...
অনেক কম্পিউটার ব্যবহারকারি এখনো মনে করেন বেশিরভাগ কাজই লিনাক্স বা উবুন্তুতে করা যায় না। যেমন, ধরা যাক ভিডিও এডিটিংয়ে এডোবি প্রিমিয়ার, অ্যাপল আইমুভি, ফাইনাল কাট প্রো ইত্যাদি সফওয়্যার লিনাক্সে সরাসরি ব্যবহার করা যায়না।
কিন্তু আপনার জন্য সুখবর হচ্ছে লিনাক্সে নন-পাইরেটেড ফ্রি সফটওয়ারের সমুদ্রে অনেক অনেক এমন সফটওয়্যার রয়েছে যা দিয়ে আপনি সাধারণ ভিডিও কাটিং, ফিল্টার এফেক্ট, এনকোডিং ইত্যাদি কাজগুলো অনায়াসে করতে পারেন।
আগে এধরণের কাজগুলো করা হতো নন-লিনিয়ার এডিটিং(NLE) সিস্টেম দিয়ে। যা দিয়ে নন-লিনিয়ার ভিডিও এডিটিং(NL VE) অথবা, নন-লিনিয়ার অডিও এডিটিং(NL AE) করা যেতো ভিডিওর কোনো ক্লিপ বা ফ্রেমের উপর।
ভিডিও ক্লিপে থাকে অনেক অনেক স্টিল ফ্রেম আর সেগুলোর ওপরই কাজ করা হয়। আগে সৌখিনভাবে নন-লিনিয়ার এডিটিং সিস্টেমের মালিক হবার কথা চিন্তাও করা যেতো না। কিন্তু এখন একটা পিসি থাকলেই তাতে কিছু সফটওয়্যার আর প্রয়োজনীয় ক্যাপচারিং হার্ডওয়্যার ইত্যাদি যুক্ত করে অতি উন্নতমানের ভিডিও এডিটিং সল্যুশন পেতে পারেন।
উইন্ডোজে আছে Windows Movie Maker আর অ্যাপল ম্যাক যারা ব্যবহার করেন তাদের আছে iMovie. এগুলো ফ্রি পাবেন উইন্ডোজের সাথে বা ম্যাকের সাথে। আর উবুন্তু বা লিনাক্সে? সেখানে তো অপারেটিং সিস্টেমটিই ফ্রি।
পূর্ণমানের নন-লিনিয়ার এডিটিং সিস্টেম গড়ে তুলতে আপনার প্রয়োজন হবে একটি ভালোমানের ক্যাপচার কার্ড এবং IEEE Firewire পোর্ট যা ভিডিও ক্যাপচার করতে লাগবে ডিজিটাল ভিডিও ক্যামগুলো থেকে।
Avidemux (এভিডমাক্স বা এভিডিমাক্স)
ফ্রি এই সফটওয়ারটি লিনাক্সেই কেবল না উইন্ডোজ এবং ম্যাকেও বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়। সাধারণ কাটিং, ফিল্টারিং এবং এনকোডিংয়ের কাজগুলো করার জন্য যথেষ্ট। অনেক অনেক ফাইল ফরম্যাটে কাজ করা যায় এটিতে। ডিভিডি উপযোগী mpeg ফরম্যাট, এমপি৪, এএসএফ ইত্যাদি অনেক ধরণের কোডেক দিয়ে কাজ করা যায়।
প্রোজেক্ট, জব-কিউ এবং স্ক্রিপ্টিং এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়তাও আনা যায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে।
উবুন্তুতে এভিডমাক্স ইনস্টল করতে টার্মিনালে টাইপ করুন:
sudo apt-get install avidemux
সোর্সফোর্জে প্রোজেক্টের পাতা দেখুন: http://avidemux.sourceforge.net/
সিনেরেলা (Cinerella) সিনেরেলা (Cinerella)
