসের আহ্বান।
সংগোপন সহমরণ, চিতা চিন্তার আধার
গাছ বেয়ে সর্পফণা, অম্লরস -
একদম পড়ে যাওয়া সমুদ্রের-ধ্বনি।
০৩/০৯/২০০৯
১৭
বিবাহ ব্যথার পরে রূপধ্বনি মায়া
সর্বঅঙ্গে জলঢেউ
স্রোতে স্রোতে ভাসমান দুধজলকণা।
করি বাস করি চাষ, শ্রুত অশ্রুত গভীর নদীতীর -
শাখাপ্রশাখার খেলা
ভয় নাই, পদে পদে পার করে মাঝি।
বিরহের কাল শেষ। হাতে পাত্রে মিলনের ভাষা
ফোটে বাগানের ফুল অচেনা অদেখা অঙ্গুরীয় মালা।
দেবে যদি সব দাও, নাই থাকলো পরস্ত্রীকাতরতা
সন্তর্পণে ঘর খুলে কেউ যদি আসে বিরহের কাল শুরু।
তোমার আমার প্রেম প্রণয় শুধুই দুই পৃথিবীর খেলা।
০৪/০৯/২০০৯
১৮
যদি ডাকো জলধর্মে যাই। কোনো রাস্তাঘাট নাই
রৌদ্রনদী তাড়া করে শীতমৃত্যু হাতে নিয়ে রাস্তা খুলে যাই।
ভাষা নাই সংঘ নাই এই পেন্ডুলাম
জনসভা মানুষের বাজার পুতুল রঙধ্বনি সবকিছু ছেড়ে-
হলুদ জামার আশেপাশে আশাপুরানের তন্দ্রা, যাই।
গলায় স্বজাত, পোড়াদাগ
মৃত্যুচিহ্ন পৃথিবীর তীব্রচক্র মানুষের জ্ঞান অভিজ্ঞান।
যদি ডাকো আমি যাই।
তুমি ডাকলে আমার এই গ্রাম
তোমার জামার নামে কি রকম খুলে যায়।
২৩/০১/২০০৯
১৯
সব আশা ব্যকুলতা তরুতলে মর্মর প্রকাশ
প্রকাশিত জনপদ আড়ালে গড়লে,
মাঝখানে আমাদের সহমত ধারণা বিরাজ
বাধিঁ ঘর বাধিঁ মন দেহজোড়া আনন্দে আশ্বাসে।
যে থাকে অদেখা ঘুমঘোরে ধারণায় চিন্তায় লুকিয়ে-
সদা তার ইচ্ছা। তাই সদা বাহুলগ্ন সদা পাঠ
আর পাটাতনে পাখি পাখিইচ্ছা-
দুইজনে এক হয়ে মানুষের জন্মগ্রহণে আস্বাদ অধিকার ।
হাবেল কাবেল, দুইপুত্র মাঠে মাঠে গোত্র যুদ্ধে যায়
জন্মমৃত্যু দুইচিহ্ন এক হয়ে যায়
শুভ বর শুভ ইচ্ছা আদিঅন্তে সবত্র তোমার।
সেই লগ্নে চুম্বন আদর আরো দৃঢ় গাঢ়
একজনের কামনা বাসনা, দূরবর্তী সমাপ্তি - জবাব।
০৫/০৯/২০০৯
২০
স্বর্গ থেকে পতিত
নরকে যাওয়ার ভূতভবিষৎতবাণী।
পৃথিবীতে ছেলেমেয়ে আহারের পয়সা, বেড়ানি।
ছলাকলা বলা কৌশলে অমৃত শব্দ পান করে
বিষাদে নিষাদে যাত্রা ধ্বনি।
সুজলা সুফলা ঘর যেহেতু দুজনে করি
ঘুমাই একই বিছানায়।
আকাশের নিচে বৃক্ষতরু গাছপালা নদী নিরবধি।
ধরি মাছ ধরি গান, জল তীর তীর নিশিরাত
পদ্মপাড় শুয়ে থাকা নৌকা জাহাজের ধ্বনি।
০৫/০৯/২০০৯
২১
জলদ্রব মদিরতা সরলতা সবই সম্ভব, দেহে।
ছড়িয়ে ধরেছো যে আপেল বাগান, তাহাই গাছবাসা।
দুই জগতের পাখি, তার নাম না জানি - অধৈর্য লোভাতুর,
ঠোকরিয়ে খায় পানিফল।
তুমি আমি দিগম্বর পথপাশে
শিশুতোষ খেলা চৌষট্টি বন্ধনে।
নেবে কি নেবেনা তুমি জানো,
নাও আমি বলি -ঢোলক বাদন বাজে পাহাড়ি টিলায়।
প্রথম সর্পের জ্ঞান যে করিলো চাষ-
তাকে দিই সেরা উপহার, কৃষিকাজ।
মেঘ বৃষ্টি ঝড়ে উড়ে আসে গান
ধান চতুরাশি বীজমালা - দক্ষিণের চাঁদ।
শিশু জন্মে ঘরে ঘরে সেই ভাষা খোঁজে
যাতে তাকে মধু নামে ডাকা যায়।
আমরা জানিনা কিছু পরধর্মে পরিচর্যা
পিতামাতা বহুদূর করে অধর্ম, যতনে।
০৮/০৯/২০০৯
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।