পতাকায় ফালগুন মানচিত্রে বসন্ত
যুক্তরাষ্ট্রে পালন হলো ’থ্যাংকস গিভিং ডে’। এই নির্ধারিত বিশেষ দিনে তারা পারস্পারিক শুভেচ্ছা বিনিময় করে। এই শুভেচ্ছা ব্যাক্তি থেকে প্রতিষ্ঠান, প্রতিষ্ঠান থেকে রাষ্ট্রে। রাষ্ট্র থেকে জনগণ, জনগণ থেকে পরিবার প্রতিটি ক্ষেত্রেই আদান-প্রদান হয়। যেহেতু শুভেচ্ছা জানানোর জন্য একটি দিবস নির্ধারিত সেজন্য এটির ধারক আত্মা না জড় তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে না।
কিন্তু যখন কোন উতসবকে নিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময়ের হিড়িক পড়ে যায় তখন কিছু কিছু কারণে এর হৃদ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে।
বাঙালী উতসবের জাতি হিসেবে আলাদা একটি পরিচয় বহন করছে। এখানে যেমন নানা ধর্ম-মতের মানুষের বাস; তেমনি উতসবেরও আধিক্যও লক্ষ্যণীয়। উতসব কোন সমস্যা নয় কিন্তু আমার ব্যক্তি ও চোখ একটি বিষয়ে আহত হচ্ছে বারবার। যখনই কোন উতসব আসে তখনই একে নিয়ে সুকৌশলে একধরণের ব্যবসা শুরু হয়ে যায়।
আমরাও শুভেচ্ছা গ্রহণ করি কিন্তু ভাববার সময় পাই না যে, কে দিচ্ছেন এই শুভেচ্ছা। আত্মীয়-স্বজন-বন্ধু-সন্তান-শিক্ষক-ছাত্র-নেতা-কর্মী-প্রেমিক-প্রেমিকা-অভিনেতা-দর্শক সবার লাইভ শুভেচ্ছার হৃদ্যতা নিয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই। কিন্তু এর সঙ্গে যখন সবচেয়ে বেশি যুক্ত হয় ব্যবসা কিংবা বক্ষসায়ী প্রতিষ্ঠান তখনই কান ঝালাপালা হয়। জড় এই বিষয়টির আত্মিকতা নিয়ে সন্দেহ কী করবো বরং ব্যবসার বিষয়টিই যে বড় তা নিয়ে কোন সন্দেহ থাকে না। এতো গেলো আনন্দ-উতসব।
আবার শোক-দিবসের জন্য আছে তেমনই শোকাঞ্জলিসহ পন্যের বিকিকিনির রমরমা বিজ্ঞাপন।
তাই হয়তো আপাতত কদিন ধরে এমনই শুনতে হবে, ’আমাদের অগনিত ক্রেতাকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি হিরালেস জুয়েলার্স’ কিংবা, দৈনিক আকাশ বার্তা'র পক্ষ থেকে গ্রহণ করুন ঈদমোবারক।
তারপরও এর সর্বজনীন রূপ হয়তো আপাতত অস্বীকার করার জোঁ নেই!!
হোক তা জড় কিংবা জীবনভাষ্য।
সবাইকে আত্মা থেকেই ঈদের শুভেচ্ছা। শুভ ব্লগিং।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।