এটি আরো অ্যাডভান্সড এবং এডোবি প্রিমিয়ারের মতো প্রফেশনাল কাজের জন্য। তবে এটি এভিডমাক্সের মতো মাল্টিপ্লাটফর্মের(কেবল লিনাক্স সংস্করণ আছে এর) নয়।
সিনেরেলাতে আছে একটি ভিডিও কম্পোজিটিং ইঞ্জিন(এডোবি আফটার ইফেক্টের সাথে তুলনীয়), যাতে কী(key) এবং ম্যাট(matte) এর কাজ করা যায়। হাই-ফাই(high fidedlity) অডিও-ভিডিও এর কাজ সহজে করা যায়।
৬৪-বিট প্রিসিশনে অডিও প্রসেসিং করে থাকে আর ভিডিওর জন্য RGBA তে ফ্লোটিংপয়েন্ট প্রিসিশন এবং YUVA তে ১৬বি ইন্টিজার প্রিসিশনে কাজ করতে পারে। যেকোনো রেজুলুশনের বা ফ্রেমরেটের ভিডিও নিয়ে কাজ করা যায় এতে।
ডাউনলোড করুন সিনেরেলা: http://www.heroinewarrior.com/cinelerra.php
কেইডেনলাইভ (Kdenlive, KDE Non-Linear Video Editing
Kdenlive একটি শক্তিশালি উন্নতমানের মাল্টিট্রাক ভিডিও এডিটর। FFmpeg সাপোর্ট করে এমন সব ফরম্যাট নিয়ে কেইডেনলাইভ কাজ করতে পারে (যেমন অ্যাপল কুইকটাইম, avi, wmv, mpeg এবং ফ্ল্যাশ), অ্যাসপেক্ট রেশিও 4:3 বা 16:9 সাপোর্ট রয়েছে PAL, NTSC এর জন্য হাইডেফিনিশন ভিডিওর মধ্যে HDVও সাপোর্ট করে। ভিডিও ডিজিটাল ভিডিও ইকুইপমেন্টেও এক্সপোর্ট করা যায় অথবা ডিভিডিতে রাইট করা যায়, ভিডিও তে চ্যাপ্টার বা মেনু যোগ করা যায়।
জিপিএল২ লাইসেন্সের আওতায় লিনাক্স, ফ্রিবিএসডি বা ম্যাক ওসএক্স এর জন্য এই সফটওয়্যার পাওয়া যায়।
ইনস্টল করতে টার্মিনালে লিখুন:
sudo apt-get install kdenlive
হোমপেজ: http://kdenlive.org/
কিনো (Kino )
বিশ্বজুড়ে অ্যামেচার ফিল্মমেকারদের একটা নাম হলো কিনো। কিনো পুরোপুরিই ফিল্মবিষয়ক শব্দ।
ইনস্টল করতে: sudo apt-get install kino
হোমপেজ: http://kinodv.org/
কিনো শিখুন: Click This Link
কোনটি বেছে নেবেন?
---- প্রফেশনাল কাজে সিনেরেলা ব্যবহার করতে পারেন।
---- মামুলি ভিডিও এনকোডিং ও রূপান্তরের জন্য এভিডমাক্স যথেষ্ট।
কারা কোনটি ব্যবহার করে?
~~> Cinelerra - অ্যানিমেটর, আর্টিস্ট/ইলাস্ট্রেটর/ডিজাইনার, ভিডিও এডিটর।
~~> Kino - সাধারণ ব্যবহারকারি, ভিডিও এডিটর, ভিডিওগ্রাফার।
~~> Avidemux (Non-Linear Editor) - ভিডিওগ্রাফার।
~~> Kdenlive - সাধারণ ব্যবহারকারি।
ভিডিও এডিটিং সফটওয়ারগুলোর তুলনা দেখুন: Click This Link
এটি আরো প্রকাশিত হয়েছে: http://wp.me/pCYpp-4x
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।