কুমিল্লার খবর জানাতে এসেছি
কুমিলা জেলা বিএনপি’র সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বেগম রাবেয়া চৌধুরী বনাম মনিরুল হক সাক্কু গ্র“পের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিপে এবং পুলিশের পিটুনীতে উভয় গ্র“পেরঅন্তত ৩০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। ২৪ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে শহরের কান্দিরপাড় ও মনোহর পুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ ৮ রাউন্ড কাদুনে গ্যাস ও ৮ রাউন্ড রাবার বুলেট নিপে করে । ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সময় রাস্তা থেকে পুলিশ একটি রিভলবার উদ্ধার করে। ওই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
যে কোন সময় সংঘর্ষের আশংকায় শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি এদিকে বিকেলে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও কুমিলা পৌরসভার মেয়র মনিরুল হক সাক্কু সকালে ঘোষিত কমিটিকে অবৈধ বলে দাবী করেছেন।
প্রত্যদর্শীরা জানান সকালে শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে জেলা বিএনপির আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসভাপতি বেগম রাবেয়া চৌধরীর সভাপতিত্বে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি বেগম সারওয়ারী রহমান। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সম্মেলনের কর্মসূচি সংপ্তি করে বেগম রাবেয়া চৌধরীকে সভাপতি, সাবেক সাংসদ হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াসিনকে সেক্রেটারী এবং মোস্তাক মিয়াকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে কমিটি ঘোষনার পরই কান্দিরপাড়, লাকসাম রোড, মনোহর পুর ও আশপাশের এলাকায় বিবদমান দু’গ্র“পের লাঠি পেঠা, ইটপাটকেল নিপেসহ পুলিশের লাঠি চার্জে উভয় গ্র“পের নেতাকর্মী, ও পথচারীসহ কমপে ৩০ জন আহত হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে কাদুনে গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যাহার করে পুলিশ। এ সময় পুলিশ রাস্তা থেকে একটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় একটি রিভলবার উদ্ধার করে। ঘোষিত কমিটির প্রতিবাদে সাক্কু গ্র“প তাৎনিক শহরে বিােভ মিছিল বের করে । এর আগে ভোর থেকেই সম্মেলনস্থল রাবেয়া চেীধুরী গ্র“পের নিয়ন্ত্রনে এবং জেলা বিএনপির কান্দিপাড়স্থ কার্যালয় মনিরুল হক সাক্কু গ্র“পের নিয়ন্ত্রনে চলে যায়। সকাল থেকেই শহরে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়।
সংঘর্ষ চলাকালে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ফজলুল হক ফজলু, ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক ভিপি ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক আহবায়ক আলহাজ্ব নুরে আলম ভূইয়া, কুমিলা অজিতগুহ কলেজ ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক দীপন, আইন কলেজের ভিপি সুমন, বিএনপি নেতা লুৎফুর রহমান ভোলা, হেলাল , সালাউদ্দিন, বশির, রাজু, আবাদসহ অন্তত ৩০ জন কমবেশী আহত হয়। আহতদের স্থানীয় কিনিক ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সম্মেলন প্রসঙ্গে বেগম রাবেয়া চৌধরী জানান কাউন্সিলরদের উপস্থিতিতে এবং তাদের সম্মতি নিয়েই কমিটির আংশিক নাম ঘোষনা করা হয়েছে। তবে সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল হক সাক্কু অভিযোগ করেছেন যেখানে ৯ শতাধিক কাউন্সিলর সম্মেলন স্থলে উপস্থিত কথা, কিন্তু সম্মেলন স্থলে মাত্র ২শ’ কাউন্সিলর উপস্থিত ছিল। তিনি আরো জানান বিএনপির গঠনতন্ত্র মোতাবেক এ কাউন্সিল হয়নি,তাই কেন্দ্রের সাথে আলাপ আলোচনা করে তারা পরবর্তী পদপে নেবেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা ফজলুল হক ফজলু, আবদুর রউফ চৌধরী ফারুক এবং হাজী আবদুস সালাম মাসুক, মোঃ হুমায়ুন কবির, মোঃ দুলাল মিয়া। এদিকে সন্ধ্যায় কুমিলা পুলিশ সুপার মোঃ সফিকুল ইসলাম জানান শহরে যে কোন অরাজক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে মাঠে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের ব্যাপারে তদন্ত চলছে বলেও পুলিশ সুপার জানিয়েছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।